পিয়ান চক্রবর্ত্তী
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৩১ পিএম
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৫১ পিএম
অলংকরণ: বায়েজিদ খান শুভম, জামালপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, জামালপুর
কয়েক দিন আগে বেড়িয়ে এলাম শ্রীমঙ্গল। সেখানে আমার পিসির বাড়ি। তাই প্রতি বছর একবার দুবার শ্রীমঙ্গল যাই। ফুফু আমাদের অনেক আদর করে। তার কাছে যেতে খুব ইচ্ছা করে। তবে তার কাছে বেশিদিন থাকতে পারি না। কেননা বাবার চাকরির জন্য এক-দুই দিনের বেশি থাকতে পারি না। ফলে একসঙ্গে শ্রীমঙ্গলের অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গায় গিয়ে দেখতে পারি না।
মা, বাবা ও দিদিয়ার সঙ্গে সেদিন গেছিলাম। আরও আগেই যেতে চাইছিলাম। কিন্তু বাবা ও মায়ের বাধার কারণে যেতে পারিনি। মা বার্ষিক পরীক্ষার আগে এককথায় কোথাও যেতে দেবেন না। বৃষ্টির দিন চলে গেলে শীতের সময় শ্রীমঙ্গল যাব। এটা বাবার কথা। অপেক্ষায় ছিলাম। পরীক্ষাও শেষ হলো, শীতের দিনও এলো, তবু বাবা নিয়ে যাচ্ছেন না। তারপর দিদিয়া ও আমি চাপাচাপি শুরু করলাম। অবশেষে আমাদের জয় হলো। সবাইকে নিয়ে শ্রীমঙ্গল যেতে বাবা রাজি হলেন। বিজয়ের মাসে আমাদের কাছে যেন আরেকটা বিজয়। শ্রীমঙ্গলে অনেক কিছু আছে দেখার মতো, চিড়িয়াখানাও আছে। তবে শ্রীমঙ্গল সেরা চা বাগান ও রাবার বাগানের জন্য। টিলার ঢালে আছে আনারসের বাগান। অনেক পিকনিক স্পট রয়েছে। আরও কত কী যে আছে। শ্রীমঙ্গল আসলেই খুব সুন্দর। বাবা বলেন, সিলেট সুন্দর হয়েছে শ্রীমঙ্গলের কারণে। আমরা সেদিন পিসির বাসা থেকে শংকরটিলা বেড়াতে গেলাম।
বাবা, মা, পিসি, দীপকদাদা, তিথি দিদিভাই, দিদিয়া ও তিমা দিদি। গাড়ি যেখানে থামল সেখান থেকে আমরা হেঁটে হেঁটে অনেক উঁচু শংকর টিলায় উঠলাম। টিলার ওপর কী মজা তা বোঝানো যাবে না।
চারদিকে টিলার মাঝখানে রয়েছে সুন্দর ছড়া। ছড়ার পানিতে নানা রঙের শাপলা ফুটে আছে। মাঝে মাঝেই ছড়া দেখা যায়। পাহাড়ের পানি চলাচলের যে খাল সেটাকে বলে ছড়া। দেখতে দেখতে, ছবি তুলতে তুলতে সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে। টিলার দুই ধারের সারি সারি চা-বাগানকে পেছনে ফেলে আমরা আমাদের গাড়ির কাছে এসে পৌঁছে গেলাম।
তৃতীয় শ্রেণি, শিবপাশা সরকারি, প্রাথমিক বিদ্যালয়, নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