নীরা নুসাইবা
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৪ ১২:২৮ পিএম
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৪ ১২:৩৫ পিএম
এ সুন্দর ছবিটি এঁকেছে মিথিলা ভৌমিক। সে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী
রোজা দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। পড়াশোনায় খুব ভালো। ওর মা-বাবা খুশি হয়ে ওকে নিয়ে প্রায় বেড়াতে যেত। রোজার একটা বিড়াল ছিল। রোজার বিড়ালটির নাম টুকটুকি। একদিন সে বিড়ালটাকে নিয়ে বড় একটা পার্কে বেড়াতে গেল। সেখানে অনেক মজা করল। মজা করতে করতে সে নিজের বিড়ালের কথা ভুলে গেল। বাসায় ফেরার সময় সে অনেক খুঁজেও ওকে আর পেল না। রোজা অনেক কষ্ট পেল। ভাবল- আমি গিয়ে বন্ধুদের কাছে বলে আসি। ওরা পেলে আমাকে বলবে।
বন্ধুদের কাছে যাওয়ার জন্য রওনা হলো। যেতে যেতে একটা পাখির সঙ্গে দেখা হলো। পাখিটা বলল, কী হয়েছে, রোজা? তোমার এত মন খারাপ কেন?
রোজা পাখির কাছে সবকিছু বলে স্কুলে গেল। বন্ধুদের কাছে সব খুলে বলল। বন্ধুরা বিড়ালের গায়ের রঙ জেনে নিল।
বিড়ালের চিন্তায় রোজা পড়াশোনা, স্কুলে যাওয়া ও ভাত খাওয়া ছেড়ে দিল। রোজার মা তাকে বোঝাতে চাইলে সে বলে- তোমার যদি কেউ হারিয়ে যায় তোমার কেমন লাগবে?
রোজার মা বললেন- তোমার নিজের ভুলেই বিড়ালটা হারিয়ে গিয়েছে। এখন মন খারাপ করে লাভ নেই। আমি তোমাকে আরেকটা বিড়াল কিনে দেব। তোমার মন খারাপ থাকলে আমারও মন খারাপ হয়ে যায়।
রোজা খুশি হলো। খাওয়া শুরু করল। দুই দিন পরে বিড়াল কিনতে গেল। কিন্তু দাম অনেক বেশি। কারণ সে দ্রুত ইঁদুর ধরতে পারে।
স্কুলে যাওয়ার পথে সেই পাখিটার সঙ্গে রোজার দেখা হলো। রোজার খুশি দেখে সেও খুশি হলো। রোজার বন্ধুরাও খুশি হলো। রোজা নিয়মিত বিড়ালটার সঙ্গে খেলতে লাগল।
এভাবে দুই বছর কেটে গেল। হঠাৎ একদিন রোজা একটা অদ্ভুত বিষয় দেখল। তার হারিয়ে যাওয়া বিড়ালটি খেলার মাঠে শুয়ে আছে। রোজা নিজেকে পৃথিবীর একজন সেরা সুখী মানুষ ভাবতে লাগল। সে বিড়ালটা কোলে নিয়ে কেঁদে ফেলল। তার ওজন কমে ছোট হয়ে গেছে। বিড়ালটা নিয়ে সে তার মায়ের কাছে গেল। তার মা বললেনÑ এটা হলো সেই বিড়ালটার বাচ্চা। সে তোমার বন্ধু। তাই সে মৃত্যুর সময় তার বাচ্চাটা তোমার কাছে পাঠিয়েছে। এই কথা শুনে রোজা টুকটুকির জন্য অনেক কাঁদল।
তৃতীয় শ্রেণি, বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়