লেখা ও আঁকা : ইয়ালিনা তাসিফা
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৩ ১৩:১৫ পিএম
আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৩ ১৩:২৩ পিএম
ছবির মতো দেখতে কুসুমপুর গ্রাম। তবে বেশ ছোট। ছোট বিন্তীর বাড়ি এ গ্রামেই। সে লেখাপড়ায়ও বেশ মনোযোগী। সব পড়া মনোযোগ দিয়ে পড়ে। কিন্তু তা-ও যেন কিছু একটা বাকি রয়ে যায়। কারণ অন্যদের মতো তো সে সাঁতার কাটতে পারে না। পানিতে পড়ে ডুবে যাওয়ার বেশ ভয় তার। সেদিন স্যার ক্লাসে তাকে জিজ্ঞেস করলেন, বিন্তী, তুমি বড় হয়ে কী হতে চাও? সে এর কোনো উত্তর দেয়নি। ওর লক্ষ্য বড় হয়ে একজন বিজ্ঞানী হবে। এমন একটা যন্ত্র আবিষ্কার করবে যা দিয়ে অনায়াসে সাঁতার কাটা যায়। তবে কিছুদিন আগের একটা ঘটনা ওকে বড়ই ভাবাচ্ছে। সেটি হলো ওদের গ্রামের শেষ মাথায় জঙ্গলে আছে একটা পুকুর। তার বন্ধু শাপলার সঙ্গে সেদিন বেড়াতে গিয়েছিল। হুট করে পা পিছলে সে পড়ে গেল পুকুরে। তবে অদ্ভুত ব্যাপার, সে কিন্তু ডুবল না। উল্টো ভেসে থাকল। পরে শাপলার চেঁচামেচিতে গ্রামের কিছু লোক এসে তাকে পুকুর থেকে তুলল। তবে এত গভীর জলে সে কীভাবে ভেসে ছিল? সেদিন পুকুর থেকে ওঠার পর যখন ফিরে আসছিল, একজন বুড়ি তাকে পেছন থেকে বলেছিল, ‘সাঁতারটা
শিখে নিও খুকি!’ আগে সে কখনও তাকে এই গ্রামে বা আশপাশে কোথাও দেখেনি। এ ব্যাপারে কোনো সমাধান খুঁজে পেল না সে।
এভাবেই অনেক বছর কেটে গেল। একদিন বিন্তী হয়ে উঠল একজন নামকরা বিজ্ঞানী এবং আবিষ্কার করল দুটি জিনিস। একটি হলো কীভাবে সাঁতার জানা ছাড়া পানিতে ভেসে থাকা যায় এবং আরেকটি হলো টাইম মেশিন, যা দ্বারা অতীত ও ভবিষ্যতে ভ্রমণ করা যাবে। একদিন সে তার অতীতে গেল মেশিনের সাহায্য নিয়ে এবং দেখল, একি! সেই ছোট বিন্তী যে পানিতে পড়ে যাচ্ছে। তাকে যে তাড়াতাড়ি বাঁচাতে হবে। কিন্তু বিন্তী বুড়ি তো নিজেও সাঁতার জানে না, এখন? তখন সে ব্যবহার করল তার আবিষ্কার ভেসে থাকার মেশিন। যা দ্বারা সে ছোট্ট বিন্তীকে বাঁচিয়ে ফেলল এবং ছোট্ট বিন্তী চলে যাওয়ার সময় তাকে বলল, সাঁতারটা শিখে নিও খুকি!
নবম শ্রেণি, দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়