স্বাদু সংবাদ
প্রবা
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৪ ১৫:০৩ পিএম
পানির বদলে কোক খেয়ে ৫০ বছর পার। ছবি : সংগৃহীত
খাবার না খেয়ে শুধু পানির ওপর বেঁচে থাকার কথা
শোনা যায়। কিন্তু পানি পান না করে বেঁচে থাকার কথা শুনেছেন কখনও? ব্রাজিলে পাওয়া গেছে
এমনই একজন, যিনি ৫০ বছর ধরে পানির বদলে কোকাকোলা পান করে দিব্যি ভালো আছেন। ব্রাজিলের
বাহিয়া রাজ্যের ৭০ বছর বয়সি রবার্তো পেড্রেইরা বিশ্বের জনপ্রিয় কোমল পানীয় কোকাকোলার
চিনিমুক্ত ডায়েট কোক গ্রহণ করছেন পাঁচ দশক ধরে। সম্প্রতি এ খবর প্রকাশের পর ব্যাপক
আলোচনার জন্ম দেয়।
কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যখন তিনি হাসপাতালে
ভর্তি ছিলেন, তখনও পানি স্পর্শ করেননি। বরং নিজের খাবারের চার্টে ডাক্তারদের উদ্দেশে
লিখেছিলেন, ‘আমি কোনো তরল পানীয় কিংবা ওষুধ খাই না। সত্যি বলছি, আমার সঙ্গে জেদ বা
রাগ করবেন না!’ রবার্তো ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যায় ভুগলেও কোকপানের অভ্যাস ছাড়েননি।
তার নাতি জোয়াও ভিক্টর পাইকসা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমার দাদা কোকাকোলা জিরো ছাড়া
অন্য পানীয় গ্রহণ করেন না। এটা আমরা জন্মের পর থেকেই দেখে আসছি। কিন্তু তিনি স্বাস্থ্যের
প্রতি বেশ যত্নশীল।’রবার্তো পেড্রেইরা নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যান,
মেডিকেল চেকআপ করান। এখনও সুস্থই আছেন বলা যায়। কিন্তু ডায়েটে কোক ছাড়া অন্য পানীয়
ছুঁয়েও দেখেন না!
ভিক্ষাবৃত্তিতে জীবন চলে যে অভিনেতার
তিনি ছিলেন একজন পেশাদার অভিনেতা। অভিনয় ভালো লাগত কিন্তু অডিশনের ঝামেলা এবং পছন্দের চরিত্র না পেয়ে জীবনধারণের জন্য বেছে নিয়েছেন ভিক্ষাবৃত্তি। অবাক করার মতো এ ঘটনা চীনের হেনান প্রদেশের। লু জিংগাং নামে মধ্যবয়সি এ মানুষটি ভিক্ষা করছেন ১২ বছর ধরে। হেনান প্রদেশের কিনমিং সাংঘে গার্ডেনের নৈসর্গিক এলাকায় প্রতিদিন হাজারো মানুষ আসে। প্রতি সকালে ময়লা কাপড়, মুখে কালি এবং অসহায় চেহারা নিয়ে মানুষের কাছে হাত পাতেন লু। এ কাজে তার আয়ও বেশ দারুণ। প্রতি মাসেই আয় করেন ৭০ হাজার ইয়েন বা প্রায় ১০ হাজার ডলার। এ ছাড়া আছে নানাজনের কাছ থেকে পাওয়া খাবার। চীনের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা অনুযায়ী সাধারণ কোনো কাজে ৩০ হাজার ইয়েনের বেশি আয় করা সম্ভব নয়। সেখানে জিংগাংয়ের আয় বেশ ভালোই। এজন্য তাকে চীনের সবচেয়ে ধনী ভিক্ষুকও বলেন কেউ কেউ। জিংগাং স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এ কাজ ভালো লাগে। কারণ এখানে আমি আমার মতো অভিনয় করতে পারি। ভিক্ষুকের চরিত্র ফুটিয়ে তুলতেও বেশ কষ্ট করতে হয়!’ এ কাজে আগ্রহীদের কিনমিং সাংঘে গার্ডেনে আসতে বারণই
করেছেন জিংগাং! কারণ তার সঙ্গে পেরে ওঠা এত সহজ হবে না!
সবচেয়ে দ্রুতগতির খেলনা গাড়ি
বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির গাড়ি তৈরিতে বিভিন্ন কোম্পানির প্রচেষ্টার কথা শোনা যায়। বিশ্বের অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির গাড়ি প্রস্তুতকারকদের মধ্যে এটা একটা অলিখিত প্রতিযোগিতা। কিন্তু সবচেয়ে দ্রুতগতির খেলনা গাড়ির কথা শুনেছেন কখনও! জার্মানির একজন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র সম্প্রতি একটি খেলনা গাড়িতে বিভিন্ন পরিবর্তন এনে গতিময় করে তুলেছেন। গাড়িটি বর্তমানে ৯২ মাইল তথা ১৪৮ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে। আর এ কাজে তার লেগেছে প্রায় ১০ মাস। এত গতির একটি খেলনা গাড়িতে চড়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকডর্সেও নাম তুলেছেন তিনি।
৩১ বছর বয়সি এ মানুষটির নাম মার্সেল পল। যিনি
ছোটবেলা থেকেই খেলনা গাড়ির বিষয়ে আগ্রহী। খেলনা গাড়ি বিষয়ক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ
নিয়ে জয় করেছেন বেশ কিছু পুরস্কারও। কিন্তু তার ইচ্ছে হয় সবচেয়ে বেশি গতির খেলনা গাড়ির।
তখন কাজে নেমে পড়তেও সময় নেননি। ১০ মাস সময় এবং প্রায় ১০ হাজার ডলার ব্যয়ে একটি ছোট
খেলনা গাড়িতে বিভিন্ন পরিবর্তন এনে করে তুলেছেন দারুণ গতিময়। যদিও পল চেয়েছিলেন ১০০
মাইল বেগে চলবে তার গাড়িটি। কিন্তু টেস্ট রানের সময় এটি ৯২ মাইল পর্যন্ত গতি পায়। এতে
মন খারাপ হলেও গিনেস রেকর্ডটি কিন্তু এখন তার।
গ্রন্থনা : তানিয়া আক্তার