বাংলালিংক ইনোভেটরস ৭.০
আসমাউল হুসনা
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৫৩ পিএম
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৫৪ পিএম
চ্যাম্পিয়ন দল ‘অন দি এজ’
দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল বিজনেস কম্পিটিশনে চূড়ান্ত পর্বে চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে ‘অন দি এজ’-এর নাম ঘোষণা করা হয়। দেশের ১৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩৫ হাজারের বেশি প্রতিযোগী এতে অংশগ্রহণ করেন
বাংলালিংক ইনোভেটরস শিক্ষার্থীদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে তারা গতানুগতিক বিজনেস কমপিটিশন থেকে বের হয়ে ভিন্ন কিছু যুগান্তকারী আইডিয়া দিতে এবং ব্যক্তিজীবনে অভিজ্ঞতা অর্জনে সক্ষম হয়। এ বছর সপ্তমবারের মতো আয়োজিত হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল বিজনেস কম্পিটিশনটি। ডিজিটাল প্রতিযোগিতা ইনোভেটরসের সপ্তম আসরের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে বাংলালিংক। রোবট নোভার দেওয়া ০০০৭ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে চ্যাম্পিয়ন দলের নাম ঘোষণা করেন বাংলালিংকের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ভিওনের গ্রুপ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কান তেরজিওগ্লু। সোমবার প্রতিযোগিতাটির চূড়ান্ত পর্বে চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে ‘অন দি এজ’-এর নাম ঘোষণা করা হয়। এআই ব্যবহার করে ক্ষুদ্র ও কুটির ব্যবসা পরিচালনা প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে একটি অ্যাপের ধারণা দেন চ্যাম্পিয়ন উদ্ভাবকরা। উদ্ভাবক দলের প্রধান বুয়েটের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র সালমান সাঈদ।
বাকি তিন উদ্ভাবক হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজিফা আহমেদ, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির হানান সাঈদ, আর্মি ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের হাসরাত হুমায়ুন। বিজয়ীদের ফাইনাল রাউন্ডে নির্বাচিত পাঁচটি দলের মধ্যে বিচারকদের রায়ে তাদের পুরস্কৃত করা হয়।
প্রথম রানার-আপ হয় ‘টিম রকেট’ এবং সেকেন্ড রানার-আপ ‘ফোর অব আ কাইন্ড’। প্রথম রানার-আপ দলের সদস্যরা হলেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির শিক্ষার্থী পুষ্পিতা খান, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের নাফিস ফায়াজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের মায়েশা হাসান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র আবির এরশাদ। দ্বিতীয় রানার-আপ দলে রয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র ছাত্রী উম্মে ফারিহা সাদেক, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির তাসনিয়া নাফিস ও ঢাবির আইবিএ’র এসএম জাহিদুল ইসলাম।
চ্যাম্পিয়ন দল বাংলালিংকের পৃষ্ঠপোষকতায় দুবাইয়ে বাংলালিংকের স্বত্বাধিকারী কোম্পানি ভিওনের কার্যালয় পরিদর্শনের সুযোগ পাবে। সেরা তিন দলের সব সদস্য বাংলালিংকের ফ্ল্যাগশিপ স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ছাড়া সেরা পাঁচটি দলের সব প্রতিযোগী বাংলালিংকের অ্যাডভান্সড ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারবে। এ আসরের মূল লক্ষ্য ছিল তরুণদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারে উৎসাহিত করে তাদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের বিকাশে সাহায্য করা।
ইনোভেটরস কারা?
ইনোভেটরস হলো একঝাঁক বুদ্ধিদীপ্ত তরুণ, যারা উদ্ভাবনী চিন্তা করতে এবং গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে আধুনিক ডিজিটাল চ্যালেঞ্জের অভিনব সমাধান দিতে সক্ষম।
দ্রুততম বিকাশের সুযোগ
সেরা তিন টিম সরাসরি এগিয়ে যাবে স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামের মূল্যায়ন কেন্দ্রে এবং সেরা পাঁচটি টিম পাবে বাংলালিংক অ্যাডভান্স ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের সরাসরি সুযোগ।
আমস্টারডামের টিকিট
বিজয়ী দল পাবে বাংলালিংকের সম্পূর্ণ অর্থায়নে আমস্টারডামে ভ্রমণ এবং VEON সদর দপ্তরে যাওয়ার সুযোগ। গেল অক্টোবরে এ প্রতিযোগিতার সপ্তম আসর শুরু হয়। এ আসরের মূল লক্ষ্য ছিল তরুণদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারে উৎসাহিত করে তাদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের বিকাশে সাহায্য করা। দেশের ১৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩৫ হাজারের বেশি প্রতিযোগী এতে অংশগ্রহণ করেন। প্রাথমিক বাছাই শেষে নির্বাচিত প্রতিযোগীরা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো বুট ক্যাম্প, গ্রুমিং সেশন, ওয়ার্কশপ ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ।
ভিওনের গ্রুপ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কান তেরজিওগ্লু বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেন। তিনি বলেন, ‘ইনোভেটরসের সপ্তম আসরে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারার মতো কিছু পরিকল্পনা ও সমাধান তুলে ধরা হয়েছে। এ উদ্যোগ বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রাকে আরও এগিয়ে নেবে।’ বাংলালিংকের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ বলেন, ‘তরুণদের সুযোগ দেওয়ার জন্য বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও এগিয়ে আসা উচিত। ইনোভেটরসের এবারের আসরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এমন সব সমাধান এসেছে, যা ভবিষ্যতে নতুন সম্ভাবনার সুযোগ তৈরি করবে।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এরিক অস, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ প্রমুখ।