ইমাম মেহেদী
প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৩৯ পিএম
আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:২৪ পিএম
হাল্ট প্রাইজের গ্লোবাল রাউন্ডের জন্য মনোনীত হয়েছে রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম C2F
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস আইডিয়া কনটেস্ট হাল্ট প্রাইজের গ্লোবাল রাউন্ডে কুষ্টিয়ার রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম C2F (কেইজ টু ফ্রিডম) মনোনীত হয়েছে।
স্থানীয়ভাবে বিশ্বের একশর বেশি দেশের ১০ হাজারের বেশি টিমের মধ্য থেকে প্রতিযেগিতার মাধ্যমে ৩৬০টি এ রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্য, সুস্থ জীবনধারা এবং অকালে ঝরে পড়া রোধÑএ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর কাজ করে টিম C2F।
টিম C2F কুষ্টিয়ার রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের পাঁচ শিক্ষার্থী নিয়ে গঠিত। সদস্যরা হলেন সাদমান হোসেন স্বপ্নীল, সাবিকুন নাহার, তাসনীম জাহান, নূর-এ-জাহান তাজরীন ও মো. রফিকুল আলম রাব্বি। গত ২৭ জানুয়ারি রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত অন ক্যাম্পাস প্রোগ্রামে টিম C2F চ্যাম্পিয়ন নির্বাচিত হয়। তারপর ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হাল্ট প্রাইজের গ্লোবাল রাউন্ডে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রিত হয়। ওই সামিট ব্যাংককের চুলালংকর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১ থেকে ২৩ জুন অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীদের এ অগ্রযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান আলী ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মোছা. ইসমত আরা খাতুন সফলতা কামনা করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীদের। দলটির ক্যাম্পাস ডিরেক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সবুজ হোসেন বলেন, ‘ভবিষ্যতে আরও এ ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ড এবং সুস্থ জীবনধারা বিকাশে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমাদের এ টিম।’
হাল্ট প্রাইজ হলো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য সব থেকে বড় বছরব্যাপী একটি ব্যবসায়িক আইডিয়া ও উদ্যোক্তামূলক প্রতিযোগিতা। হাল্ট প্রাইজ ফাউন্ডেশন, জাতিসংঘ ও ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের সমন্বিত তত্ত্বাবধানে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)-এর ওপর ভিত্তি করে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করেন।
এ বছরের টার্গেট ছিল ‘উন্মুক্ত। অর্থাৎ এসডিজির যেকোনো লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শিক্ষার্থীরা কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। শিক্ষার্থীদের প্রথমে টার্গেট, সমস্যার টেকসই সমাধান এবং এর ওপর ব্যবসায়িক ধারণা উপস্থাপন করতে হয়। এ সামিটে নির্বাচিত সেরা উদ্যোক্তার দল তাদের স্টার্টআপের জন্য ১ মিলিয়ন ইউএস ডলার (প্রায় ১১ কোটি টাকা) সিড ফান্ডিং হিসেবে পাবে।