× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

হিমাচলের রানী সিমলা

মনোয়ার জামাল

প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৪৩ পিএম

আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৪১ পিএম

পাখির চোখে সিমলা

পাখির চোখে সিমলা

ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র সিমলা। হিমাচল প্রদেশের এই পর্যটনকেন্দ্রটি মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য, ঔপনিবেশিক স্থাপত্য এবং স্বাস্থ্য উপযোগী আবহাওয়ার জন্য বিখ্যাত। ঘুরে এসে লিখেছেন মনোয়ার জামাল

আমরা যখন সিমলা স্টেশনে পৌঁছি তখন ৩টা বাজে। চারদিকে বরফ আর কনকনে ঠান্ডা। তাপমাত্রা মাইনাস ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সঙ্গে টানা তুষারপাতে রাস্তায় হাঁটা মুশকিল। ব্যাগ বহনের জন্য অনেক লোক স্টেশনে ঘিরে ধরল। অবশেষে যখন বুঝলাম এই তুষারপাতে ব্যাগ নিয়ে চলা অসম্ভব, তখন লোক ভাড়া নিলাম। এগিয়ে চললাম কালীবাড়ির দিকে। সামনের দিকে দুজনে একটা হোটেল নিলাম ৮০০ রুপিতে। এবার খাওয়ার জন্য কালীবাড়ির দিকে যেতে হবে। কারণ কালীবাড়িতে ‘৬৫ টাকা থালিতে’ বাঙালি খাবার পাওয়া যায়। খাওয়া শেষ করতে করতে প্রায় সন্ধ্যা। ততক্ষণ স্নোফল থেমে গেছে। এবার বরফের চাদরে ঢাকা মল রোড দেখার পালা। অসম্ভব সুন্দর এই রাতের মল রোড। দেবদারুগাছগুলোকে আইসক্রিমের মতো দেখাচ্ছিল। সরকারি গাড়িতে বরফ কেটে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। প্রচণ্ড পিচ্ছিল রাস্তা। হাঁটাহাঁটি করলাম রাত পর্যন্ত। এবার হোটেলে গেলাম, কিন্তু এদিকে কোনো হোটেলে রুম হিটার নেই। 
হোটেলের ম্যানেজার বললেন হিটার নিষিদ্ধ। চারটি কম্বল দিয়ে মাইনাস ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কোনো রকম রাত্রিযাপন করা হলো।পরদিন সকালে ঘুম ভাঙল ৯টায়। সূর্যের দেখা মিলল। নাশতা সেরে জখু মন্দির, চার্চসহ আশপাশের স্থান ঘুরলাম। কুফরি, ফাগু যেতে পারিনি, কারণ গাড়িওয়ালারা বললেন, কুফরি যায় মানুষ বরফ দেখতে আর তোমরা তো এখানেই বরফ স্নো সব দেখে নিলে। ওইদিকে রাস্তা বন্ধ যেতে পারবে না। ওইদিন মানালি যাওয়ার কথা থাকলেও যেতে পারিনি। কারণ স্নোফলে নাকি ৮০ কিলোমিটার আগেই মানালির রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। এজন্য আমার মতে সিমলা মানালি ঘোরার জন্য মার্চ-এপ্রিল ভালো সময়। এক বুক হতাশা নিয়ে সিমলার সৌন্দর্য দেখেই কাটিয়ে দিলাম সারা দিন। কিন্তু এই ঠান্ডায় আর থাকা সম্ভব নয়। তাই রাতেই চলে আসলাম আমরা। সিমলা নিউ বাসস্টেশন হতে বাস ধরে চণ্ডীগড় চলে গেলাম রাত ১২টায়।

পাহাড়ের মধ্য দিয়ে চলা ট্রয় ট্রেন সিমলার অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ

কলকাতা থেকে কালকা/চণ্ডীগড় থেকে সিমলা :

কলকাতার হাওড়া স্টেশন থেকে কালকা মেইল ট্রেনে কালকা যাওয়া যায়। কালকা মেইলের ভাড়া এসি থ্রি-টায়ার ২৩৫০ রুপি প্রতিজন। যদি কালকা মেইল ট্রেনের টিকিট না পান, তাহলে অমৃতসর মেইল ট্রেনের টিকিট কেটে আম্বালা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে নামতে হবে। অমৃতসর মেইলের এসি থ্রি-টায়ারের ভাড়া ২২৫০ রুপি প্রতিজন। সেখান থেকে বার্মিজ কালকা মেইল নামে একটা ট্রেন আছে কালকা যাওয়ার। আম্বালা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে টিকিট কেটে কালকা পর্যন্ত যাওয়া যায়। অমৃতসর মেইল ট্রেনে আম্বালা ক্যান্টনমেন্ট পৌঁছাতে সময় লাগে ৩২ ঘণ্টা। আর কালকা মেইলে কালকা পর্যন্ত পৌঁছাতে সময় লাগে ৩৬ ঘণ্টা। কালকা পৌঁছে কালকা থেকে ভোর ৫টা থেকে ১২টার মধ্যে অনেকগুলো টয় ট্রেন আছে সিমলা যাওয়ার। শিবালিক ডিলাক্স এক্সপ্রেস, হিমালয়ান কুইন, কালকা-সিমলা রেইল মোটর। টয় ট্রেনে কালকা থেকে সিমলা পৌঁছাতে সময় লাগে ৭ ঘণ্টা। ভাড়া ২৫০ রুপি।

টয় ট্রেনের মধ্যে একটি ট্রেন শিবালিক ডিলাক্স এক্সপ্রেস কালকা মেইলের সঙ্গে কানেক্টেড। অর্থাৎ কালকা মেইল কালকা স্টেশনে না পৌঁছানো পর্যন্ত শিবালিক ডিলাক্স এক্সপ্রেস স্টেশন ত্যাগ করবে না। তাই যারা কালকা মেইলে কলকাতা থেকে যাত্রা করবেন তারা ফেয়ারলি প্লেস থেকে শিবালিক টয় ট্রেনের টিকিট কাটার চেষ্টা করবেন। কারণ কোনো কারণে যদি কালকা মেইল লেটও হয়, টয় ট্রেন মিস হওয়ার ভয় নেই। টয় ট্রেন উনবিংশ শতকের মাঝামাঝি থেকে সিমলাকে কালকা শহরটির সঙ্গে সংযুক্ত রেখেছে এবং শহরটিতে পৌঁছানোর জন্য সবচেয়ে অন্যতম জনপ্রিয় রাস্তা টয় ট্রেনের রাস্তাটি। তবে এটি খুবই ধীরগতির। তবে পারিপার্শ্বিক দৃশ্য পরিদর্শনের জন্য এই ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ট্র্যাকটি সারা জীবন মনে রাখার মতো। টয় ট্রেনটি ১৭৬টি সুড়ঙ্গপথ ও ৭৬টি সেতুর মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে। সিমলা রেলস্টেশন থেকে মল রোড মাত্র এক কিলোমিটারের মতো দূরত্বে অবস্থিত। এ ছাড়া কলকাতা থেকে দিল্লি হয়ে বাই রোডে সিমলা আসা যায়। বাসভাড়া এসি ভলভো ১৫০০ রুপি আর নন-এসি ভলভো ৯০০ রুপি। আপনি চাইলে ট্যাক্সি অথবা প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করে আসতে পারেন সিমলা।

সিমলাতে ঘোরার জায়গা

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২২০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত হিমাচলের রাজধানী সিমলা শহর। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, কঠোর নিয়মকানুন এবং পরিমিত আধুনিকতায় সাজানো শহর। মানুষের সচেতনতা এবং আইনের প্রয়োগ কীভাবে একটা সাদামাটা শহরকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে পারে, তা দেখতে চাইলে চলে যান সিমলায়। রাস্তায় সিগারেট খাওয়া যায় না। রাতের সিমলা অনেক বেশি সুন্দর।

সিমলা দেখার জন্য ২ দিনই যথেষ্ট। কালকা থেকে টয় ট্রেনে বা বাই রোড গেলে আপনি দুপুরের মধ্যে সিমলা  পৌঁছে যাবেন। হোটেলে চেক ইন করে দুপুরের খাওয়া সেরে ফেলুন। বিকালে চলে যান মল রোড, রিজ বা চার্চের কাছে। সিমলা শহরের মূল আকর্ষণ এই রিজ বা মল রোড। পাশেই অবস্থিত সিমলা কালীবাড়ি। চাইলে ভেতরটা ঘুরে আসতে পারেন। এই পুরো মল রোডে অ্যাম্বুলেনস এবং ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি ছাড়া সব রকম যান চলাচল নিষেধ। তাই নিশ্চিন্তে হেঁটে বেড়ান। চার্চের পাশে বসার জন্য সুন্দর বেঞ্চের ব্যবস্থা আছে। সন্ধ্যাটা উপভোগ করুন এখানে বসেই। দূরের পাহাড়ের গায়ের বাড়িগুলোর বাতি দেখলে মনে হয় তারাগুলো সব পাহাড়ের গায়ে নেমে এসেছে। অনেক ব্র্যান্ডের দোকান পাবেন মল রোডে, ঘুরে দেখুন। রাত ৯টার মধ্যেই দোকানপাট বন্ধ হওয়া শুরু হয়। এরপর হোটেলে ফিরে আসুন।

 সিমলাতে যা যা দেখবেন

জাখু পাহাড় ও জাখু মন্দির : জাখু পাহাড় হলো সিমলার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এবং পারিপার্শ্বিক ভূপ্রকৃতির এক অত্যাশ্চর্য নিদারুণ দৃ্শ্য পরিদর্শনেরও প্রস্তাব দেয়। পাহাড়ের চূড়ায় স্থিত জাখু মন্দির প্রভু হনুমানের প্রতি উৎসর্গীকৃত। স্থানীয়দের অনুমান অনুযায়ী, সঞ্জীবনী ঔষধি বিদ্যমান এই পাহাড়টিকে তুলে নিয়ে আসার সময় প্রভু হনুমান এখানে বিশ্রাম নিয়েছিলেন। এর ফলস্বরূপ, এই স্থানটি একইভাবে ভক্ত এবং ভ্রমণকারীদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এত ঠান্ডার মধ্যে জাখু মন্দিরের চূড়ায় ওঠা খুব কঠিন। শ্বাস নিতে অনেক প্রবলেম হয়। কিছুক্ষণ ওপরে ওঠার পর গাড়ি পাওয়া যায়। গাড়িতে গেলে ভালো হয়।

ভ্যাইসরিগেল লজ : অবসারভেটারী পাহাড়ের ওপর অবস্থিত ভ্যাইসরিগেল লজ ১৮৯৮ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি ভারতের ভাইসরয়, লর্ড ডাফরিনের সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে এই স্থানটি হলো ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্স স্টাডিজ। লজটি শুধুমাত্র ভারতে ব্রিটিশ শাসনের মধ্যে একটি অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে না, সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের এক অত্যাশ্চর্য দৃ্শ্য পরিদর্শনেরও সুযোগ দেয়।

সামার হিল : সামার হিলের পথের চারপাশে ওক, সেডার, রডোডেনড্রন এবং আরও অনেক গাছপালা বেড়ে উঠেছে। এখানে অবস্থিত ম্যানরভিলে ম্যানশন হল এই এলাকার সবচেয়ে বিখ্যাত ভবন। কারণ এটিই সেই জায়গা যেখানে মহাত্মা গান্ধী সিমলা ভ্রমণের সময় ছিলেন।

