ইউসুফ আহমেদ, লালমোহন (ভোলা)
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৪ ১২:২০ পিএম
আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৪ ১৫:১৬ পিএম
টমেটো চাষে সাফল্য পেয়েছেন গৃহিণী মিনারা বেগম। প্রবা ফটো
গৃহিণী মিনারা বেগম। বাড়তি উপার্জনের কথা ভেবে জমি বর্গা নিয়ে প্রথমবারের মতো টমেটো চাষ শুরু করেন। ভোলার লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চরলক্ষ্মী এলাকায় নিজ বাড়ি সংলগ্ন ১০ শতাংশ জমিতে টমেটো চাষ করেছেন মিনারা বেগম। মিনারা বেগমের চাষ করা টমেটো গাছগুলো ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে।
মিনারা বলেন, ‘আমার স্বামী একজন কৃষক। ঘামঝরা পরিশ্রম করে সংসার চালাচ্ছেন। যে কারণে পরিবারে বাড়তি উপার্জনের লক্ষ্যে টমেটো চাষ শুরু করেছি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে দেওয়া বিনামূল্যের সার-বীজ পেয়ে দুই মাস আগে টমেটো চাষ শুরু করি। ইতোমধ্যে গাছগুলো ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে। গাছের গঠনও ভালো। আশা করি ফলনও ভালো হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘টমেটো চাষে খরচ হচ্ছে কীটনাশক, চাষাবাদের সরঞ্জাম ও জমি বর্গার টাকা। মৌসুম শেষে ব্যয় হবে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার মতো। তবে ফলন ভালো হলে এ ১০ শতাংশ জমিতে প্রায় ৫৫ মণের মতো টমেটো হবে। বাজারে এখন টমেটোর অনেক চাহিদা। দেড় মাসের মধ্যে পুরো ক্ষেতের টমেটো বিক্রি করতে পারব। মৌসুম শেষে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি হবে। খরচ বাদে ৪০ হাজারের অধিক লাভ হবে বলে আশা করছি। এ টাকা সংসারে ব্যয় করতে পারব।’
মিনারার স্বামী জামাল উদ্দিন বলেন, ‘৩৫ বছর ধরে আমি কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। প্রতি বছরই বিভিন্ন ধরনের ফসলের আবাদ করি। আমার চাষাবাদ দেখে এ বছর আমার স্ত্রী টমেটো চাষের আগ্রহ প্রকাশ করে। আমি বাসায় না থাকলেও সে নিজেই টমেটো ক্ষেতের পরিচর্যা করতে পারবে। তার আগ্রহ দেখে আমি উপজেলা কৃষি অফিসের সঙ্গে আলাপ করি। এরপর তারা বিনামূল্যে সার ও বীজ দেয়। এসব পেয়ে আমার স্ত্রী টমেটো চাষ শুরু করে। টমেটো ক্ষেতের অবস্থা এখন অনেক ভালো। সবকিছু ঠিক থাকলে আল্লাহর রহমতে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। আয়ও হবে আশানুরূপ।’
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমরা উপজেলার প্রত্যেক কৃষকের প্রতি আন্তরিক। কৃষক যেকোনো সমস্যায় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের চেষ্টা করি। কালমা ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী এলাকায় প্রথমবারের মতো এক গৃহিণী টমেটো চাষ করেছেন। তাকে বিনামূল্যে সার-বীজ দিয়েছি। নিয়মিত তার ক্ষেত পরিদর্শনের চেষ্টা করছি। ওই গৃহিণীর ক্ষেতের গাছের অবস্থা অনেক ভালো। ইতোমধ্যে তার টমেটো গাছগুলোয় ফুল এসেছে। ফলনও ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’