বুশরা আহমেদ
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১২:৫৫ পিএম
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১২:৫৭ পিএম
অনেক দিন আগের একটা গল্প। আনন্দপুর গ্রামের মিতা নামে এক মেয়ের গল্প। এ গ্রামটি শহর থেকে অনেক দূরে। এখানকার মানুষের অনেক ধনসম্পদ ছিল। কিন্তু তাদের মেয়েদের কোনো সম্মান ছিল না। কাউকে বাইরে বের হতো দিত না। মেয়েদের নির্যাতন করা হতো। তাদের বিদ্যাশিক্ষারও কোনো সুযোগ ছিল না। সেই গ্রামে এক ফুটফুটে মেয়ের জন্ম হলো। ওর নাম রাখা হলো মিতা। মিতা খুব শান্ত স্বভাবের মেয়ে। সে অন্য সব শিশুর মতো না। মিতা বড় হয়ে গেল। একদিন মিতা মায়ের কাছে এসে বলল, মা আমি পড়াশোনা করতে চাই। মা মিতাকে বলল, এ গ্রামের মেয়েদের তো পড়াশোনা করতে দেওয়া হয় না। তাই পড়াশোনা করা অসম্ভব। পরদিন সকালে মিতা উঠে দেখে শহর থেকে তার এক মামা এসেছে। সে গিয়ে মামাকে জড়িয়ে ধরল। মামা মিতাকে খুব আদর করত। মা মিতাকে বলল, তোমার মামা তোমাকে নিয়ে যেতে এসেছে, সে তোমাকে শহরে নিয়ে যাবে। সেখানে নিয়ে গিয়ে তোমাকে স্কুলে ভর্তি করে দেবে। এ কথা শুনে সে খুব খুশি হলো। অনেক আনন্দ নিয়ে মিতা মামার সঙ্গে শহরে রওনা দিল। ওরা সন্ধ্যায় পৌঁছাল। পর দিন সকালে মিতার মামি স্কুলে ভর্তি করতে নিয়ে গেল। মনোযোগ দিয়ে স্কুলে পড়াশোনা করতে লাগল। হঠাৎ একদিন গ্রামের এক খারাপ লোক মিতাকে নিতে এলো। সেই লোকটা মিতার মামার বাড়িতে ভাঙচুর চালাল। ওর মামি পুলিশে খবর দিল। তারপর পুলিশ এসে লোকটাকে ধরে নিয়ে গেল। তখন মিতা খুব ভালোভাবে পড়ালেখা শেষ করল। ওর স্বপ্ন বড় হয়ে একজন ভালো শিক্ষক হবে। শিক্ষক হলো। তারপর সে আনন্দপুর গ্রামে ফিরে এসে একটা বালিকা বিদ্যালয় দিল। সেখনে গ্রামের মেয়েদের পড়াশোনার সুযোগ ঘটল।
পঞ্চম শ্রেণি, উত্তর কাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বরিশাল