আইন-আদালত
দিলরুবা শরমিন
প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৫৩ পিএম
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৫৩ পিএম
পাঠকদের আইনগত সমস্যার সমাধানে এই বিভাগ। নির্বাচিত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী দিলরুবা শরমিন...
প্রশ্ন : আমার বোন একজন বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষক। তার স্বামীও বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষক। পারিবারিকভাবেই বিয়েটা হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই আমার বোনের ওপর নির্যাতন চলাতেন তার স্বামী। কিন্তু সে কাউকেই কিছু বলত না। যৌতুকের জন্য নির্যাতন করা হতো। আমার ভগ্নিপতির স্বভাবচরিত্র ভালো না তা সবার কাছে শুনতাম। তার দুই ছেলেমেয়ে সুযোগ পেলেই বাপের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে নালিশ করত। আমার বোন সব সময় এড়িয়ে যেত। বোনের সব টাকা ভগ্নিপতি গ্রাস করেছিলেন। এমনকি আমরা পৈতৃক সম্পত্তি তাকে যা দিয়েছিলাম তা-ও। এক পর্যায়ে আমার বোন তার নিজের বাসায় খুন হন। আর ভগ্নিপতি চালাচ্ছেন আত্মহত্যা বলে। এখন কী করলে প্রমাণিত হবে আমার বোন খুন হয়েছে? ভগ্নিপতি বলছেন, আমার বোন পাগল ছিল সে আত্মহত্যা করেছে। এ অবস্থায় আমাদের করণীয় কী?
উত্তর : খুনের মামলার মূল প্রমাণপত্র বা দলিল হলো ফরেনসিক রিপোর্ট। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট বা তদন্ত রিপোর্টই সাক্ষ্য দেবে কোনো ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছে নাকি খুন হয়েছে। এ ছাড়া এভিডেনশিয়াল সারকামস্ট্যানসেসও সাক্ষ্য দেবে। এর বাইরে পুলিশ অর্থাৎ তদন্ত কর্মকর্তাকে আলামতগুলো ঠিকঠাকভাবে সংগ্রহ, জব্দ ও সংরক্ষণ করতে হবে। প্রত্যক্ষদর্শী বা পরোক্ষ যারা সাক্ষ্য দেবেন তাদের বয়ানের মাঝে যত দূর সম্ভব সুস্পষ্ট করে সত্য বয়ান দিতে হবে। খুন হলে খুনের মোটিভটা গুরুত্বপূর্ণ। আত্মহত্যা হলে তার কারণগুলো অনুসন্ধান করা গুরুত্বপূর্ণ। একজন মানুষ মারা গেছে এটাই বড় কথা। পুলিশের তদন্তের কোনো জায়গায় অবহেলা, গাফিলতি বা সন্দেহ মনে হলে কোর্টে আগেই লিখিতভাবে জানাবেন। মনে রাখবেন, আত্মহত্যা কেউ কারণ ছাড়া করে না। আর আত্মহত্যার লাশ ও খুনের লাশের স্বাভাবিক কিছু পার্থক্য আছে। সবই বেরিয়ে আসবে। তবে নিয়মিত তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন।