প্রচ্ছদ
শাহিনা নদী
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৩০ পিএম
আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৫৫ পিএম
মডেল : অপর্ণা; ব্যাগ : গুটিপা; মেকআপ : রাজিয়া’স মেকওভার; ছবি : ফারহান ফয়সাল
ফ্যাশনের অন্যতম অনুষঙ্গ ব্যাগ। ঘর থেকে বের হলেই প্রয়োজন হয়। হোক সেটা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস, অফিস কিংবা ভ্রমণ- ব্যাগের কোন বিকল্প নেই। ব্যাগ ছাড়া মেয়েদের সাজই যেন অসম্পূর্ণ। শুধু প্রয়োজনের জন্যই নয়, যথার্থ ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলতেও ব্যাগ অনন্য। হাল ফ্যাশনের ট্রেন্ডি ব্যাগ নিয়ে আজকের প্রচ্ছদ-
ফ্যাশনে পোশাকের সঙ্গে ব্যাগেরও রয়েছে দারুণ যোগ। রুচিশীল ব্যাগ ব্যবহারে নিজেকে আরও স্টাইলিশভাবে উপস্থাপন করা যায়। মেকআপ লুকের সঙ্গে ডিজাইনের পোশাক আর ট্রেন্ডি গয়নার মতই মানানসই ব্যাগ না থাকলে সাজটাই যেন সম্পূর্ণ হয় না।
ব্যাগে
বৈচিত্র্য
প্রয়োজন
বোধ থেকে ব্যাগের উৎপত্তি হলেও ব্যাগ এখন ফ্যাশনের অংশ। বর্তমান ট্রেন্ডের সঙ্গে
নতুন ডিজাইনের রেক্সিনের চায়নিজ ক্লচ, আর্টিফিসিয়াল লেদারের ওপর পাফ করে দারুণ
নকশাদার ক্লচ, প্যাটেন মডেল বা প্যালেক্স লেদারের চায়নিজ ব্যাগ, ফোমের হাতব্যাগ,
স্লিং ব্যাগ, সিন্থেটিক লেদার ব্যাগ, ট্রান্সপারেন্ট ব্যাগ, সিকুইন ক্লচ ব্যাগ
প্রভৃতির চাহিদা অনেক বেশি। পাশাপাশি জেনুইন লেদারের তৈরি
বৈচিত্র্যময় ব্যাগগুলোও বাজারে বেশ সাড়া ফেলেছে। জেনুইন লেদারের তৈরি
ব্যাগগুলোর মধ্যে রয়েছে থিমেটিক ব্যাগ, আমালিয়া, বিজনেস ব্যাগ, নোহলি স্লিং, হর্স
হ্যান্ডব্যাগ, করবী হ্যান্ডব্যাগ, হর্স ওয়ালেট, আন্না মিডি হ্যান্ডব্যাগ, সাবা
ফানি ব্যাগ, ক্যাসেট প্লেয়ার ব্যাগ, লেদার ওয়ালেট, মার্বেল স্যাডল ব্যাগ। এছাড়াও
সিকুইন ক্লচ, ন্যাপস্যাব, টোট ব্যাগ, হোবো ব্যাগ, ফ্রেম ব্যাগ, হ্যান্ডক্রাফটেড
ব্যাগ ইত্যাদিও ট্রেন্ডি আউট ফিটের সঙ্গে দারুণ মানানসই। মোটিফ নিভর ব্যাগও
দেখা মিলছে এখন।
গুটিপার স্বত্বাধিকারী তাসলিমা মিজি’র সঙ্গে কথা বলে জানা গেল অর্ধচন্দ্রাকৃতির আদলে তৈরি হোবো ব্যাগ এখন বেশ চলছে। রেট্রো এই ডিজাইনটি বেশ কিছু বছর ধরেই ঘুরেফিরে ট্রেন্ডিং। এছাড়া বক্স শেপের ডিজাইনে তৈরি নিট এন্ড ক্লিন ব্যাগের আবেদনও অনেক।
আন্তর্জাতিকভাবেই অর্ধচন্দ্রাকৃতির আদলে তৈরি ব্যাগ যাকে বলা হয় হোবো ব্যাগ এখন বেশ ট্রেন্ডি। রেট্রো এই ডিজাইনটি বেশ কিছু বছর ধরেই ঘুরেফিরে চলছে। ব্যাগ প্রয়োজনের জন্য ব্যবহৃত হলেও এটি একজন ব্যক্তির রুচি, ফ্যাশন সেন্স এবং ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করে। সব ধরণের ক্রেতার কথা মাথায় রেখেই বিভিন্ন আকৃতি ও আকারের ব্যাগ তৈরি করি। ব্যাগের গুণগত মানে আমি কখনো আপোষ করি না। ব্যাগ গুলো যেমন টেকসই তেমনি ফ্যাশনেবল। ব্যাগের উপযোগিতার দিকে বিশেষ নজর দিয়ে মিনিমালিস্ট ব্যাগ তৈরি করি।
তাসলিমা মিজি
স্বত্বাধিকারী, গুটিপা
ম্যাটারিয়ালের
ভিন্নতা
