× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

চেনা অচেনা পদচিহ্ন ধরে

অরণ্যা সরকার

প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৪৬ পিএম

আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৪১ পিএম

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশ ভ্রমণে এসেছিলেন অরণ্যা সরকার

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশ ভ্রমণে এসেছিলেন অরণ্যা সরকার

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশ ভ্রমণে এসেছিলেন অরণ্যা সরকার। শেকড় স্পর্শে বারবার আবেগে ভেসেছে তার কবি হৃদয়। স্মৃতিকাতরতায় এ ভ্রমণে ছুঁয়ে গেছেন বাংলাদেশের প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও মানুষ। আর সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন ঘুরিয়ার পাঠকের জন্য

‘আবার বছর কুড়ি পরে তার সাথে দেখা হয় যদি’ ভাবতে ভাবতে নাটোর পেরিয়ে যাচ্ছে বালিকা বয়স। পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই জীবন ফুঁড়ে তাকিয়ে আছে কিশোরী দুচোখ। উপচে পড়ছে ভেতরের জল। জলজ গন্ধে আয়না বসানো। কত ছবি হামাগুড়ি পেরিয়ে উঠে দাঁড়াচ্ছে। ভেতরের ছবি। বাইরের ছবিতে একটা অটো ছুটছে। এখানে বলে সিএনজি। সিএনজির যান্ত্রিক শব্দের ভেতর নিজের টুকরো জোরা দিতে দিতে জন্মভূমির নীরবতার দিকে যাচ্ছি। ধান কাটা মাঠের পাশে নতুন ফসলের আয়োজন, শর্ষে ফুলের হলুদ হইহই, ইটভাটা, মজে আসা বিলের ধারে একা বকের মৌনতা পেরিয়ে যাচ্ছি। দেখছি অথবা দেখছি না। নাকি প্রস্তুত হচ্ছি? ‘শেকড়ের সন্ধানে’ বা ‘শেকড়ের খোঁজে’ এমন একটা ক্যাপশন দিয়ে প্রকৃতি আর নিজের সেলফি সাজিয়ে বেশ একটা ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু সে সক্রিয়তা নেই। ইচ্ছা আর ক্রিয়ার মধ্যে বিরোধটা নতুন নয়। তবে এ মুহূর্তে এক অচেনা স্থবিরতা গিলে ফেলছে। 
‘এই যে আপনার নন্দিগ্রাম চলে আসছে ম্যাডাম, এখন কন কুন দিকে? কিছু চিনতে পারেন?’ ‘কলেজ থেকে বাঁদিকে যেতে হবে এটুকুই মনে আছে। একবার জিজ্ঞেস করুন তো হিন্দুপাড়াটা কোনদিকে।’ 

জন্মভিটায় লেখক
সিএনজি চলেছে বলে দেওয়া ঠিকানার উদ্দেশে। কোনো চেনা চিত্র নেই। পঁয়ত্রিশ বছরে বদলে গেছে সব। এ এক অন্য ভুবন। কুয়াশার ভেতর থেকে উঠে এলো চেনা চেনা রাস্তা। রাস্তায় কিছু মানুষ রোদে পিঠ দিয়ে দাঁড়িয়ে। নিজের নাম, বাবার নাম বললাম। দেখলাম আমার নামেই চিনে ফেলল অনেকেই। দেখিয়ে দিল বাড়ি। কড়া নাড়ল। সে এক ‘খুল যা সিম সিম’ অনুভূতি। ওরা আমার সঙ্গে বাড়ির ভেতর গেল। বাড়ির বর্তমান গৃহকর্ত্রীর আন্তরিকতা কৃতজ্ঞতায় কুঁকড়ে দিচ্ছে। মাটির দোতলাটা এখনও ঠিক আছে। তবে ওসব ঘরে কেউ থাকে না। উঠোনে তিনটে নতুন ঘর হয়েছে। মনে হচ্ছে বাড়িটার উচ্চতা কমে গেছে। ছোটবেলার সব দেখা বড় হলে কি এভাবে ছোট হয়ে আসে? নাকি বড়ত্বের বোধ বেড়ে যায়? নারকেলগাছটা কিন্তু অনেক বড় হয়েছে। বড় শহর ঢাকা। ‘ঢাকা শহর আইসা আমার আশা ফুরাইছে’ রেডিওতে শোনা গান। কত যুগ আগে। এখন এ শহরের কাছে আমার কোনো নির্দিষ্ট আশা নেই। তবে ঢাকা শহর মিছিল দেখাল। মিছিলের মুখে মুখে অনেক আশা। কাঠবোর্ডে তৈরি নৌকা মাথায় নেওয়া কিশোর বা যুবকদের মুখে তো আলো জ্বলছে। মাথায় দিগ্বিজয়ের মুকুট। যেন মুহূর্তের রাজা। প্রায় দুই কিলোমিটার লম্বা মিছিল। ভোট প্রার্থীর ছবি আঁকা টি-শার্ট সবার গায়ে। সুশৃঙ্খল মিছিল। কোনো উদ্ধত আচরণ নেই। মুখে মুখে সহজ হাসি যা স্বতঃস্ফূর্ত আবেগের প্রকাশ। যেকোনো আবেগই আসলে সত্যি। তা সঠিক বা বেঠিক হতে পারে, কিন্তু সত্যি। অন্তত এই বিশ্বাস বহন করতে ইচ্ছা করে। তাই সব স্বচ্ছ দেখি।

লেখক ঘুরে বেড়িয়েছেন ঢাকেশ্বরী মন্দির, কবি নজরুল ও জয়নাল আবেদিনের সমাধি, শহীদ মিনার, ঢাকা ইউনিভার্সিটি, লালবাগ দুর্গ 
ছোটবেলায় ভোট মানে ছিল- ‘ভোট দিন, ভোট দিন’ কোরাস। ছিল উড়ে আসা লিফলেট, তাতে ছাপানো পাখা, মই এমন সব ছবি। সেসব খুব আকর্ষণের বিষয় ছিল। এখন শপিং মলে ঘুরতে ঘুরতে কিশোরী বা যুবতী মেয়েদের মুখে মুখে শুনছি ভোটসংক্রান্ত কথাবার্তা। হয়তো তাতে কোনো গভীরতা নেই। তবে কথা আছে। জ্যামে আটকানো গাড়িতে বসা বৃদ্ধা তার ড্রাইভারের সঙ্গে যে কথা বলছেন তাতেও মেখে আছে ভোট। এমনকি এক মায়ের কাছে শুনলাম তার পাঁচ-ছবছরের বাচ্চাও নাকি ভোটপ্রার্থী জনৈক ভাইয়ের ফ্যান। বুঝলাম প্রার্থীরা প্রায় সিনেমার হিরোর জায়গা নিয়েছে। ঢাকা ইউনিভার্সিটি, লালবাগ দুর্গ, শহীদ মিনার, ঢাকেশ্বরী মন্দির, কবি নজরুল ও জয়নাল আবেদিনের সমাধি থেকে কত কথা উঠে এলো। কথারা ডেকে আনল অন্য কথাদের। কথারা বলল ‘দেখো’। দেখলাম, রাস্তায় হিজাব পরা মেয়েদের সংখ্যা অনেক বেশি। দোকানে দোকানে পুঁতি-চুমকি বসানো বর্ণাঢ্য হিজাব। বোরকায় কত বিচিত্র। ভাবাচ্ছে। নিজেকে বোঝাই। ফিরে যাই সেই ছোট্ট পরিধিতে। আমি তো সেই সময়কেই তুলে নিয়ে যেতে এসেছি। যাই সেখানে, যেখানে ‘আমগাছ, জামগাছ বাঁশঝাড় যেন/ মিলেমিশে আছে ওরা আত্মীয় হেন’। আছে স্কুল, গান, রেডিও নাটক, গা ছমছম আর মানুষ। 

কুষ্টিয়ার লালন সাঁইয়ের মাজার
মনের মানুষের সন্ধান করে গেলেন যে মানুষ, গেলাম তার খোঁজে। কুষ্টিয়ার লালন সাঁইয়ের মাজার। ছেঁউড়িয়া গ্রাম তার ভৌগোলিক অবস্থান সরিয়ে রাখল। কবর থেকে উঠে এলো অধরা অচিন পাখি। চোখের সামনে লালন ফকিরের কবর ভাবতেই যে শিহরন, তাকে যত্ন দিল বাতাসে থেকে যাওয়া কথা ও সুর। জীবন দর্শনের সেই সব অনাড়ম্বর কথা জড়িয়ে ধরল বন্ধুর মতো। তার গান শুনলাম। গায়কদের সঙ্গে পরিচয় হলো। তারা ফোন নাম্বার দিলেন। লালন মেলায় আসার জন্য আমন্ত্রণ জানালেন। ভারতে অনুষ্ঠানের জন্য আবেদন করলেন। কুণ্ঠিত হলাম। কতটুকু ক্ষমতা আমার। ‘আপন ঘরের খবর কতটুকুই-বা জানি? সাধনতত্ত্ব ছাপিয়ে উঠল খিদের রঙ। 

শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে লেখক
এলাম শিলাইদহে। পদ্মা গুনগুনিয়ে বয়ে চলেছে। ইতিহাসকে অতিক্রম করে একটা মায়াপ্রবাহও বইছে তীর তীর। রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি হাতে নিয়ে বসেছিল কুঠিবাড়ি। সরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ‘ঠাকুর স্মৃতি জাদুঘর’ যেন এক ধূসর জগৎ। বাগান, পুকুর, কবির ব্যবহৃত জিনিস সবকিছু থেকে নিষ্ঠা ও যত্নের ছাপ ফুটে উঠল। এ শুধু সংরক্ষণ নয় ভালোবাসা আর আবেগের অকপট প্রকাশ। ছুঁয়ে গেল। নতজানু হলাম এই নিবেদনের কাছে। 
আজ আমি পরিণত মন ও মননের মালিক। তবু কোনো বিশ্লেষণ কোনো সিদ্ধান্ত প্রাধান্য পাচ্ছে না। এদেশের আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পৃষ্ঠা খুলে পড়িয়ে নিচ্ছে না তাদের বর্তমান। দেশভাগ, কাঁটাতার, ধর্ম, বিচ্ছিন্নতা কিছুই সামনে এসে দাঁড়াচ্ছে না। বরং মনে হচ্ছে এই রোদ বৃষ্টি আলো পাখি কেউ ভাগ করতে পারে? ভাষা চিরে টুকরো করা যায়? মনে হচ্ছে এই ফিরে আসা আমাকে অনেক ‘না’ থেকে সরিয়ে আনল। মনে করিয়ে দিল, ‘তোমার মহাবিশ্বে প্রভু হারায় না কো কিছু।’ চারপাশ থেকে সব কুড়িয়ে নিলাম। 

কুষ্টিয়ার শুকনো গড়াইয়ের বুক চিরে নেমে আসে কর্মজীবী মানুষের সারি
একটা মুক্তিযুদ্ধ, একটা ভাষার লড়াই হাত রাখল আমার নৈঃশব্দ্যের ওপর। সময়ের বৈঠা বেয়ে এলো মুক্তির আনন্দ, বিজয়ের উল্লাস। ধ্যানীর মতো, প্রজ্ঞার মতো সেই উপস্থিতি। বুকের ভেতর থমকে থাকা নদীপ্রবাহ পেল। পতাকা হয়ে উড়তে লাগল শতসহস্র শহীদের প্রাণ। নুয়ে পড়লাম। নির্জন বোধের ভেতর নিজস্ব জোনাকি জ্বলে উঠল একটা দুটো করে। সেই আলো জুড়ে গেল রোদের সংলাপে। সিএনজি পৌঁছে দিল আরও এক মায়া পৃথিবীতে। এ মায়া, ম্যাজিকে ভেজানো তীব্র বাস্তব। ছেলেবেলার খেলার সাথী অঞ্জনার ভাই নিয়ে এলো, মার বন্ধু আমার স্কুলের হেডমিস্ট্রেস লিলিমাসি ও তার স্বামী স্যার ওয়াদুদ স্যারের বাড়ি। ফোনে কিন্তু স্যার মেসোমশাই বলেই নিজের পরিচয় দিলেন। বিস্ময় অপেক্ষা করছিল আরও। নামাজ না পড়েই তিনি রাস্তায় অপেক্ষা করছিলেন। বুঝলাম এ কত বড় পাওয়া। চেনা চেহারার সঙ্গে মিল পেলাম না। পাকা দাড়ি, ভারী চেহারা। দেখেই বললেন, ‘তোমার ওই রকম সাদা রঙটা তো আর নাই মা।’ এখনও আমার গায়ের রঙ তার মনে আছে ভেবে চোখে জল এলো।

দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি তথা উত্তরা গণভবন 
বলা হলো না ‘রঙের ওপর কত রঙ জমেছে স্যার। সাদা-কালো অভ্যেসের মধ্যে এখন কত রঙ মজলিস বসায়। লিলিমাসির চোখও ছলছল করছিল। আমার যেটুকু ইংরেজি গ্রামার শেখা তা ওই ওয়াদুদ স্যারের কাছেই। কী রাগী মনে হতো তখন। স্নেহ থিতিয়ে গিয়ে এমন উর্বর পলি হাতে দাঁড়িয়েছে যে, নিজেকে বড় দামি মনে হলো। আবার ফিরে এলাম বাড়িতে। আমার সেই বাড়ি, যা এত দিন স্মৃতির কৌটায় রাখা ছিল। সন্ধ্যাপিসির সঙ্গে দেখা করলাম। একসময় মার সব সময়ের সঙ্গী ছিল পিসি। সেলাই করা, পিঠাপুলি, নাড়ু বানানো এমন অনেক কাজে একসঙ্গে করত দুজনে। মা অফিস গেলে আমার চুল বেঁধে দেওয়া ছিল পিসির রোজকার কাজ। আমাকে দেখে খুব অবাক হলো। রোদ্দুরে দেওয়া কুলো থেকে ডালের বড়ি তুলে দিল। বলল, ‘ভালো শুকায়নি, রোদে দিও।’ মনে হলো এই বড়ি দুদেশের রোদ্দুর পাবে। রোদ্দুর কি জানবে সে কথা? পিসি আমার দিকে তাকিয়ে থাকল অকপট। বেশি কথা বলতে পারল না। আমি শুধু জমানো ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দেখছি চারপাশ, মানুষজন। বুঝতে পারছি বাইরের ছবি পাল্টে গেলেও ভেতরটা বদলায়নি। বাড়িটা আমাকে ঠিক চিনতে পেরেছে। নারকেলগাছটা জিজ্ঞেস করছে, ‘কেমন আছ?’ চারদিক থেকে সবাই খেয়ে যেতে বলছে- ‘এই দুপুরে ভাত না-খেয়ে যাবে মা, তাই কী হয়?’ খেলাম। ভাত তো নয়, ভালোবাসার দানা।

লেখকের ছবিতে বাংলাদেশের প্রকৃতি ও মানুষ
বারান্দার এক কোণে মা রান্না করত। মা আর সন্ধ্যাপিসি মিলে দুটো উনুন বানিয়েছিল। দেখলাম উনুন দুটো এখনও আছে। বাড়ির বর্তমান গৃহিণী বললেন, ‘ওই আখায় আমরা রাঁধি না মা, যত্ন করে রাখছি।’ চমকে উঠলাম। যেন অন্যের স্মৃতি আগলে রাখার দায় তার। মানুষ এভাবে মানুষের চিহ্ন আগলে রাখে! কেন জানিনি এত দিন? কে্ন শিখিনি বুক মুচড়ে দেওয়া এই যত্ন? উনুনের পেছনের দেয়ালটা এখনও কালো হয়ে আছে। জানতে চাইলাম এই কালিও কি আগের? জানলাম মার শেষ রান্নার ধোঁয়া জড়িয়ে রেখেছে মাটির দেয়াল। বুকের ভেতর হু হু ডাক তীব্র হয়ে উঠল। মনে হলো মার রান্নার গন্ধ লেগে আছে। আমার পিঁড়ি পেতে বসে থাকা অপেক্ষা লেগে আছে। ঝিঙে মাচার হলুদ ফুলেরা আছে। পাশের কয়েকটা বাড়ি ঘুরে এলাম। দেখলাম সবাই চিনতে পেরেছে। সন্তোষ কাকু বলল, ‘দ্যাখো মা এরা তোমাকে ভোলেনি। সন্তোষ কাকু তো আমাদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার সাল-তারিখ-বার সব মুখস্থ বলে গেল। এরা কীভাবে আমার শৈশব লালন করে রেখেছে ভাবতেই স্নিগ্ধ আলোয় নড়ে উঠল ভেতরের অন্ধকার। 

ফেরার রাস্তাগুলো তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। চরাচর বলছে, ‘এই দ্যাখো, তুমি। এই দ্যাখো তোমার তুমি হয়ে ওঠার সরঞ্জাম। এরা অফুরান, এদের মৃত্যু নেই। ঝাঁপ দিলাম। ডুবে গেলাম। অটোর শব্দ ডুবে গেল অন্য এক শব্দের মায়া জন্মে। মানুষ মানুষ, আসলে তো মানুষই সময়। দেশ কোনো ভূখণ্ড চেরা মানচিত্র নয়। মানুষই প্রকৃত দেশ। দেশ হলো হৃৎপিণ্ডের জমিজিরেত। আমার চাষযোগ্য ক্ষত। আমার বারবার ফিরে যাওয়ার আহ্বান...
 
লেখক : সদস্য, বাংলাদেশ ট্রাভেল রাইটার্স এসোসিয়েশন

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা