অলীন বাসার
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৪ ১১:৫৮ এএম
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৪ ১২:১০ পিএম
গল্পের সঙ্গে সুন্দর ছবিটি এঁকেছে মিথিলা ভৌমিক। সে ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী
তমালের আজ জন্মদিন। খুব আনন্দ হচ্ছে তার। মা জন্মদিন উপলক্ষে তাকে একটি ময়না পাখি কিনে দিলেন। বললেন, ‘এটা তোমার উপহার।’ তার অনেক দিনের শখ ময়না পোষার।
সে আনন্দে লাফ দিয়ে বলল, ‘ধন্যবাদ মা।’ তমাল ময়নাটাকে বলল, ‘বলো, জন্মদিনের শুভেচ্ছা।’ ময়না বলল, ‘চুপ।’
তমাল থতমত খেয়ে গেল। বলে কী পাখিটা? মাকে বলল, ‘মা, ময়না ঠিকমতো কথা বলছে না কেন?
আমি বলতে বলি একটা, ও বলে আরেকটা।’ মা বললেন, ‘ও কখনও তোমার সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলবে না।’
‘কেন?’ ‘
ওকে জিজ্ঞেস করো।’
তমাল ময়নাটাকে জিজ্ঞেস করল, ‘তুমি আমার সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলবে না?’
‘না।’
‘কেন?’
‘কারণ তুমি ঠিকমতো লেখাপড়া করো না।’
‘আজ তো আমার জন্মদিন।’
‘আজ তো আমারও জন্মদিন। আমি লেখাপড়া করতে চাই।’ বলল ময়না।
‘করো।’
‘বই এনে দাও। তুমিও পড়তে বসো। আজ থেকে আমি তোমার নতুন শিক্ষক।’
তমালকে পড়তে বসতে হলো। না হলে পাখিটা তমালের সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলবে না। তবে মনে মনে তমাল একটু আনন্দই পেল।
মা যা-ই বলুক ময়না কিন্তু কিছু কথা ঠিকই বলছে।
তমাল পাখিটার সঙ্গে ঠিকঠাক পড়াশোনা করতে লাগল।
একদিন খুব গরম পড়েছিল। গরমের সময়।
তমাল ভাবল পাখিরও বুঝি খুব গরম লাগছে।
ময়নাকে গোসল করাতে নিয়ে গেল তমাল।
পাখির গায়ে যখনই পানি দিল তখনই পাখিটা ফেটে গেল।
ছুটে মা’র কাছে গেল তমাল। জিজ্ঞেস করল, ‘পাখিটা ফেটে গেল কেন?’
‘কারণ এটা রোবট ছিল।’ বললেন মা। ‘আমি চেয়েছিলাম তোমাকে দিয়ে ঠিক সময় লেখাপড়া করাতে।’
তমালের মন খুব খারাপ হয়ে গেল। পরের জন্মদিনে মা ওকে সত্যিকারের ময়না পাখি কিনে দিলেন।
দশম শ্রেণি, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা