স্বাদু সংবাদ
প্রবা
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৪ ১৪:৩৫ পিএম
বুড়োদের ডাকাত দল। ছবি : সংগৃহীত
গত বছরের মে মাসে ইতালির রোম শহরের একটি পোস্টঅফিসে সশস্ত্র ডাকাতি ঘটে। এ ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বোকা বনে যায়। কারণ ছয় সদস্যের এ ডাকাত দলের সবাই প্রায় ৬০ থেকে ৭০ বছর বয়সি। সম্প্রতি তাদের ছয়জনকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয় পুলিশ। এ দলের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ৭০ বছরের ইতালো ডি উইট, ৬৮ বছরের সান্দ্রো বারুজ্জো, ৭৭ বছরের রানিয়েরো পুলা। বাকি তিনজনের পরিচয় জানায়নি পুলিশ। তাদের নিরীহ চেহারার আড়ালে যে ভয়ংকর প্রতারক লুকিয়ে ছিল তা আবিষ্কারের পর পুলিশ অবাক বনে যায়। তাদের গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানতে পারে বয়স্ক দাদুদের প্রায় সবারই অতীতে আছে অপরাধের রেকর্ড। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, যে তিনজন পোস্টঅফিসের ভেতরে প্রবেশ করেন তাদের সবাই মাস্ক, টুপি ও সানগ্লাস পরা ছিলেন। বাইরে অপেক্ষায় ছিল বাকি তিনজন। ভেতরের তিনজন অস্ত্রের মুখে পোস্টঅফিসে রক্ষিত টাকা লুট করেন। টাকার অঙ্কও বেশ বড়, প্রায় ২ লাখ ইউরো। এর কয়েক মাস পরও তারা আরেকটি ডাকাতির পরিকল্পনা করেন। কিন্তু সেটি থেকে ফিরে আসেন। তাদের এক সদস্যের কারণেই যদিও তারা ধরা পড়েন; কিন্তু ঘটনাটি বেশ চাঞ্চল্য তৈরি করে।
ইনস্যুরেন্সের টাকা পেতে পা হারালেন
ইনস্যুরেন্সের টাকা পেতে অনেকেই অনেক ঘটনা সাজান।
কিন্তু ইচ্ছা করে দুই পা কেটে পরে দুর্ঘটনার নাটক সাজানোর কথা শুনেছেন কি কখনও? অবাক
করার মতো ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে।
ওই ব্যক্তি ইনস্যুরেন্সের টাকা পেতে নিজের দুই
পা কেটে ফেলেন। এরপর বীমা জালিয়াতির চেষ্টায় ট্রাক্টর দুর্ঘটনায় পা হারিয়েছেন বলে টাকা
দাবি করেন। বীমা কোম্পানি তার প্রতি দয়াশীল ছিল। কিন্তু প্রাথমিক তদন্তে তারা কিছু
সমস্যা দেখতে পায়। পরে এ ঘটনার গভীরে গিয়ে জানতে পারে, ৬০ বছর বয়সি এ ভদ্রলোক যে স্থানে
দুর্ঘটনার কথা বলছেন, সেখানে কারও উপস্থিতি ছিল না। এ ছাড়া তার পায়ের কাটা অংশটি বেশ
মসৃণ। যেটা ট্রাক্টরে কাটা পড়লে এমনটা হওয়ার কথা নয়।
লোকটি যখন তার বীমার টাকার জন্য কোম্পানিকে চাপ
দিচ্ছিলেন, তখন স্থানীয় পুলিশও এ কথিত দুর্ঘটনার তদন্তে নামে। তারাও বেশ কিছু গলদ দেখতে
পায়। লোকটি যখন হাসপাতালে শুয়ে কাতরাচ্ছিলেন, তখন তার এক স্বজনও তার বিরুদ্ধে পুলিশে
নালিশ করেন। তিনি যে ইচ্ছাকৃতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, এর পক্ষে কিছু প্রমাণও হাজির করেন।
ফলে লোকটি এখন বীমার টাকা তো পাবেনই না; বরং মিথ্যা নাটকের কারণে তার বিরুদ্ধে মামলার
প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ!
ছেলের বিয়ে ঠেকাতে মায়ের হামলা!
পরিবারের অমতে বিয়ে করতে গিয়ে ছেলেদের অনেক ধরনের
সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এমন অনেক ঘটনা কমবেশি সবাই জানি। কিন্তু কনের গায়ে রঙ ঢেলে
দেওয়ার ঘটনার কথা শুনেছেন কখনও! মেক্সিকোর সোনোরা প্রদেশের সিউদাদ ওব্রেগন শহরের এক
ধনাঢ্য পরিবারের নারী তার ছেলের বিয়ে ঠেকাতে করলেন এমনই অবাক কাণ্ড। তার ছেলে তাদের
চেয়ে গরিব পরিবারের এক মেয়েকে ভালোবেসে বিয়ে করতে চান। অনেকভাবে নিষেধ করার পরও ছেলেটি
বিয়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্নও করে। ছেলেকে ফেরাতে না পেরে বিয়ের দিন ওই মা তিন সন্ত্রাসী
ভাড়া করেন। ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগে বিয়ের নির্দিষ্ট দিনে তাদের কাজ দেওয়া হয়, কনের সাদা
পোশাকে যেন লাল রঙ ছিটিয়ে দেয় তারা! বিয়ের দিন কনে যখন বিয়ের পোশাক পরে অনুষ্ঠানপ্রাঙ্গণের
বাইরে তার পরিচিত কয়েকজন নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন, তখনই ওই তিনজন লাল রঙ ছুড়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনাটি আবার রেকর্ড করার ব্যবস্থাও করেন ছেলের মা। পরে তিনি এ ভিডিও এবং ছবি অনলাইনে
ছড়িয়ে দেন। ঘটনাটি মুহূর্তে ছড়িয়েও পড়ে নেট দুনিয়ায়। তিনি ছিলেন তখন প্যারিসে, অবকাশযাপনে।
ভেবেছিলেন বিয়েটা ভেঙেই যাবে। কিন্তু ফল হলো উল্টো। তার ছেলে ভালোবাসার মানুষকে ঠিকই
বিয়ে করেন।