মোহাম্মদ এজাজ
প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৪ ১৩:১৩ পিএম
নদ-নদী উদ্বারে দ্রত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে হবে
দেশের নদ-নদীগুলো রক্ষায় প্রাথমিকভাবে দুটি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। বর্ডার এলাকায় যে নদ-নদীগুলো আছে সেগুলোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মধ্যে অন্য যেসব নদ-নদী আছে তার জন্য আলাদ ব্যবস্থা নিতে হবে।
অনেক নদীতে পলি জমে গেছে। নাব্য কমে গেছে। এগুলোর প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে করে সঠিক ড্রেজিং করতে হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে করতে হবে। শহরের মধ্য দিয়ে যেসব নদী প্রবাহিত যেমন ঢাকার চারপাশ দিয়ে যে নদ-নদীগুলো গেছে, খুলনার ভৈরব নদ, ময়ূর নদ- এগুলোর প্রায় সবই দখল হয়ে গেছে। এ নদ-নদীগুলো উদ্বারে দ্রত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
হাইকোর্ট নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করেছে। কিন্তু এখানে একটি বড় প্র্রশ্ন, ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। নদীর ওপর ভিত্তি করে যারা জেলে সম্প্রদায় আছে, তাদের ব্যাপারে কোনো কথা বলা হয়নি। নদীর পাশাপাশি নদীপারের জনগোষ্ঠীকে বাঁচিয়ে রাখাও একটি অধিকারের জায়গা। নদীর সঙ্গে এদের সম্পর্ক অতি পুরোনো। নগরের নদ-নদীগুলো দূষণ করে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। দখলের কারণে সেচব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। নদীতে মাছ নেই। নদীগুলো দখল-দূষণ মুক্ত করতে হবে।
নদী বাঁচাতে সরকার নানা পদক্ষেপ নেয়। এগুলো সুফল বয়ে আনে না কারণ নদীকে পলিটিক্যালি প্রায়োরিটি করা হয়নি। এটা যত দিন করা না হবে তত দিন বাংলাদেশের নদ-নদীগুলো দখল হতেই থাকবে। এমনটা আমাদের আশঙ্ক। নানা রকম প্রকল্প নেওয়া হয়। দেখা যায়, বেশিরভাগই নদীর বিরুদ্ধে যায়। প্রকল্প নেওয়ার আগে নদীসম্পৃক্ত মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তাদের অধিকার রেখে কাজ করতে হবে। প্রকল্পগুলোয় প্র্রচুর দুর্নীতি হয়, সেখানে স্বচ্ছতা আনতে হবে। নদীকেন্দ্রিক প্র্রকল্প বা কাজগুলোয় কোনো ধরনের স্বচ্ছতা নেই। নেই জবাবদিহি। নদীরক্ষা কমিশন করা হয়েছে। তাদের তো খুঁজেই পাওয়া যায় না। ডিসি, পানি উন্নায়ন বোর্ড, বিআইডিব্লিউটিএসহ যারা সংশ্লিষ্ট তাদের অ্যাকাউন্টিবিলিটির মধ্যে আনতে হবে।
লেখক : চেয়ারম্যান, রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার