× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

লাভজনক হওয়ায় আবাদ বেড়েছে দ্বিগুণ

রাজশাহী অফিস

প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৪ ১৪:০০ পিএম

 পাওয়া রাজশাহীর মিষ্টিপান চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। প্রবা ফটো

পাওয়া রাজশাহীর মিষ্টিপান চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। প্রবা ফটো

এক বিঘার একটি পানের বরজ থেকে একজন কৃষক মাসে অন্তত ৩৫ হাজার টাকা আয় করতে পারে। প্রতি বিঘা জমিতে পানের বরজ তৈরিতে কৃষকের এককালীন খরচ দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। যার স্থায়িত্বকাল ৩০ থেকে ৪০ বছর। রাজশাহী জেলায় পান চাষে জড়িত কৃষকের সংখ্যা ৩৯ হাজার ১০১। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে পান উৎপাদন হয়েছে ৭৭ হাজার ২১৯ মেট্রিক টন। ৯টি উপজেলার মধ্যে বাগমারা, মোহনপুর ও দুর্গাপুরে পানের আবাদ বেশি হয়। পানবরজের সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৬। এসব বরজে উৎপাদিত পান জেলার ২০টি হাটে সরাসরি বিক্রি করে কৃষক।

রাজশাহীর ৯ উপজেলার মধ্যে মোহনপুরে ১৯ হাজার ৮৫৫, বাগমারায় ১২ হজার ৬২০, পবায় ৩ হাজার ৬৬৫, দুর্গাপুরে ১ হাজার ৮৭৫, পুঠিয়ায় ১ হাজার ৮০০, তানোরে ২২, চারঘাটে ২৭, গোদাগাড়ীতে ২০ ও বাঘায় ১০টি পানের বরজ রয়েছে।

মোহনপুরের কৃষক লুৎফর রহমান বাড়ির পাশে ১০ কাঠা জমিতে পাটখড়ি আর খড় দিয়ে পানের বরজ বানিয়ে চাষ করেন। তিনি পানের বরজকে ব্যাংকের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘গড়ে ১৫ দিনে এক দিন পান তোলা হয়। এক দিনে ৩ পণ পান তোলা হয়। সিজনে যার বাজারমূল্য ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এক যুগ আগে আমার গ্রামে ১২ জনের পানের বরজ ছিল, এখন সেখানে বরজ আছে ৫০ থেকে ৬০টি।’ 

বাগমারার কৃষক আক্কাস আলী বলেন, ‘পানের বরজ একবার দিলে ২০-৩০ বছর আর চিন্তা করা লাগে না। বরজে পাটখড়ি বা খড় পচে গেলে ওইটুকুই মাঝেমধ্যে সংস্কার করে নিতে হয়। বর্ষার সময় সমস্যা হয়। পানে কীটনাশক ব্যবহার করা যায় না। সার বা কীটনাশক হিসেবে খইল দিতে হয়। বরজে সরাসরি কীটনাশক ব্যবহার হলে ওই পান মানুষের জন্য ক্ষতিকর হবে। তাই পানের বরজে এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয়।’

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোছা. উম্মে ছালমা বলেন, ‘কৃষকের অর্থের প্রয়োজন হলে পানের বরজ থেকে পান তুলে সরাসরি বিক্রি করেন। কৃষককে তাৎক্ষণিক অর্থের জোগান দেয় পান। রাজশাহীর দুর্গাপুর, মোহনপুর ও বাগমারায় উৎপাদিত পানকে বলা হয় মিষ্টি পান। দেশের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় ব্যাপক চাহিদা রয়েছে রাজশাহীর মিষ্টি পানের। রাজশাহীর মিষ্টি পান জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার ফলে কৃষক আরও উপকৃত হবে। রাজশাহীর অর্থনীতিতে উৎপাদিত পানের ভূমিকা রয়েছে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে দেখা যায়, রাজশাহী জেলায় ২০১১-১২ অর্থবছরে প্রায় ১ হাজার ৭৯৭ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৫৫.১৬ মেট্রিক টন, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১ হাজার ৮৪২ হেক্টরে আবাদ হয়েছে ৩৫ হাজার ১১৮.১০ মেট্রিক টন, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১ হাজার ৮৬৫ হেক্টরে আবাদ হয়েছে ৩৭ হাজার ৫০৪.৮২ মেট্রিক টন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২ হাজার ১৫০ হেক্টরে আবাদ হয়েছে ৩৪ হাজার ৬৪ মেট্রিক টন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২ হাজার ২২৫ হেক্টরে আবাদ হয়েছে ৩৭ হাজার ২৩১.৫২ মেট্রিক টন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২ হাজার ১৯৬ হেক্টরে আবাদ হয়েছে ৩৬ হাজার ৫৮৫.৪৫ মেট্রিক টন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২ হাজার ৫৮৪ হেক্টরে আবাদ হয়েছে ৪২ হাজার ৩২৭.১৩ মেট্রিক টন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২ হাজার ৮৮১ হেক্টরে আবাদ হয়েছে ৪৭ হাজার ৬৪৯.৭৫ মেট্রিক টন। 

এছাড়াও ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪ হাজার ৩১১ হেক্টরে আবাদ হয়েছে ৭২ হাজার ৩৩০.৩৪ মেট্রিক টন, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪ হাজার ৫০০ হেক্টরে আবাদ হয়েছে ৭৬ হাজার ১৫২ মেট্রিক টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪ হাজার ৩৬১ হেক্টরে আবাদ হয়েছে ৭৩ হাজার ৭৭১.২ মেট্রিক টন পান। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪ হাজার ৫০৮ হেক্টরে পান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৭ হাজার ২১৯ মেট্রিক টন।


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা