প্রিয়বত চক্রবর্তী
প্রকাশ : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:২৪ পিএম
আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৩৪ পিএম
গল্পের সঙ্গে সুন্দর ছবিটি যারীন নাযাহ্ অথৈ। সে রাজশাহীর সরকারি প্রমথনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী
নিকলী নিজেকে অনেক গুণী মনে করে। সত্যিই তা মনে করার মতোই। তার অন্যতম যোগ্যতা সে তার অভিনেত্রী মাকে কাটায় কাটায় নকল করতে পারে। সে নতুন এক বন্ধুর পায়। বন্ধুও ওর মতো। নিকলীর চাচা বিদেশে থাকেন। তিনি নিকলীর জন্মদিনে একটি পাখি উপহার দেন। ওই পাখি কোনো সাধারণ পাখি নয়। ভাষা শিখিয়ে দিলে সে নিজে নিজে শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে বাক্য গঠন করতে পারে। এমনকি মানুষের কথা শুনেও পাখিটি শব্দ শিখতে পারে। তা দিয়ে বাক্যও গঠন করতে পারে। নিকলী এসব কিছুই জানত না। পাখিটির দামও আকাশছোঁয়া। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার। অবাক হওয়ার মতো বটে। নিকলী পাখিটির নাম রাখে মিঠু। তবে তার পক্ষে মিঠু শব্দটি উচ্চারণ যেন খুব কঠিন মনে হয়। নিকলীর মনে হয় সে নামটা দিয়েছে বটে কিন্তু উচ্চারণে অনেক ভারী একটা শব্দ। নিকলীর সামনের দুটো দাঁত নেই। তাই এক দিন উচ্চারণে ভুলের কারণে ঘটল আরেক কাণ্ড। মিঠুর খাঁচার কাছে গিয়ে ‘মিটু, মিটু’ বলে ডাকতে থাকে নিকলী। তাতে মিঠু রাগ করে বলে, ‘আমার নাম তো মিটু না, মিঠু; তুমিই না দিলে এই নামটি!’ নিকলী অবাক! পাখি কথা বলছে মানুষের মতো করে! আর তা শুনে লজ্জায় দৌড় দিয়ে পালাতে গিয়ে নিকলী মায়ের শখের অ্যালোভেরা গাছের টবের সঙ্গে ধাক্কা খায়। টবের সঙ্গে নিকলীর পায়ের ধাক্কা লেগে অবস্থা প্রায় কেল্লাফতে। নিকলী চোট পেয়ে মনে করে তার এই অবস্থার জন্য দায়ী পাখিটা। খুব ভাবতে থাকে নিকলী। তার কাছে মনে হয় এই দুঃখের গল্প হয়তোবা বলিউডের কোনো মুভিকেও হার মানাবে।
অবশ্য সেই পাখি যে কথাও বলতে পারে তা ওই দিনই জানতে পারল নিকলী। শুধু নূতন বন্ধুই নয় আরও যেন নূতন কিছুর সন্ধান পেল নিকলী। সবই বিস্ময়, শুধুই বিস্ময়।
ষষ্ঠ শ্রেণি, নালন্দা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা