শচীন্দ্র নাথ গাইন
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৪ ১২:৪০ পিএম
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৪ ১৩:২৬ পিএম
অলংকরণ : মিজান স্বপন
শালিক নাচে
শচীন্দ্র নাথ গাইন
চালতাগাছে আলতা পায়ে
সকাল-দুপুরবেলা
দুটো শালিক নেচে নেচে
খেলতে থাকে খেলা।
তাই দেখে খুব হাততালি দেয়
একা একা খোকা
ধরতে ওদের বায়না ধরে
হয় বড় একরোখা।
চেঁচিয়ে জোরে ডাকতে থাকে
মাতিয়ে বাড়ি-পাড়া
কাণ্ড দেখে ছুটে এসে
মা তাতে দেন সাড়া।
‘মুক্ত পাখি গাছেই ভালো
নাচুক ডালে ডালে’
মায়ের কথায় থেমে খোকা
নাচে ওদের তালে।
পাতার খেয়া
সুমন মাহমুদ
পাতার খেয়া ভাসিয়ে হাওয়ায়
মন উদাসী খুকির চাওয়ায়
কে যেন কে দিচ্ছে দোলা
হচ্ছে খুকি আলাভোলা।
রোদ ঝুরঝুর দুপুর তাকে
ঘুঘুর ডাকে মাতিয়ে রাখে।
শিরীষগাছের শূন্য শাখায়
মিষ্টি সে রোদ ঝুলে থাকায়
মনটা খুকির যায় হারিয়ে
ডাকছে কে যে হাত বাড়িয়ে…
খুকির সাজ
স্বপন শর্মা
জামা-জুতো পরে দেখি সেজে আছে খুব
চেয়ে থাকি খুকি সাজে কী যে অপরূপ
গোছা গোছা চুড়ি হাতে, কপালেতে টিপ
পরিপাটি চুলে আছে রঙিন ক্লিপ।
ফিতে দিয়ে বেণি বাঁধা মাথা ভরা চুল
দু-কানে ঝুমকো লতা ঝুলে থাকে দুল
নাকেতে নোলক পরা অপরূপ সাজে
পায়ের নূপুরগুলো, রুনু-ঝুনু বাজে।
খুকির চোখেতে চোখ যেই পড়ে ঠিক
দাঁত দুটো বের করে হেসে ওঠে ফিক।
পলকে পলকে দেখি রূপে খেলে ঢেউ
দেখেশুনে মনে হয়, নবরূপে কেউ!
নকল বাঘ
শাহরিয়ার শাহাদাত
পার্কে নতুন বাঘ এসেছে
খবর গেল রটে
শুনেই টুশি বলল– দাদু
কী কাণ্ড-ই না ঘটে!
ঘর থেকে আজ বেরোব না
আছি ভীষণ ভয়ে
সোঁদরবনের বাঘ ঘুরছে
পার্কে, লোকালয়ে!
বাঘ মামাদের সামনে গেলে
‘হালুম’ করে রাগে
হলুদ রঙের জামা তাদের
ডোরাকাটা দাগে।
টুশির কথায় হাসছে দাদু
বলল– বোকা মেয়ে
ভয় কেন পাও, নকল সে বাঘ
দেখবে নাকি চেয়ে?
পার্কের ওই বাঘ মামাটা
শুধুই বসে থাকে
‘হালুম’ বলে রাগ করে না
নিঃস্বাস নেই নাকে!
চাইলে তুমি চড়তে পার
বাঘ মামাটার পিঠে
রঙচঙে রঙ বাঘটা গড়া
সিমেন্ট বালু ইটে।