সাহিদা আক্তার
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:১১ পিএম
নিজের সৃষ্টিশীলতার ডানায় ভর করে সাফল্যের শেখরে যেতে হবে। সফলতা পেতে হলে চাই প্রাণবন্ত চেষ্টা। চলার পথে বাধা আসতেই পারে। তা কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়াই তারুণ্যের শক্তি। সফল হতে চায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবে কিছু ভয়ের কারণে অনেকের পথচলা থেমে যায়। ভয়গুলো সাফল্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পেতে কোন কোন ভয় জয় করতে হবে? চলুন দেখে নেওয়া যাক-
ফেলে আসা জীবনের ভুলগুলোকে বড্ড ভয় পায় মানুষ। এ কারণই নতুন পথে পা বাড়ানোর আগে ভয় পায়। জীবন তো ঠিক-ভুল মিলিয়েই। আবার না হয় একবার করবেন। নতুন কিছু শিখবেন। আর এভাবে সমৃদ্ধ হবেন। ভালোবাসা প্রকাশের ক্ষেত্রে ভয় সবচেয়ে বেশি কাজ করে। যদি উলটো দিকের জন না বলে তখন কী হবে? উত্তর না হলে গতিপথ পাল্টে নেবেন আর ‘হ্যাঁ’ হলে প্রেমের জোয়ারে গা ভাসিয়ে দেবেন।
জনসমাগমে বা খোলা মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা বলতে ভয় পান অনেকে। বিভিন্ন পরীক্ষার ক্ষেত্রেও গ্রুপ ডিসকাশনের সময় অনেকে পিছিয়ে পড়েন। মনে রাখবেন আপনার কণ্ঠ যত বলিষ্ঠ হবে, ততটাই সাফল্যের পথ মসৃণ হবে।
সমালোচনাকে ভয় পায় অনেকে। তাই অন্যের মন জুগিয়ে চলার চেষ্টা করে। এমনটা বেশিদিন সম্ভব না। সমালোচনা খোলা মনে গ্রহণ করে তা থেকে শেখার চেষ্টা করুন। শেখার কোনো বিকল্প নেই। যত শিখবেন তত জানবেন। যত জানবেন, সাফল্যের পথে ততটা এগিয়ে যাবেন। চেনা পরিধির বাইরে বের হতে ভয় পায় অনেকে। নিজের কমফোর্ট জোনে থাকতে ভালোবাসে। ঝুঁকি না নিলে সাফল্যও সীমিত হয়ে যাবে। ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে কারও সাহায্য করতে পারা একটা বড় গুণ। নিজেকে হারানোর ভয় কাটিয়ে যারা এ কাজ করতে পারে, তারাই যেকোনো মুহূর্তে নিজের জীবন পাল্টে ফেলতে পারে।
পরিশ্রম করতে আমাদের আলসেমির একটা কারণ হলো বড় বড় কাজ করতে গেলে অনেক বেশি ক্লান্তি চলে আসে। কাজের বহর দেখলেই হতাশ হয়ে যেতে হয়, কাজ করার ইচ্ছেই করে না। পরিশ্রম তো অনেক দূরের কথা। তাই যে কাজই হোক, সেগুলো যদি আমরা ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে শেষ করি, তাহলে একদিকে যেমন দ্রুতগতিতে কাজ এগোবে, অন্যদিকে পরিশ্রম করতেও ক্লান্ত লাগবে না।
মনোবিজ্ঞানী জর্ডান পিটারসন দেখিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে তাদের পারফরম্যান্স ভালো হয়। তাই একটি কলম নিন, সঙ্গে এক টুকরো কাগজ। নিজের লক্ষ্যগুলো লিখতে শুরু করে দিন।
অর্থ সঞ্চয় করুন। নিজের অর্থ সঞ্চয়ের বিষয়ে ভাবতে হবে। অর্থাৎ কোথায় গেলে আপনার জন্য সাশ্রয় হবে তাও জানা থাকা উচিত। তাই ধরুন শপিংয়ে যাবেন, তাহলে লিখে ফেলুন কী কী কিনবেন। তারপর দেখুন কোথায় সেটা আপনার জন্য সাশ্রয়ী হবে। এটি আপনাকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় থেকে রক্ষা করবে।
আমাদের আরেকটি বাজে অভ্যাস হলো নিজের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা। যেমন ‘আমি এটা পারি না বা পারব না’, ‘এটা খুব কঠিন’, ‘এ কাজটি আমার জন্য অসম্ভব’, ‘কেউ আমাকে গুরুত্ব দেবে না’, ইত্যাদি। এ ধরনের নেতিবাচক আত্ম-আলোচনা আমাদের কেবল একটি দিকে পরিচালিত করে, আর তা হলো হাল ছেড়ে দেওয়া। কিন্তু হাল ছাড়লে আমরা ভালো কিছু করতে পারব না, তাই না?
সুতরাং আপনি যদি জীবনে পরিবর্তন আনতে চান, তাহলে নেতিবাচক ধারণা ইতিবাচকভাবে ভাবুন। নিজেকে বিশ্বাস করুন। নিজের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখুন এবং ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে তুলুন।