প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৪ ১০:৫৩ এএম
আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২৪ ১১:২০ এএম
ছবি : সংগৃহীত
প্রতিনিয়তই বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন জিনিস আবিষ্কার করছেন। গবেষকরাও এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। তারাও গবেষণার মাধ্যমে অভিনব বিষয় ও জিনিস আমাদের সামনে নিয়ে আসছেন। এবার তারা প্রায় ৩৬০০ বছরের পুরোনো কফিনের ভেতর থেকে একটি পদার্থ আবিষ্কার করেছেন; যা ‘কেফির পনির’ নামে পরিচিত।
২০০৩ সালে চীনের জিনজিয়াংয়ের শিয়াওহে কবরস্থান থেকে ৩৬০০ বছরের পুরোনো একটি কফিন খোলা হয়। তার ২১ বছর পর অর্থাৎ চলতি বছরে সে কফিনের ভেতর থেকে ‘কেফির পনির’ নামে একটি পদার্থের সন্ধান পেয়েছেন একদল গবেষক।
স্কাই নিউজ জানিয়েছে, ২০০৩ সালে খনন করে বের করা কফিনটির ভেতরে একটি তরুণীর মমি ছিল। পনিরটি তার গলায় জড়ানো ছিল। প্রথম পর্যায়ে তা গহনা বলে ধারণা করা হয়েছিল। তবে গবেষকরা এখন নিশ্চিত যে এটি কোনো গহনা নয়, বরং এটি বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীনতম পনিরের টুকরা।
বেইজিংয়ের চায়নিজ একাডেমি অব সায়েন্সেসের জীবাশ্মবিদ কিয়াওমেই ফু এনবিসি নিউজকে বলেছেন, ‘সাধারণত পনির নরম হয়। কিন্তু এটি নরম নয়। এটি এখন সত্যিই শুষ্ক, ঘন ও শক্ত ধূলিকণায় পরিণত হয়েছে।’
ফু জানিয়েছেন, যখন কফিনটি বের করা হয় তখন তারা দেখতে পান দেহটি নিখুঁতভাবে সংরক্ষণ করা আছে। মূলত তারিম বেসিন মরুভূমির শুষ্ক জলবায়ুর কারণেই দেহটি পুরোপুরি সংরক্ষিত ছিল।
তিনি আরও জানিয়েছেন, তাদের দলটি সেই কবরস্থানের তিনটি সমাধি থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। হাজার হাজার বছর ধরে পনিরের বিবর্তন নির্ধারণের জন্য সেগুলো পরীক্ষা করেছে।
পরবর্তীতে নমুনাগুলো ‘কেফির পনির’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আর এর প্রমাণ হিসেবে জানানো হয়েছে, এর মধ্যে ছাগল ও গরুর দুধের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
গবেষণা দলটি লিখেছে, ‘৩০০০ বছরের বেশি সময় ধরে সংরক্ষিত কয়েকটি দুগ্ধ অবশিষ্টাংশের মধ্যে এ ৩৬০০ বছরের পুরোনো কেফির পনিরের নমুনাগুলোও রয়েছে; যা ব্রোঞ্জ যুগের জিয়াওহে জনসংখ্যার দ্বারা উৎপাদিত হয়েছিল। এটি এমন একটি জনসংখ্যা যারা মিশ্র জীবনধারা ও কৌশল ধারণ করে।’
পনিরটি এখনও ভোজ্য কি না ও ফু এটি খেয়ে দেখবেন কি নাÑএনবিসি নিউজের এ প্রশ্নের জবাবে ফু বলেন, ‘একদমই না।’
সূত্র : জিও নিউজ