৫০ বছর পর দেখা
হৈমন্তী শুক্লা
প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২২ ১২:৫৯ পিএম
আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২২ ১৩:৩৭ পিএম
৫০ বছর পর রাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি রেস্টুরেন্টে মিলিত হন বন্ধুরা। ছবি: প্রতিদিনের বাংলাদেশ
ফেসবুক পেজ ‘বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র’তে ২৬ জুলাই একটি ছবি পোস্ট করেন কে এম আবু হাসিবের মেয়ে জান্নাতুন ফেরদৌস। সেখানে বলা ছিল ৫০ বছর আগে তার বাবার বন্ধুদের ছবি এটা। বাবার সঙ্গে তাদের আর কোনো যোগাযোগ নেই।
এরপরই নানা প্রান্ত থেকে সাড়া মেলে। ছবিতে থাকা সবার সন্ধান তো মিলেছেই, সেই সঙ্গে স্কুলের ৭৪তম ব্যাচের প্রায় ২০ জনের খবর মিলেছে।
তাদের সবারই এখন ব্যস্ত জীবন। তবু বন্ধুত্ব চির সবুজ। দূরত্বে মুছে যায়নি যে টান, কাছে এসে হয়েছে তা আরও মজবুত। প্রাণে প্রাণ রেখে সহচরদের এখন কেবল গল্প বলার সময়...
শনিবার রাজধানীর খিলগাঁওয়ের একটি রেস্টুরেন্টে ছিল তাদের মিলনমেলা। রামধনু, ঝালমুড়ি আর হাফ টিকিটের গল্পে... আবার জমেছে আড্ডা। ৫০ বছর ধরে না বলা কথায় এবার লেগেছে কথার মালা।
সময় গেছে ঢের। এক সময়ের কিশোররা এখন প্রবীণ। তবু তারুণ্যে ঝলমলে এই মুখে কেবল হারানো দিনের গল্প। খুনসুটি, ভালোবাসা আর আবেগে ভরা এই আড্ডায় এখন মান-অভিমান আর সুখ-দুঃখের গল্প।
ছবিটি ছিল ১৯৬৮ সালের আইডিয়াল হাই স্কুলের মতিঝিল শাখার ঢাকা বোর্ডে মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হওয়া পঞ্চম শ্রেণির ৫ জন বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর।
বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র’র মাধ্যমে আবারও খুঁজে পাওয়া গেল এই বন্ধুদের। বাবাকে তার ছোটবেলা ফিরিয়ে দিতে পেরে খুশি আবু হাসিবের মেয়ে জান্নাতুন ফেরদৌস।
বন্ধুদের কাছে আনতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ‘বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র’র কর্ণধার গিরিধর দে।