মজার ঘটনা
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৩২ এএম
আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৪০ এএম
১৮৯০-এর দশকে পৃথিবীর বেশিরভাগ এলাকা যখন অন্ধকারে ডুবে, তখন নিকোলা টেসলা জ্বলন্ত টিউব হাতে নিয়ে নিউইয়র্কে কলাম্বিয়া কলেজে তার উদ্ভাবিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ট্রান্সফরমার প্রদর্শন করেছিলেন। বিজ্ঞানের ইতিহাসে অসামান্য অবদান রাখা এই মানুষটি শৈশব থেকে ছিলেন কৌতূহলী। আর এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে তার ম্যাচেক নামে পোষা বিড়ালের! টেসলা তখন বাবা-মায়ের সঙ্গে ক্রোয়েশিয়ার একটি নির্জন খামারবাড়িতে থাকতেন। সেখানে বিড়ালটি ছিল তার সার্বক্ষণিক সঙ্গী। এক শীতের সন্ধ্যায় তিনি ম্যাচেকের পিঠে চাটি মারতেই বিড়ালটির পুরো পিঠ আলোকোজ্জ্বল হয়ে ওঠে। সেটা এমন আলোকস্ফটিকা তৈরি করল যা সারা বাড়িতেই টের পাওয়া গেল। এমনকি অন্ধকার রুমে বিড়ালটা হাঁটার সময়ও গা থেকে আলোর আভা বের হচ্ছিল। পাশের ঘর থেকে টেসলার মা বললেন, ‘বিড়ালটার সঙ্গে খেলা বন্ধ করো। যেকোনো সময় আগুন লেগে যেতে পারে।’ কিন্তু বালক টেসলার মাথায় তখন খেলা করছিল বিমূর্ত এক চিন্তা। সেই আশ্চর্য রাতের প্রভাব তার শিশুমনকে কল্পনাপ্রবণ করে তুলেছিল। তখন থেকে তিনি দিনের পর দিন নিজেকে প্রশ্ন করেছেন, ‘ইলেকট্রিসিটি কী?’ এ ঘটনাটিই তাকে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে। সেই আলো আর আলোকিত বিড়াল বালক টেসলারের কল্পনাকে এমনই প্রভাবিত করেছিল যে জীবনভর ইলেকট্রিসিটি বুঝতে কাজ করেছেন।
সূত্র : ডিসকভারম্যাগাজিন ডটকম
বিড়াল ম্যাচেক