খন্দকার সুহায়েব আদিব
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৪ ১৩:২১ পিএম
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৪ ১৩:২৪ পিএম
দুজন কিশোর মুক্তিযোদ্ধার ছবি এঁকেছে নিঝুম নিসর্গ। সে খুলনার সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী
সোহরাব উদ্দিন দাদু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। একাত্তরে যুদ্ধ করেছেন। লড়াই করে দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আমাদের স্কুলের অনুষ্ঠানে তাকে একবার অতিথি করা হয়। সেদিন আমরা তার কাছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনলাম। আমাদের এই লক্ষ্মীপ্রসাদ গ্রামে তাদের মুক্তিযুদ্ধের ক্যাম্প ছিল। একটি পরিত্যক্ত দ্বিতল ভবনে তারা থাকতেন। আশপাশের এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা এখানে এসে একত্রিত হতেন। এই ক্যাম্প থেকেই যুদ্ধ পরিচালনা হতো। পাকিস্তানি সৈন্যদের মোকাবিলা করতেন। মুক্তিযোদ্ধারা খেয়ে না-খেয়ে থেকেছেন। কত রাত ঘুমাতে পারেননি। পাহারা দিয়েছেন। বর্ষাকালে যাতায়াতে তাদের ভীষণ কষ্ট হয়েছে। তারপরও পিছপা হননি। তাদের একটাই চিন্তা দেশের স্বাধীনতা। বক্তৃতা শেষ হলে আমরা তার সঙ্গে সেই ক্যাম্পে গেলাম। সেটি আমাদের স্কুলের পাশেই। দেখালেন তারা কোথায় থাকতেন। কোন জায়গায় অস্ত্র রাখতেন। আরও কত গল্প। তাকে সবাই এলএমজি কেন বলেন, তাও শোনালেন। তিনি এলএমজি নামের একটি অস্ত্র চালাতেন। এজন্য তাকে এলএমজি বলা হয়। সেদিন আমি দাদুর মুখ থেকে তার এলএমজি হওয়ার ঘটনাটি জানতে পারলাম। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার মুখে যুদ্ধের কথা শুনতে পারাটাও আমাদের জন্য ছিল অনেক গর্বের।
পঞ্চম শ্রেণি, পালামগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দোহার, ঢাকা