মো. মাসুদ, চবি
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪ ১৩:৩৭ পিএম
বই হচ্ছে অতীত আর বর্তমানের মাঝে বেঁধে দেওয়া সাঁকো।
সভ্যতার ইতিহাস পাল্টে দেওয়া আবিষ্কারের নাম বই। সাদা পৃষ্ঠার কালো কালো অক্ষর। সে অক্ষরের কতই না শক্তি! বলা হয়- বই হচ্ছে অতীত আর বর্তমানের মাঝে বেঁধে দেওয়া সাঁকো। বই আমাদের জ্ঞানের দিগন্ত বিস্তৃত করে, নতুন নতুন চিন্তাভাবনার দরজা খুলে দেয়। বইয়ের মাধ্যমে আমরা ভ্রমণ করতে পারি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে, জানতে পারি অতীত-বর্তমান, ভবিষ্যতের সম্ভাবনা।
আর এ বই নিয়েই স্টোরি টেলিং প্ল্যাটফর্ম ফেইল্ড ক্যামেরা স্টোরিজের আয়োজনে চট্টগ্রামের জামাল খানে বসেছে ব্যতিক্রধর্মী বইবিনিময় উৎসব।
পড়ে ফেলা পুরোনো একটি বই জমা দিয়ে পছন্দের পুরোনো আরেকটি বই নিতে পারবেন বইপ্রেমীরা। ব্যবহৃত বই হলেও সংগ্রাহকের কাছে তা নতুন। নতুন জ্ঞান আহরণের পাশাপাশি এটি খরচ বাঁচিয়েছে পড়ুয়াদের।
মোট ১১ বিভাগের ১১ স্টলে গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ধর্ম, দর্শন, জীবনী, কবিতা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও একাডেমিক বইয়ের পাশাপাশি স্থান পেয়েছে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার বই। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলে বইবিনিময়। আয়োজকদের ভাষ্যমতে, পুরো দিনে ৩০ হাজার বই বিনিময় হয়েছে।
যুক্তিবিদ্যা ও রবীন্দ্রনাথের কবিতার বই বিনিময় করে সমাজবিজ্ঞানের বই নিতে এসেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মাঈনুল ইসলাম। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি দুটি বই নিয়ে এসেছি। এখানে অনেকেই গল্প-উপন্যাসের বই বিনিময় করছেন, তবে আমি আমার দুটি বইয়ের বিনিময়ে একাডেমিক বই নেব।’
প্রথমবারের মতো বইবিনিময় উৎসবে এসেছেন কলেজ পড়ুয়া মরিয়াম জান্নাত। তিনি বলেন, ‘আজকের বইবিনিময় উৎসব অনেক আনন্দদায়ক ছিল। এটা আমার প্রথম বইবিনিময় উৎসব। তাই আমি অনেক বেশি এক্সাইটেড। আমি দুটি বই বিনিময় করেছি। দুটিই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। সব মিলিয়ে আজকের দিনটা অনেক ভালো ছিল।’
আয়োজক সংগঠনের পরিচালক সাইদ খান সাগর প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘এ উৎসবের মাধ্যমে পাঠক তাদের পড়া বইগুলো বিনিময় করতে পারেন অন্য পাঠকের সঙ্গে। এর ফলে নতুন নতুন বই পড়ার সুযোগ তৈরি হয়, জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ হয়। আমাদের মূল উদ্দেশ্য পাঠক তৈরি। অর্থনৈতিক বাস্তবতায় এখন বই ও কাগজের দাম বেড়েছে। আর এটি যাতে কোনোভাবেই একজন পড়ুয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সেটিই আমাদের লক্ষ্য। আগামীতে আমরা আট বিভাগে একসঙ্গে বইবিনিময় উৎসব করব। ধাপে ধাপে প্রতিটি জেলায় এ উৎসব নিয়ে যাব।’