দ্য রিজ্ : এটি একটি উন্মুক্ত স্থান, যেটি সিমলার সবচেয়ে বেশি কার্যকলাপ কেন্দ্র রূপে পরিচিত। দ্য রিজ্ বা শৈলশ্রেণিতে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক আছে এবং বেশকিছু কার্যক্রম আয়োজনের পাশাপাশি এখান থেকে পার্শ্ববর্তী পর্বতগুলোর এক সুন্দর দৃশ্য পরির্শনেরও প্রস্তাব দেয়। শহরের এই অংশটি সিমলার জনজীবনের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটির নিচের জলাশয় শহরের একটি প্রধান অংশে জল সরবরাহের দায়ভারে রয়েছে।

মল্ রোড : সিমলার বিপুলসংখ্যক ল্যান্ডমার্ক এখানে অবস্থিত হওয়ায় মল রোড পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এ ছাড়াও এখানে বেশকিছু রেস্তোরাঁ, ক্লাব, বার ও দোকান অবস্থিত হওয়ায় এটি সিমলার বাণিজ্যিক কেন্দ্রস্থল হিসেবেও পরিচিত।

ক্রাইস্ট চার্চ : এটি ১৮৪৪ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি উত্তর ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম গির্জা। ক্রাইস্ট চার্চটি রিজ্-এ অবস্থিত এবং এটি তার এলিজাবেথীয় স্থাপত্য ও তার নকশায়িত কাচের জানালার জন্য পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এ ছাড়াও গির্জাটিতে একটি পাইপ অরগান রয়েছে, যেটি দেশের সবচেয়ে এক অন্যতম বৃহৎ হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি তাদের জন্যই আদর্শ, যারা আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে ইতিহাসের এক নিদর্শনকে খুঁজে চলেছে।

সেন্ট মাইকেল ক্যাথিড্রাল : সেন্ট মাইকেল চার্চ ১৮৫০ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটা সিমলার প্রথম ক্যাথলিক গির্জা। এটিতে পাঁচটি মার্বেলের বেদি আছে, যেগুলো ১৮৫৫ সালে ইতালি থেকে আনা হয়েছিল। এ ছাড়াও গির্জাটিতে সুন্দর নকশায়িত কাচের জানালা রয়েছে।

গেইটি থিয়েটার : এই থিয়েটার বা নাট্যমঞ্চটি সিমলায় ব্রিটিশ বাসিন্দাদের বিনোদনের সুযোগ প্রদানের জন্য ১৮৮৭ সালে নির্মিত হয়েছিল। ভবনটির নব্য স্থাপত্য লালিত নেত্রের জন্য এক সুন্দর দৃশ্য। এখানে একটি প্রদর্শনী সভা ও অন্যান্য বহু সুযোগ-সুবিধাসহ একটি শৈল্পিক গ্যালারি রয়েছে। যেকোনো সূক্ষ্ম শিল্পপ্রেমীদের জন্য এটি একটি অবশ্যই দর্শনীয় স্থান।

তত্তপানি : সিমলা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে তত্তপানিতে অবস্থিত সালফিউরাস উষ্ণ প্রস্রবণ অনেকের মতে ভেষজ উপকারিতা হিসেবে বিবেচিত হয় এবং সে কারণেই চিকিৎসক পর্যটকদের জন্য তত্তপানি একটি খুবই জনপ্রিয় স্থান। উষ্ণ প্রস্রবণের পাশাপাশি শতদ্রু নদীর ঠান্ডা জল রিভার র্যাফটিং-এর সুযোগ প্রদান করে। এখন সরকারি ড্যামের কারণে তত্তপানি তার সৌন্দর্য হারিয়েছে।

কোট গড় : কোটগড় সিমলা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে। প্রাচীন হিন্দুস্তান-তিব্বত সড়কের ওপর অবস্থিত এবং এটি আপেল বাগানের জন্যও প্রসিদ্ধ। এটি এমন একটি স্থান যেখানে ১৯১৪ সালে হিমাচল প্রদেশের মধ্যে সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক ফলের বাগান স্থাপিত হয়েছিল। পরবর্তীকালে কোটগড় প্রকৃতপক্ষে হিমাচল প্রদেশের এক অন্যতম প্রধান আপেল রপ্তানিকারক স্থান হয়ে ওঠে।

