অমর্ত্য রূপাই
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৫৬ এএম
আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ১২:০৮ পিএম
অলংকরণ: জয়ন্ত সরকার
ঈদ মোবারাক। একদম ছোটকালে বলতাম, ই-ত-তো-মা-রো-ক। শুধু এ শব্দ ছাড়া ঈদের তেমন কিছুই মনে নেই। মনে আছে, ২০১৮ সালের ঈদের দিনে ধানমন্ডি-৩২-এ গিয়েছিলাম। ২০১৯ সালের ঈদটা ছিল কিছুটা অন্য রকম। সেবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বমি শুরু হয় তীব্রভাবে। সেজন্য আর ঘুরতে পারিনি। ২০২০ সালের ঈদে তো বাসায় বসেই কাটিয়েছি। কিন্তু বাসার সেই সময়টাও ছিল অন্য রকম, সবার সঙ্গে বেশ আনন্দ করেছিলাম। আড্ডা, গল্প, খাবারেও সেবার ছিল একটা অন্য রকম কিছু। নতুন পাঞ্জাবি পরে বাসায় নামাজও পড়েছিলাম। বেশ মজা করেই সেই ঈদটা কেটেছিল। ২০২১ সালের ঈদে অবশ্য একটু ঘুরতে গিয়েছিলাম। তাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি পর্যন্ত। এইটুকু হলে কি আর হয়? পরদিন সাদাত ভাই আমাদের বাসায় এলো। সেদিন পারিবারিকভাবে কাটিয়ে দিলেও সেবার ঈদে আসলে খুব বেশি একটা মজা লাগেনি শেষমেশ। ঈদের আগের রাতের মজাটি খুব উপভোগ করি। যাকে ‘চাঁদরাত’ বলে। তবে কোভিডের পর থেকে চাঁদরাতের ঘোরাটা কমে গেছে। এখন আর ঘুরতে যেতে পারি না। ২০২৩ সালের রোজার ঈদটা আমাদের জন্য আরও বেশি মজার ছিল। কারণ সেবার আমরা বাসায়-ই ছিলাম না। মামনি তখন গাড়ি চালায়। সেবার আমরা গাড়িতে করে অনেক আত্মীয়ের বাসায় গেলাম। এক আত্মীয় ঢাকার পাশে মুন্সীগঞ্জ থাকে। আমরা ওই আত্মীয়ের বাসায় গেলাম। উনারা আমাদের দেখে খুব খুশি হলো। আমাদেরও খুব আনন্দে কাটল। মানুষ আসলে ঈদের আগে পোশাক কেনার জন্য অনেক ভিড় করে। তবে আমার মতে, প্রয়োজন ছাড়া অতিরিক্ত কেনাকাটা করা একদম অযৌক্তিক। তবে যাদের প্রয়োজন, তাদের এই সময়টাই একমাত্র সুযোগ বোনাসের টাকা দিয়ে পোশাক, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার। ঈদ পালন করতে হবে মন ও প্রাণ থেকে, জোর করে নয়।
অষ্টম শ্রেণি, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা