আরফাতুন নাবিলা
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৪ ১৬:৪৩ পিএম
রমজানে ইফতার শুরু হয় খেজুর দিয়ে। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার পর খেজুর দিয়ে খাবার খাওয়ার শুরু কি শুধুই ধর্মীয় কারণ নাকি আসলেই এর কোনো পুষ্টিগুণ আছে? চলুন তাহলে আজ এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
সুস্বাদু আর পরিচিত একটি ফল খেজুর; যা ফ্রুকটোজ ও গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। এটা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। তাই এ ফলকে চিনির বিকল্প ধরা হয়। এ ছাড়া খেজুরের রয়েছে আরও অনেক পুষ্টি উপাদান। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন বি, সি, কেসহ প্রচুর খাদ্যগুণ রয়েছে; যা প্রতিদিনের ক্যালরির চাহিদা পূরণে সাহায্য করে। আসুন এর পুষ্টিগুণগুলো জেনে নিই।
প্রোটিন : খেজুরে থাকা প্রোটিন পেশি গঠনে সাহায্য করে।
ভিটামিন : খেজুরে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে। ভিটামিন বি, এ ও সির চাহিদা পূরণের সহজ মাধ্যম খেজুর।
আয়রন : আয়রন মানবদেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান বিশেষ করে নারীদেহে আয়রনের চাহিদা পুরুষের তুলনায় বেশি। আয়রনের অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। তাই আয়রনের অভাব পূরণ করতে খেজুরের তুলনা নেই। এটি হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। যাদের হৃৎপিণ্ড দুর্বল তাদের জন্য খেজুর একটি আদর্শ খাদ্য হতে পারে যা তার রোগপ্রতিরোধে প্রতিষেধক হিসেবে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই কাজ করবে।
কোলেস্টেরল ও ফ্যাট : খেজুরে কোনো বাড়তি চর্বি ও কোলেস্টেরল থাকে না বলে খেজুর খেলে ওজন বাড়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না।
ক্যালসিয়াম : খেজুরে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা মানুষের হাড় গঠনে সহায়তা করে। খেজুরের ক্যালসিয়াম শিশুদের জন্য খুবই উপকারী; যা তাদের মাড়ি গঠনে সহায়তা করে। তাই শিশুকে খেজুর খেতে দিন।
ফাইবার : খেজুরে প্রচুর ফাইবার থাকে এবং এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত খেজুর খান তাদের পেটের ক্যানসারের ঝুঁকি কম।
উপকারিতা : নিয়মিত খেজুর খেলে উপকারিতা অনেক। চলুন জেনে নিই-
শুধু রমজানে সুস্থতার জন্য নয়, সারা বছরই ১-২টি খেজুর খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন নিজেদের সুস্থতার জন্য।