সিমলা জল-অববাহিকা অভয়ারণ্য : ১০.২৫ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এই অভয়ারণ্যটি সরলবর্গীয় অরণ্য, খাড়াই ভূখণ্ড এবং ক্ষুদ্র প্রবাহের গৃহস্থল। সিমলার ১২ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত এই স্থানটি হলো বাদামি ভালুক, কৃষ্ণকায় হরিণ, ভারতীয় লাল শিয়াল ও ডোরাকাটা হায়ানার নিরাপদ আশ্রয়স্থল।

কুফরি : কুফরি হিমাচল প্রদেশের সিমলা জেলার একটি ছোট্ট হিল স্টেশন। সিমলা শহর থেকে ন্যাশনাল হাইওয়ে ২২-এর দিকে ১৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই শহরটি। ‘কুফরি’ শব্দটি স্থানীয় শব্দ ‘কুফ্র’ থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘লেক’। এখানে রয়েছে ‘হিমালয়ান ওয়াইল্ড লাইফ জু’। মজার ব্যাপার ১৮১৯ সালের আগে এই এলাকা মানুষের অজানা ছিল, মাত্র ২০০ বছর আগেও। একদল ইংরেজ পর্যটক বনের ভেতর দিয়ে ট্র্যাভেল করতে গিয়ে আবিষ্কার করেন এই অপার সৌন্দর্যের জায়গাটি। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারিতে হিমাচল ট্যুরিজমের উদ্যোগে এখানে উইন্টার স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়। কুফরির চূড়ায় উঠতে হলে আপনাকে ঘোড়ায় করে উঠতে হবে। জনপ্রতি ঘোড়া ভাড়া ৫০০ রুপি। 

ফাগু : ফাগু কুফরি থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে প্রায় ২৫০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। ফাগু শীতে স্কিয়িং আর উইন্টার স্পোর্টসের জন্য দেশ-বিদেশর পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। ফাগুর চূড়া থেকে ‘গিরি উপত্যকা’র খুব সুন্দর ভিউ দেখতে পাওয়া যায়। 

সিমলাতে থাকা-খাওয়া

মল রোড বা লাক্কার বাজারের আশপাশে ৮০০-১৫০০ রুপির মধ্যে হোটেল পেয়ে যাবেন। রুম ঠিক করার আগে রুম হিটার আর গিজার আছে কি না, যাচাই করে নিন।

সকালের নাশতা : চেষ্টা করবেন যে হোটেলে থাকবেন সেই হোটেলের সঙ্গে নাশতার চুক্তি করতে। যদি তাতে কিছুটা বেশিও লাগে রাজি হয়ে যাবেন। কারণ সাত সকালে ঠান্ডায় বের হতে ইচ্ছা করবে না। আলু পরোটা, তাওয়া রুটি, ম্যাগী নুডলস আর চা দিয়েই নাশতা সারতে হবে। চা খুব একটা ভালো লাগবে না। কারণ ওরা চায়ে আদা আর এলাচ ব্যবহার করে।

দুপুর/রাতের খাবার : ভাত খেতে চাইলে থালি সিস্টেমে খাবেন। ভেজ/ননভেজ দুটোই পাবেন। ভেজ থালিতে খেলেই ভালো হবে। কারন মাছ এবং মাংস রান্না একদমই ভালো না। খেতে পারবেন না, শুধু শুধু নষ্ট হবে। এ ছাড়া আর যা যা খেতে পারেন- চিকেন মমো, ট্রাউট মাছ, পেস্ট্রি, কাপকেক, পেস্ট্রি, পাপড়ি চাট, ভেলপুরি, গোলগাপ্পা বা পানিপুরি, ইডলি, দোসা, চানাচাট, আপেল, নাশপাতি, টাংরি কাবাব।



শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা