টিপস
সাহিদা আক্তার
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:৩৪ পিএম
দূরের দেশ ভ্রমণে দীর্ঘক্ষণ বিমানে বসে থাকতে হয়। তখন ভুগতে হয় জেট ল্যাগে। জেনে নিন কেন হয় জেট ল্যাগ, কী করলে এড়ানো যাবে এ সমস্যা।
জেট ল্যাগ কেন হয়
সব কিছুর মতোই নির্দিষ্ট সময় ধরে শরীরের কার্যক্রম চলে। যখনই হঠাৎ করে আপনি অন্য একটা টাইমজোনে চলে যান, আপনার শরীরের মেনে চলার সময় আর সেখানকার স্থানীয় সময়ে গোলমাল বেঁধে যায়। তখনই হয় জেট ল্যাগ। গভীর রাতে ক্ষুধা পায়। সকালবেলা ঘুম পায়। রাত জেগে বসে থাকতে হয়।
সবারই কি একই হয়
মানুষের শরীরের দৈনিক চক্র গড়ে ২৪ দশমিক ২ ঘণ্টা। মানুষভেদে এটা সামান্য কমবেশি হয়। যাদের এই চক্র একটু লম্বা, তারা যখন পুব থেকে পশ্চিমে যাত্রা করে, জেট ল্যাগের প্রভাব কম পড়ে। তবে যাদের এই চক্র ছোট, তাদের ক্ষেত্রে উল্টোটা ঘটে কি না, নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কীভাবে পাবেন পরিত্রাণ
বিমানে চড়েই প্রস্তুতি নিন। যদি সফর তিন দিন বা তার কম হয়, তাহলে জেট ল্যাগেই থাকুন। তার চেয়ে বেশি দিনের হলে বিমানে চড়েই শরীরকে নতুন সময়ে অভ্যস্ত করুন। হাতের ঘড়িতে সময় বদলে নিন। এবার সে অনুযায়ী খাওয়া-ঘুম শুরু করুন।
মনোযোগ দিন ঘুমের সময়ে
বেশি সমস্যা হয় ঘুমের সময় ঠিক করতে। সে জন্য রাতে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। দিনে ঘুম পেলেও পরিহার করুন। বেশি সমস্যা হলে নিন খানিকটা বিশ্রাম। সন্ধ্যার পর নেবেন না, নইলে রাতে আবার জেগেই থাকতে হবে।
খাওয়ায় থাকুন সচেতন
কফিজাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলুন। কারণ এগুলো আপনার ঘুমে প্রভাব ফেলে। খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারেন।
দিনের আলো গায়ে মাখুন
আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সূর্যের আলো শরীরে লাগানো। কারণ এর মাধ্যমেই শরীর স্থানীয় সময়ের সঙ্গে পরিচিত হয়। সে অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করে। তাই দিনের আলো গায়ে মেখে শরীরকে নতুন সময়সূচি জানান দিন।