রামাইতা বিনতে রায়হান
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ১২:০০ পিএম
আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ১২:০৮ পিএম
ছবিটি এঁকেছে মুবাশশিরা মুরতাষা মৌণতা। সে ঢাকার মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অষ্টম ম্রেণির শিক্ষার্থী
ঈদের আগের দিন সন্ধ্যার আকাশে চাঁদ ওঠে। এই চাঁদই মূলত আমাদের কাছে খুশির সংবাদ পৌঁছে দেয়। কাল ঈদ। এই আনন্দের খবরে আমরা মেতে উঠি। উল্লাস করি। বাড়ির ছাদে উঠে চাঁদ দেখতে যাই। চাঁদ দেখতে যাওয়ার সময় আমরা অনেকেই অনেক চিন্তায় থাকি, ‘আচ্ছা চাঁদ কি দেখতে পাব? আসলে কালকেই কি ঈদ হবে? যদি চাঁদ না দেখতে পাই, তাহলে কী করব? এসব প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খায়। সবাই দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করি, ‘কখন পশ্চিম আকাশে চাঁদ উঠবে?’ কাঙ্ক্ষিত বস্তুটি যখন দেখতে পাই, তখন আনন্দ ও উল্লাসের বন্যা বয়ে যায়। তখন বাবার মোবাইল ফোন দিয়ে চাঁদের ছবি তুলি এবং বাসায় এসে দ্রুত সেই ছবি আমার বান্ধবীদের পাঠিয়ে দিই। এরপর সবাইকে ঈদ মোবারক জানাই এবং ঈদ মোবারকের এসএমএস পাঠাই। তারপর সবচেয়ে আনন্দের বিষয় মেহেদি দেওয়া, বিশেষ করে মেয়েদের জন্য। আগে থেকেই মেহেদির ডিজাইন ইন্টারনেট থেকে বের করে রেখেছিলাম অনেকগুলোই। সন্ধ্যার দিকেই আপু ও ভাইয়া চলে এসেছিল। আপু নাকি সে রকম ভালো মেহেদি দিতেই পারে না, আমি ছোট থেকে নিজের হাতের মেহেদি দিতে শিখেছি। কিন্তু সে রকম যে ভালো তা না। মোবাইলে সেই মেহেদির ডিজাইন দেখে নিজেও মেহেদি দিয়েছি ও আপুকেও দিয়ে দিয়েছি। ঈদের দিনের জন্য রান্নাবাড়ির অনেক ব্যস্ততা থাকে। টেলিভিশনে ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির দিন’ গানটি বাজতে থাকে। আমরা সবাই টিভিতে অনুষ্ঠান দেখতে থাকি। আম্মু সতর্ক করে বলেন, ‘বেশিক্ষণ রাত জেগো না, কাল সকাল সকাল উঠতে হবে।’
সপ্তম শ্রেণি, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা