× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ভাঙা ঘরে প্রতিবন্ধী দম্পতির মানবেতর জীবন

মাহমুদ হাসান

প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:০৬ পিএম

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে জরাজীর্ণ ঘরে সামনে প্রতিবন্ধী দিনমজুর দম্পতি 	ছবি : লেখক

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে জরাজীর্ণ ঘরে সামনে প্রতিবন্ধী দিনমজুর দম্পতি ছবি : লেখক

দোচালা মরিচা পড়া টিনের জরাজীর্ণ ঘর। নেই বিদ্যুৎ। মেলেনি সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা। রয়েছে খাদ্য সংকট। তবু মাথা গোঁজার ঠাই নিতে ঘুরেছেন জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে। পেয়েছেন আশ্বাস। জোটেনি কোনো ধরনের সহায়তা। বলছিলাম পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সদর ইউনিয়নের তালেব-সুরমা দম্পতির সংগ্রামী জীবনচিত্রের গল্প। শুক্রবার দুপুরে রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে অবস্থিত দিনমজুর ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এই দম্পতির বাসায় গিয়ে টানাপড়েনের সংসার যাপনের কথা জানা যায়।

দিনমজুর তালেব মৃধা বলেন, ‘শারীরিক প্রতিবন্ধী স্ত্রীকে নিয়ে জরাজীর্ণ এ ঘরে এক যুগ পার করেছেন। কোনো সময়ে হয়নি মতের অমিল। যা আয় করতে পেয়েছেন তাতেই সন্তুষ্ট ছিলেন। আমাদের সম্পদ বলতে রয়েছে এই ভিটেমাটি। কয়েক বছর ধরে ঘরটি দিয়ে বর্ষার সময়ে পানিতে ভিজতাম। এমনও দিন গেছে রাতে বসে রইছি। এহন শীতে কষ্ট করি। ঘর সংস্কার করব সেই সক্ষমতাও নেই। সহায়তার জন্য চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে গেলেও পাইনি।’ আর প্রতিবন্ধী সুরমা জানালেন সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা পায় না তারা। সরকারি একটা ঘরের জন্য অনেক ঘুরেছেন। কেউ পাত্তা দেয়নি। একটা প্রতিবন্ধী ভাতার নামও নেই তার। আমনেগো মাধ্যমে একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই চাই। সম্প্রতি এই বসতির মানবেতর জীবনযাপনের কথা শুনে দুই বান ঢেউটিন ও নগদ ছয় হাজার টাকা দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

প্রতিবেশীরা জানালেন, তারা খুব কষ্টে আছে। তাদের কোনো ফসলি জমি নেই। দিনমজুর কাজ করে চলে সংসার। তাদের জন্য সহায়তার কোনো নজির চোখে পড়েনি। তাদের মাথা গোঁজার জন্য একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিলে শান্তিতে রাত পার করতে পারবে। তাদের বাসার ওপর দিয়ে বিদ্যুৎ খুঁটি গেছে, কিন্তু তারা বিদ্যুৎ পায়নি। সরকার এত এত সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে, তারা কিছুই পায় না। কোনো দিন খায় আবার কোনো দিন না খেয়েও থাকে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেল, ভিটিতে রয়েছে দোচালা জরাজীর্ণ বসতঘর। ঘরের মধ্যে চুলায় রান্না বসিয়েছেন সুরমা বেগম। মেজেতে রয়েছে ছোট একটি নড়বড়ে শয়নের চৌকি। ঘরের একপাশে টিন আর তিন পাশে হোগলা পাতার বেড়া। এখানেই বসবাস করছেন নিঃসন্তান ওই দম্পতি। কনকনে শীতে জবুথবু অবস্থায় থাকছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘তাদের অসহায়ত্বের কথা শুনে দুই বান ঢেউটিন ও নগদ ছয় হাজার টাকা দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে সরকারি সব সুবিধার আওতায় তাদের নিয়ে আসা হবে।’ 


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা