আইইউবিএটি ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল ২০২৪
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৪ ১২:২৭ পিএম
আইইউবিএটি আয়োজিত ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল
হাতে কয়েকটি জীবনবৃত্তান্তের কপি নিয়ে স্টলে স্টলে যাচ্ছেন সম্প্রতি স্নাতক হওয়া বেশ কিছু শিক্ষার্থী। আলাপ করছেন কাজের সুযোগ, প্রতিষ্ঠানের সুবিধা, বেতন ও নানা বিষয় নিয়ে। সব মিলিয়ে পছন্দ হলে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিচ্ছেন স্টলের বক্সে। ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার উত্তরায় ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজিতে (আইইউবিএটি) আয়োজিত আইইউবিএটি ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল-২০২৪-এ এমন অসংখ্য চাকরিপ্রত্যাশী তরুণ-তরুণীর দেখা মেলে।
সকাল ১০টায় উদ্বোধনী পর্বের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিনা নার্গিস, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান, আইইউবিএটি প্লেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যালামনাই অফিসের পরিচালক একেএম সরফুদ্দিন, আইইউবিএটির অনুষদসমূহের শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তারা। দেশবিদেশের ১০০টির বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয় এবারের ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যালে।
দিনব্যাপী আয়োজনে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রয়োজন অনুসারে জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ, বাছাই ও সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। আরও কিছু প্রতিষ্ঠান মেলা শেষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে বলে আয়োজক কমিটি জানায়। বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজন করা হয় বিশেষ ক্যারিয়ার টক। যেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দক্ষ নিয়োগকর্তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্যারিয়ারের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন। চাকরিপ্রার্থীরা দেশের নামিদামি কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে তাদের প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও দক্ষতা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন। যে জ্ঞান দ্বারা নিজেকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে তৈরি করতে পারবেন।
আইইউবিএটির প্লেসমেন্ট অফিসের আয়োজনে এ ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল-২০২৪-এ সহযোগী পার্টনার হিসেবে ছিল বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব), কিরণ, এক্সিলেন্স বাংলাদেশ, কমিউনিটি পার্টনার সম্ভব জব, নলেজ পার্টনার হিসেবে ছিল প্রথমা প্রকাশনী।
দেশে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষাবিদ এম আলিমউল্যা মিয়ান ১৯৯১ সালে আইইউবিএটি প্রতিষ্ঠা করেন। ঢাকার উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরে ২০ বিঘা জমিতে স্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।