হুমায়রা রহমান
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৩ ১২:২৭ পিএম
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৩৩ পিএম
অলংকরণ : মিথিলা ভৌমিক, সপ্তম শ্রেণি, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
শহর থেকে অনেক দূরের এক জায়গা। গ্রামের নামটি সোনাপুর। এর মনোরম পরিবেশ দেখে মনে হয় অন্য এক রাজ্য। সোনাপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে আত্রাই নদী। নদীতে অনেক জেলে মাছ ধরে। নদীটির পাশে একটি সোনালি কুটির। কুটিরে বাস করে এক দজ্জাল মেয়ে। সে এতিম। থাকে খালার সঙ্গে। খুব রাগী। এটা ছুড়ে মারে, ওটা ভাঙে। দেখলে মনে হয় যেন ৬০০ বছরের স্কুলম্যাম।
গ্রামের এ খোলামেলা পরিবেশে সেই মেয়েটিকে মানায় না। গ্রামের আর শিশুদের মনের মতো সঙ্গী হতে পারে না সে। গ্রামে তার কোনো বন্ধু নেই। থাকবেই বা কেন! ওমন দজ্জাল মেয়েকে কেউ কি পছন্দ করবে?
সেবার ছিল শীতকাল। তার একটাই দাদি। নাম সীমা। থাকে পাশের গ্রামে। মেয়েটি তার দাদির বাসায় গেল এবং দেখল দাদি একটি থালায় কিছু পিঠা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটি বাড়িতে ঢুকল এবং বিশাল একটা চিৎকার দিয়ে বলল, আমার পিঠা কই? এক্ষুনি আমি যদি কোনো পিঠা না পাই, তোমাকেই খাব দাদি।
কথাটি শুনে দাদি চমকে উঠল। হাত থেকে সব পিঠা পড়ে গেল। দাদি বলল, সব পিঠা তো নষ্ট হয়ে গেল মণি।
মেয়েটির খুব রাগ হলো। ফটাস ফটাস করে হেঁটে ঘরের ভেতর চলে গেল।
এক ফুটফুটে পরী তা লক্ষ করল। সে ভাবতে লাগল, কী করা যায়। যদি সে কোনো পিঠা খেতে না পায়, তাহলে দাদির তো বিপদ।
তার হাতে ছিল একটা ম্যাজিক ওয়ান্ড। সে ভাবল, এটা দিয়ে কিছু পিঠা বানিয়ে বরং টেবিলে রেখে দিই।
পরীটা কিছু পিঠা থালায় সাজিয়ে টেবিলে রেখে দিল।
মেয়েটি ঘরে ঢুকে দেখল থালা ভর্তি পিঠা। থালাটি হাতে নিয়েই সে গপগপ করে সব পিঠা খেয়ে নিল। শেষ পিঠা খাওয়া শেষ হতেই দাদি ঘরে ঢুকল। খুব ভয়ে ভয়ে মেয়েটির কাছে গেল।
মেয়েটি একটুও রাগ দেখাল না। খুব হাসিখুশি মনে দাদিকে জড়িয়ে ধরল।
আসলে পরীটা শেষ পিঠায় একটি পাতা ঢুকিয়ে রেখেছিল। পাতাটি একটি ম্যাজিক ওষুধ।
ওষুধটি খেলে কেউ আর দজ্জাল
থাকে না!
সপ্তম শ্রেণি, কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল, দয়ারামপুর, নাটোর