ওয়াসি তানজীম
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৪৭ পিএম
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৪৭ পিএম
চুল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হালফ্যাশনের অঙ্গ। হেয়ার জেল, কালার, স্টাইলিং প্রোডাক্ট ব্যবহারে পিছিয়ে নেই কেউ। এসব ব্যবহারে হেয়ারফল বা টাক সমস্যার মতো নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সাধারণ তেল, শ্যাম্পু ব্যবহারের পাশাপাশি চুলের যত্নের কিছু ঘরোয়া টিপস দেখে নিন-
ছেলেদের সৌন্দর্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ চুল। ত্বকের যত্নের ব্যাপারে অনীহা থাকলেও চুলের যত্নের ব্যাপারে তারা বেশ সচেতন। তবে অনেকেই চুলের যত্ন বলতে কেবল রোজ শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করা বোঝেন। ঝলমলে সুন্দর স্বাস্থ্যকর চুল পেতে হলে শুধু শ্যাম্পু করলেই চলবে না, দরকার বাড়তি যত্নের। কিছু ঘরোয়া টিপস থাকছে চুলের যত্নের। যার জন্য খুব বেশি সময় ব্যয়ের প্রয়োজন নেই।
তেলের ব্যবহার
সুস্থ ও সুন্দর চুলের জন্য সপ্তাহে অন্তত দুই দিন তেল দেওয়া উচিত। চুলের তেল বলতে আমাদের দেশে সবাই নারকেল তেলকেই বোঝায়। কিন্তু এখন চুলের যত্নে আরও অনেক ধরনের তেল ব্যবহার করা যায়। যেমন জলপাই তেল, আমন্ড তেল, আর্গান তেল। এগুলো চুলের পুষ্টি জোগাতে বেশ ভালো ভূমিকা রাখতে পারে।
লিস্টে রাখুন অনিয়ন অয়েল
পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে জীবাণুনাশক এলিমেন্ট থাকে। পেঁয়াজের রস হেয়ার গ্রোথে ও নতুন চুল তৈরিতে অব্যর্থ। পেঁয়াজে সালফার থাকে যা চুল পড়া, চুলের ভেঙে যাওয়া ও অকালে চুল পড়ে যাওয়া আটকায়। পেঁয়াজের রস চুলের সঠিক পিএইচ লেভেল বজায় রাখতে সাহায্য করে। চুলে পুষ্টি প্রদান করে। খুব কম সময়ে চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তোলে। সপ্তাহে তিন দিন রাত্রে ঘুমানোর আগে মাথায় হালকা করে লাগিয়ে নিন। মাসখানেকের মধ্যেই ভালো ফল পাবেন।
খুশকি দূর করতে
ছেলেদের চুলের খুশকি হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। এর সমাধান হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন টি ট্রি অয়েল। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত, টি ট্রি অয়েল অনেক শক্তিশালী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদানে ভরপুর; যা খুশকি প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে। নারকেল বা অন্য যেকোনো তেলে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করলে খুশকির সমস্যা কমে আসবে।
চুল পড়া কমাতে গ্রিন টি
শরীর তো বটেই, আপনার চুল ভালো রাখতে গ্রিন টির জুড়ি মেলা ভার। বিশেষত চুল পড়া কমাতে গ্রিন টি খুবই উপকারী। মাঝারি মাপের কাপে পানি গরম করে দুটি টি-ব্যাগ দিয়ে দিন। সময় নিয়ে ঠান্ডা করে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ও মাথার স্ক্যাল্পে ভালোভাবে মাখুন। আট থেকে দশ দিন ব্যবহার করলে দেখবেন, চুল পড়ার হার কমে আসবে।
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার
অ্যালোভেরায় এক বিশেষ ধরনের প্রোটিওলাইটিক এনজাইম থাকে, যা স্ক্যাল্পের মৃত কোষগুলো সরিয়ে হেয়ার গ্রোথ বাড়াতে সাহায্য করে। অনেক সময় অতিরিক্ত দূষণ আমাদের স্বাভাবিক হেয়ার গ্রোথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন গোসলের আগে অ্যালোভেরা ব্যবহারে চুল দূষণমুক্ত হয়, চুল পড়া কমে। অ্যালোভেরার পাতা থেকে ক্বাথ বের করে সরাসরি ব্যবহার করতে পারেন। আবার তাতে সামান্য পানি মিশিয়ে এক দিন ফ্রিজে রেখে পর দিন গোসলের ৩০ মিনিট আগে চুলে লাগাতে পারেন। এ ছাড়া যেকোনো হেয়ার জেলের পরিবর্তে স্টাইলিং করতে অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন।
ডিমের মাস্ক
চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ডিম খুবই উপকারী। এতে রয়েছে সালফার ও প্রোটিন, যা চুলের ফলিকল মজবুত করে ও নতুন চুল গজাতে ভূমিকা রাখে। সপ্তাহে অন্তত একবার চুলের ডিমের মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। চুলের গোড়া শক্ত হওয়ার পাশাপাশি চুল ঝলমলে ও নরম হবে।