সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৩
জেসিয়া হোসাইন
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:২০ পিএম
১০ দিনের এ সফরে বিজয়ী শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি ও সংস্কৃতি বিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন
দেশে একটি শক্তিশালী আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে হুয়াওয়ে এ বছর দশমবারের মতো বাংলাদেশে সিডস ফর দ্য ফিউচারের আয়োজন করেছে। এ প্রতিযোগিতার ছয় বিজয়ী বাংলাদেশি তাদের চীন সফর শুরু করেছেন। ১০ দিনের এ সফরে তারা প্রযুক্তি ও সংস্কৃতি বিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
এ ছাড়া হুয়াওয়ের আরঅ্যান্ডডি সেন্টার ও সদর দপ্তর পরিদর্শনসহ ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক চীন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নেওয়ার পাশাপাশি ট্যালেন্ট সামিট ২০২৩-এ যোগ দেবেন তারা। এ বছরের সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (ইইই) মোহাম্মদ আজমাঈন ফাতিন ও অর্পণ সাহা, বুয়েটের এমই বিভাগের ফারসিয়া কাওসার চৌধুরী, রুয়েটের সিএসই বিভাগের মায়িশা ফারজানা, আইইউটির সিএসই থেকে সাজিদ আহমদ চৌধুরী এবং ইইই থেকে আল মুমতাহিনা এরিকা। এ বছর সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রতিযোগিতায় ৬০০-এর বেশি আবেদন জমা পড়ে। শীর্ষ ২০ শিক্ষার্থী তাদের প্রোফাইল, কনসেপ্ট ও উপস্থাপনায় যোগ্যতার ভিত্তিতে চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত হন।
আইসিটিকে কাজে লাগিয়ে সমাজের ক্ষমতায়ন বিষয়ে বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকার এবং প্রেজেনটেশনের মাধ্যমে শীর্ষ ২০ জন থেকে ছয় বিজয়ীকে নির্বাচিত করা হয়। এ বিষয়ে হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়ার বোর্ড মেম্বার ও পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর জেসন লি বলেন, ‘হুয়াওয়ের সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৩ তথ্যপ্রযুক্তিগত জ্ঞানের শক্তি দিয়ে বাংলাদেশের তরুণদের ক্ষমতায়ন করতে চায়। আমরা সবাই জানি যে আইসিটিই হলো ভবিষ্যৎ। এ চীন সফরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আইসিটি শিল্প এবং কীভাবে তা সমাজের উপকার করতে পারে সে সম্পর্কে বাস্তবসম্মত জ্ঞান লাভ করবে। সিডস ফর দ্য ফিউচারের অন্যতম লক্ষ্য তরুণদের ক্ষমতায়ন করা, যাতে তারা ভবিষ্যতে স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব নিতে পারে। আমি এ বছরের বিজয়ীদের শুভকামনা জানাই।’
উল্লেখ্য, সিডস ফর দ্য ফিউচার হলো হুয়াওয়ের বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম, যা ১৫ বছর ধরে ডিজিটাল সেক্টরের জন্য প্রতিভা তৈরি করে আসছে। এ ধরনের উদ্যোগগুলো তরুণরা তাদের দক্ষতা বাড়াতে এবং বাংলাদেশকে নতুন ডিজিটাল রূপান্তর যুগের দিকে নিয়ে যেতে সঠিক সুযোগ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বিজয়ী শিক্ষার্থীরা।