নানা ধরণের উপাদান দিয়ে তৈরি হচ্ছে ব্যাগ। পরিবেশবান্ধব 'ডেজার্টো' চামড়া দিয়ে তৈরি অনেক ধরনের ব্যাগ এখন কিনতে পাওয়া যায়। এছাড়াও কাপড়, সুতো এমনকি পাট এবং কাঠ দিয়েও তৈরি করা হচ্ছে বাহারি সব ডিজাইনের ব্যাগ। এসব ব্যাগ একদিকে যেমন ফ্যাশনেবল অন্যদিকে পরিবেশবান্ধব। পাটের তৈরি ব্যাকপ্যাক ও ট্র্যাভেল ব্যাগও মেলে বাজারে। পাট, চামড়া ও সুতা দিয়ে তৈরি বাহারি এই ব্যাগগুলো বেশ হালকা হওয়ার ব্যবহার করতে সুবিধা হয়। এছাড়া গুজরাটি গোল ব্যাগ, জামদানী ব্যাগ, জুট কটন, ফ্লাওয়ার ভ্যানিটি, গুজরাটি লেডিস, গ্লাস রিবন, ল্যাদার ভ্যানিটি, কলেজ ব্যাগ, কয়েন পার্স, স্টুডেন্ট ব্যাগ, হ্যান্ড পার্স, ঝোলা ব্যাগ, প্যান্ট পেইন্ট মুরটা, থামি ব্যাগ, বাটিক পার্স, টোট্যা ব্যাগ, থামি কুচি, ঢাকনা ব্যাগ এবং সূর্য ব্যাগ ইত্যাদি নানা ধরণের ব্যাগ এখন কিনতে পাওয়া যায়।
চাহিদার
শীর্ষে ব্যাকপ্যাক
ভারী আর বিশাল ব্যাগের পরিবর্তে কাঁধে এখন ঝোলা ব্যাগ বা ব্যাকপ্যাকের ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে অনেককেই। হাতে ধরে রাখার ঝামেলা ছাড়াই এ ধরনের ব্যাগ ক্যারি করা যায় বিধায় প্রতিনিয়ত এর চাহিদা বেড়েই চলেছে। তবে কেবল পিঠে নেওয়ার সুবিধাই নয়; শোল্ডার সিস্টেম, হ্যান্ড সিস্টেম ও হাতলও থাকছে ব্যাকপ্যাকে। বাইরে বের হওয়ার প্রয়োজনে, কলেজের ক্লাসে কিংবা কোন অনুষ্ঠান বা ভ্রমণের ব্যাপ্তির ওপর নির্ভর করে এখন নানা সাইজের ব্যাকপ্যাক বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এ ব্যাগগুলোর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এতে অনেক জায়গা। ব্যাকপ্যাকে বইখাতা, ল্যাপটপ কম্পিউটার নিয়ে যেমন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কাজে যাওয়া যায়, তেমনি কাপড়-চোপড়, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়েও ঘুরতে বেরিয়ে পড়া যায়।
রঙ, আকার,
নকশা ও আকৃতির ভিন্নতা
সময়টা এখন ফিউশনের। সেজন্য পোশাক, গহনা, সাজগোজ থেকে শুরু করে জুতা কিংবা ব্যাগ সবকিছুতেই ট্রেন্ড চলমান। ব্যাগ নির্বাচনের ক্ষেত্রে রঙ কিন্তু বেশ প্রভাব বিস্তার করে। সেজন্য জেনুইন লেদারের তৈরি বেশিরভাগ ব্যাগের রঙে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে ব্লাক এবং ব্রাউন কালার। এছাড়া ডার্ক নেভি ব্লু, গ্রীণ, পেস্টল পিঙ্ক, ব্লু, আকাশি ইত্যাদি কালারের ব্যাগও রয়েছে। তবে বেশিরভাগ কালারফুল ব্যাগগুলো কাপড়, পাঠ, সুতো ইত্যাদি সব উপদান দিয়ে তৈরি। এ ধরনের ব্যাগগুলোতে লাল, গোলাপি, সবুজ, নীল, খয়েরী, কমলা ইত্যাদি প্রায় সব ধরনের রঙের বাহার রয়েছে। আকার এবং আকৃতির দিক থেকেও রয়েছে ভিন্নতা। ছোট, বড়, মাঝারি সাইজের সঙ্গে ত্রিকোণাকৃতি, গোল, আয়তকার ইত্যাদি বিভিন্ন আকৃতির ব্যাগ মিলছে বাজারে। আকৃতি ভেদে ভেতরের জায়গার তারতম্য রয়েছে। যেমনঃ বাকেট ব্যাগগুলো ভেতরের জায়গা খুবই কম, সেজন্য খুব বেশি জিনিস ক্যারি করা যায় না। অন্যদিকে ঝোলা, ব্যাকপ্যাক ও ট্যুর ব্যাগের ভেতর অনেক কিছু ক্যারি করা যায়। আবার কোন কোন ব্যাগের ডিজাইনে বেল্ট অথবা হাতল রয়েছে। কোনটিতে রয়েছে পিঠে ঝোলানোর সুবিধা।
পোশাকের
সঙ্গে মিলিয়ে
কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় ফ্যাশনপ্রেমীরা পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে একটি করে ব্যাগও নিজেদের কালেকশনে রাখেন। জেনে নেই কোন পোশাকের সঙ্গে কেমন ব্যাগ মানানসই-