সুমাইয়া সুমি
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৪ ১১:৪১ এএম
তাজমিন হায়দার
স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা মোবাইল হাতে পেলে কার্টুন দেখে, সিনেমা দেখে অথবা গেমস খেলে। মাঝেমধ্যে মুখ বাঁকিয়ে সেলফি তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে। তবে তাজমিন হায়দার মোবাইল হাতে পেয়ে করে অন্য কাজ।
তাজমিন মোবাইল ক্যামেরায় তুলে আনে প্রকৃতি ও বাস্তবতার ছবি। ছবির মাধ্যমে তুলে ধরে সমাজের রূঢ় বাস্তবতা। সম্প্রতি ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে তাজমিনের তোলা ছবি নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো একটি প্রদর্শনী।
প্রদর্শনীতে ঠাঁই পেয়েছিল তাজমিনের তোলা ৫৩টি ছবি। ছবি তোলার পাশাপাশি রঙতুলিতেও তাজমিন সিদ্ধহস্ত। এ প্রদর্শনীতে তার আঁকা ৫টি ছবিও স্থান পেয়েছিল।
মজার ব্যাপার হলো, প্রদর্শনীতে থাকা অধিকাংশ ছবিই বিক্রি হয়ে যায়। ছবি বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া গেছে তার পুরোটাই তাজমিন তুলে দিয়েছে ইরামন ফাউন্ডেশনের হাতে। যারা এ টাকা দিয়ে সমাজের নিপীড়িত নির্যাতিত অসহায় মানুষের সহায়তায় কাজ করবে।
কথা হয় তাজমিনের সঙ্গে। নিজের ছবির বিষয়ে বলে, ‘যে কথা মুখে প্রকাশ করা যায় না, যে কথা হাজারো বলেও মানুষকে বোঝানো যায় না সে কথা একটা ছবি দিয়ে খুব সহজে প্রকাশ করা সম্ভব। প্রতিটি ছবির নিজস্ব একটা ভাষা আছে। প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া আমার ছবিগুলোয় সমাজের নানা গল্প লুকিয়ে ছিল। একেকজন দর্শক নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গিতে তা উপলব্ধি করেছেন। আমার এটা ভালো লেগেছে। আগামীতেও এমন আরও কাজ করতে চাই। প্রাণপ্রকৃতির সঙ্গে বলতে চাই সমাজের গল্প।’
অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী তাজমিন ভবিষ্যতে সমাজের নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায়। তার ছবি ও ক্যামেরায় তুলে আনতে চায় সমাজের বিভিন্ন মানুষের না বলা গল্প। প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন নাট্যনির্মাতা মাবরুর রশিদ বান্নাহ, প্রত্যয় হীরণসহ নানা অঙ্গনের ব্যক্তিত্বরা।