গুগল অ্যাওয়ার্ড ফর ইনক্লুশন রিসার্চ জয়ী
জাহিদ খান
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:০১ পিএম
ড. সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ
২০২০ সাল থেকে গুগল সারা পৃথিবীর কিছু গবেষককে ইনক্লুশন রিসার্চের জন্য পুরস্কার দেয়, যাদের গবেষণা কম্পিউটার বিজ্ঞানকে ঐতিহাসিকভাবে বঞ্চিত মানুষের উপকারে নিয়ে যেতে পেরেছে। ‘গুগল অ্যাওয়ার্ড ফর ইনক্লুশন রিসার্চ’ নামের এ পুরস্কার পাওয়া প্রথম বাংলাদেশি টরন্টো ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড. সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ।
২৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরস্কারটি প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য কম্পিউটার বিজ্ঞানকে অগ্রসর করার গবেষণায় ২০২৩ সালের পুরস্কারটি পেলেন তিনি।
নিজের কাজ সম্পর্কে ইশতিয়াক বলেন, কম্পিউটার বিজ্ঞানে বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে বলার মতো কাজ খুবই কম। পশ্চিমের প্রযুক্তি এনে কীভাবে দেশে প্রয়োগ করা যায়, তা নিয়েই বেশি তোড়জোড় দেখা যায়; যার সুবিধাভোগী মূলত সমাজের ওপরের শ্রেণির মানুষ। কিন্তু বুদ্ধিবৃত্তিক জায়গা থেকে অবদান রাখতে হলে দেখতে হবে আমাদের দেশের ট্র্যাডিশনাল নলেজ কীভাবে কম্পিউটার বিজ্ঞানের জ্ঞানকাণ্ডে অবদান রাখতে পারে। দ্বিতীয়ত, কম্পিউটার বিজ্ঞান কীভাবে বাংলাদেশের বঞ্চিত মানুষের উপকারে কাজে লাগানো যায়; যার মধ্য দিয়ে স্থানীয় সংস্কৃতিও বাইরে ছড়িয়ে যাবে। মানে সাংস্কৃতিক আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে যেন এটা কাজ করে। এ জায়গাগুলোয় আলো ফেলতে চাই।
এদিকে নতুন সুখবর দিলেন ড. সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ। জানালেন, গুগলের পরে এবার মাইক্রোসফট থেকে পুরস্কার এসেছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সামাজিক প্রভাব নির্ণয় এবং নৈতিকতার ভিত্তিতে সঠিক বুদ্ধিমত্তা তৈরির নিমিত্ত মাইক্রোসফট এ বছরই এ নতুন ফেলোশিপটি দেওয়া শুরু করে যার নাম Microsoft AI & Society Fellowship. এখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সারা পৃথিবী থেকে অল্প কিছু মানুষকে তারা পুরস্কৃত করে। আমি ফেলোশিপটি পেয়েছি Reducing the Digital Divide of Generative AI in the Global South ক্যাটগরিতে। এ ফেলোশিপের মধ্য দিয়ে আমি উন্নয়নশীল দেশগুলোয় চ্যাটজিপিটি বা মিডজার্নির মতো প্রযুক্তিগুলোর ব্যবহার পর্যবেক্ষণ এবং কীভাবে সেগুলোর ব্যবহার মানুষের কাছে আরও অর্থবহ ও নৈতিক করা যায় সে উদ্দেশ্যে কাজ করব। মাইক্রোসফটের অভিজ্ঞ গবেষকরাও আমার সঙ্গে এ প্রজেক্টে যোগ দেবেন।
আমি অবশ্যই কৃতজ্ঞ আমার পুরো রিসার্চ টিমের প্রতি, যাদের দীর্ঘদিনের কাজের কারণে আমরা এ প্রজেক্ট করার মতো অবস্থায় আসতে পেরেছি। আমার পরিবার এবং ইউনিভার্সিটিরও সহযোগিতা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আপনাদের সবার শুভকামনা প্রত্যাশা করছি।