ওয়াসি তানজীম
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৫৩ পিএম
গরমকালে অনেক সময় গাছের পাতা, শিকড় ঝলসে যায়। এ সময় তাই গাছের বাড়তি যত্ন চাই। রইল কিছু টিপস-
খাঁখাঁ রোদ্দুরে একফালি বারান্দাজুড়ে সবুজ পাতার তিরতির করে মাথা নাড়ানো চোখের আরাম দেয়, ঘরে ছায়া দেয়। কিন্তু বাড়ির অন্য সদস্যের মতো এ সবুজ সদস্যগুলোরও এ সময় একটু বাড়তি যত্নের দরকার।
পানি : মাটি খুব তেতে থাকা অবস্থায় পানি দিলে শিকড়ের ক্ষতি হতে পারে। তাই চেষ্টা করুন সকাল ৮টার মধ্যে পানি দিতে। রাতেও পানি দেওয়া যেতে পারে। তবে তার আগে মাটিতে হাত দিয়ে ভালো করে দেখে নিন মাটি উত্তপ্ত হয়ে আছে কি না। অতিরিক্ত পানি দেবেন না। এতে চারাগাছের গোড়া পচে যেতে পারে। রোদের তেজ বাড়লে অনেক সময় পাতা ঝলসে যায়, তখন পাতায় পানি স্প্রে করুন।
সূর্যালোক : টবগুলো এমন জায়গায় রাখুন যাতে দুই থেকে তিন ঘণ্টার বেশি গাছে রোদ না পড়ে। যদি ছাদে বা খোলা জায়গায় বাগান করেন, তাহলে ছায়ার ব্যবস্থা করুন। সে ক্ষেত্রে বাঁশের মাচা করে গুল্মজাতীয় গাছের সাহায্যে ছায়া তৈরি করতে পারেন বা এমন জায়গায় বাগান তৈরি করুন যাতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর থেকে সেখানে ছায়া পড়ে যায়। খেয়াল রাখুন মধ্যাহ্নসূর্যের রোদ যেন গাছে না পড়ে।
সার : গরম যত বাড়বে পোকামাকড়ের দাপটও তত বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে এ সময় গাছের গোড়ায় পোকা হয়। সময়মতো দেখভাল না করলে চারাজাতীয় গাছ কিন্তু অনেক সময় মারা যায়। ফলে প্রথম থেকেই সার মিশিয়ে মাটি তৈরি করুন। ডিমের খোসা শুকিয়ে গুঁড়া করে মাটিতে মেশান। গরমকালে যে ধরনের পোকার উপদ্রব বাড়ে তার জন্য গোলমরিচ হলো মোক্ষম ওষুধ। ১ লিটার পানিতে ১০ গ্রাম গোলমরিচ গুঁড়া মিশিয়ে পেপার স্প্রে তৈরি করুন। রোজ রাতের দিকে অল্প অল্প করে গাছের গোড়ায় স্প্রে করুন। তাহলে দেখবেন পোকামাকড়ের উপদ্রব অনেকটাই কমবে।
দেখভালের প্রয়োজন : এ সময় অনেকেই বাড়িতে শাকসবজির বাগান করে। তবে কুমড়া, উচ্ছে, লাউয়ের মতো গাছের ফুল, পাতা ও ফল প্রখর রোদে শুকিয়ে বা পুড়ে যেতে পারে। তাই লতানো গাছের ওপর কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে রাখুন, এতে সরাসরি রোদ গাছের ওপর পড়বে না। এ ছাড়া এ সময় আবহাওয়া যখন তখন বদলাতে থাকে। কালবৈশাখি শুরু হলে টবগুলো নিরাপদ স্থানে রেখে আসুন। কিন্তু ঝড় কমে গেলে গাছগুলো একটু বৃষ্টিতে ভিজতে দিন। এ সময় বৃষ্টির পানি গাছের জন্য খুবই ভালো।