অমিত কুমার কুণ্ডু
প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:৩৫ পিএম
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:০১ পিএম
অলংকরণ: জয়ন্ত সরকার
আম গাছের কোটরে এক কাঠবিড়ালি ঘুমাচ্ছিল। এমন সময় তার সঙ্গী এসে কানে কানে কী যেন বলল। সঙ্গে সঙ্গে কাঠবিড়ালির ঘুম ভেঙে গেল। কোটর থেকে বেরিয়ে গাছ বেয়ে নেমে এলো দুজনে। লাফিয়ে লাফিয়ে ছুটল তারা একটা পেয়ারা গাছের দিকে। তড়তড় করে পেয়ারা গাছ বেয়ে উঠে গেল মগডালে। একটা পেয়ারা পেকে আছে। পাতার আড়ালে। পাখিরা দেখতে পায়নি। কী ভালো যে দেখতে! কী মিষ্টি খেতে! কী সুন্দর গন্ধ! তারা দুজনে মজা করে পেয়ারাটা খেল। নেমে এলো পেয়ারা গাছ থেকে। লেজ উঁচু করে দিল এক ছুট।
একটা কুকুর ঘুমিয়ে ছিল। খেলা করতে করতে কুকুরের গায়ের ওপর গিয়ে পড়ল। কুকুরের ঘুম ভেঙে গেল। কুকুর ঘেউ ঘেউ করে তেড়ে উঠল। কাঠবিড়ালি দুটি তরতর করে গাছে উঠে গেল। কুকুর ওদের নাগাল পেল না। ঘেউ ঘেউ করে গাছের নিচে দাঁড়িয়ে বলল, ‘নিচে নেমে আয়, দেখাচ্ছি তোদের মজা।’ ওরা কুকুরের কথার কোনো উত্তর দিল না।
গাছের ডালে ছিল একটা কাক। অ্যা করে দিল কুকুরের মাথায়। কুকুর রেগে আগুন। চিৎকার করে বলল, ‘তোর এত বড় সাহস! আমার গায়ে অ্যা করে দিলি। নিচে নেমে আয়, দেখাচ্ছি তোর মজা।’ কাক কুকুরের কথার কোনো উত্তর করল না। আগের মতোই কা কা করে গাইতে থাকল।
গাছের নিচে ছিল পিঁপড়ার ঢিবি। কুকুর দাঁড়িয়ে ছিল ঢিবির ওপর। কয়েকটি পিঁপড়া কুটুস কুটুস করে কামড়ে দিল কুকুরের পা। কুকুর পা ঝাড়া দিয়ে পড়ি কি মরি করে গাছের নিচ থেকে দৌড়ে পালাল। কুকুরের দৌড় দেখে কাঠবিড়ালিরা হেসেই খুন।
এক কাঠবিড়ালির হাসি দেখে আরেক কাঠবিড়ালি বলল, ‘হেসো না, আমাদেরও এমন অবস্থা হতে পারে। একেই বলে নিয়তি। অহেতুক হম্বিতম্বি করলে এমন অবস্থাই হয়। আমরা তো কেউ ইচ্ছে করে কুকুরের ঘুম ভাঙাইনি। তবু কুকুর আমাদের দিকে তেড়ে এলো। লাভ কী হলো? মধ্য থেকে কাক বুঝতে না পেরে কুকুরের মাথায় অ্যা করে দিল। পিঁপড়ের ঢিবির ওপর পা দিয়ে দাঁড়ানোর জন্য পিঁপড়ে প্রাণ বাঁচাতে কামড়ে দিল। কুকুরের উচিত শিক্ষা হলো।’