আইন-আদালত
দিলরুবা শরমিন
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৩ ১২:৪৫ পিএম
আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০২৩ ১৭:০৮ পিএম
পাঠকদের আইনগত সমস্যার সমাধানে এই বিভাগ। নির্বাচিত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী দিলরুবা শরমিন
প্রশ্ন : আমার স্ত্রী পরকীয়া করে। সে যার সঙ্গে পরকীয়া করে সেই মানুষটা ভালো না। তারা দুজন প্রায়ই দেশের ভেতরে ও বাইরে একসঙ্গে অবস্থান করে। তারা কী বিজনেস করে জানি না, তবে তারা বিজনেস ক্লাসে চলাচল করে আর কমপক্ষে ফাইভ স্টার হোটেল ছাড়া থাকে না। এসব আমার বাচ্চারা জেনে যাওয়ায় আমার স্ত্রী তাদের সাংঘাতিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। আমাকে ভয় দেখায়। আমি বাসায় যেতে পারি না। এর থেকে পরিত্রাণ কী?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, নিকেতন, ঢাকা।
উত্তর : বাংলাদেশের আইনগুলো জনবান্ধব নয়। কোর্ট আইনের বাইরে গিয়ে কোনো নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চান না। নইলে নিজের কীর্তি গোপন রাখতে না পারার জন্য বাচ্চাদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার জন্য আপনার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেত।
পরকীয়ার অপরাধে ছেলেটি সাজা পায়, মেয়েটি নয়। বাচ্চাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউ নির্যাতন করলে মামলা করা যায়। বাবা-মা করলে যায় না। তাই আমাদের হাত-পা বাঁধা বলতে পারেন।
আপনি বিষয়টা আরও ভাবুন। পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে যাকে দিয়ে মামলা করাবেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তবে আমি জানি এর অবসান আইনে আপনি পাবেন না।
আপনার স্ত্রীর আয়ের উৎস নিয়ে সন্দেহ থাকলে লিখিত অভিযোগ দাখিল করুন সংশ্লিষ্ট সংস্থায়। তার ভুলের মাশুল আপনি দেবেন কেন? আর কেউ কোনো ভুল করছে জানলে সরকারকে জানানো নাগরিক দায়িত্ব। এর বাইরে আপনি আপনার সংশ্লিষ্ট থানায় একটা সাধারণ ডায়েরি করে রাখুন।