চোখ নিয়ে আছে নানা গান-কবিতা। চোখের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েই কবি-সাহিত্যিকরা লিখেছেন সেসব। অন্যদিকে সুন্দর চোখ আরও আকর্ষণীয় করার চেষ্টা থাকে সব নারীর। শ্যাডো, মাসকারা, আইলাইনার, কাজল রয়েছে নানা প্রসাধনী। তবে এসবের ভিড়ে সব থেকে বেশি জনপ্রিয় হলো কাজল। আজ থাকছে ভিন্ন ভিন্ন কাজল নিয়ে নানা তথ্য
লিকুইড কাজল
অফিস, ইউনিভার্সিটি বা যেকোনো পার্টিতে যাওয়ার আগে চোখের সাজে সবার পছন্দ থাকে আইলাইনার। কেননা এটি দেয় একটা ম্যাট ও শার্প লুক। ছোট পাত্রে মেলে লিকুইড আইলাইনার এবং ব্যবহার করার জন্য থাকে ব্রাশ। যার সাহায্যে চোখের পাতায় এবং নিচে সুন্দর করে লাইন টেনে নেওয়া যায়। আইনাইনার সাধারণত গাঢ় রঙের হয় এবং এটি ব্যবহার করার পর কিছুক্ষণের মধ্যে শুকিয়ে ম্যাট হয়ে যায়। ফলে এটি হয় দীর্ঘস্থায়ী। তবে যারা মেকআপে একদম পারদর্শী নয়, তাদের জন্য একটু অসুবিধা হয়। একটু সর্তক হয়ে আইলাইনার ব্যবহার করলে সারা দিনের জন্য সুন্দর একটা লুক ক্রিয়েট করা যায়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আইলাইনার বাজারে মেলে। যার জন্য গুনতে হবে ১৫০ টাকা থেকে ৬শ টাকা।
পেন কাজল
বেশ কয়েক বছর ধরে মার্কার পেন আইলাইনার অনেক জনপ্রিয়। এর টেক্সচার লিকুইড কিন্তু কলমের মতো আকারের হওয়ায় এটা এপ্লাই করা সহজ হয়। এর ফর্মুলাটি সাধারণত অন্য ধরনের কাজলের তুলনায় বেশি পিগমেন্টেড। চোখের ওপরে ব্যবহার করার জন্য এটি আদর্শ। ব্যবহার করার পর এটি দ্রুত শুকিয়ে যায় এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। যারা সূক্ষ্মভাবে আইলাইনার ব্যবহার করতে পারেন না, তাদের জন্য এই লিকুইড পেন। এটা সহজে চোখে ব্যবহার করা যায় এবং ছড়িয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। পেন কাজল ব্যবহার করে এর ক্যাপটি ভালোভাবে আটকে রাখতে হবে। না হলে শুকিয়ে যেতে পারে। এর মূল্যও হাতের নাগালে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পেন আইলাইনার বাজারে মেলে। যার জন্য গুনতে হবে ২শ টাকা থেকে ৪শ টাকা।
জেল কাজল
জেল কাজলের টেক্সচার অনেক স্মুদ আর ক্রিমি হয়। এটি একদম কালো কালির মতোই ঘন কালো হওয়ায় চোখের ওপর একটা স্ট্রোকই যথেষ্ট। পিগমেন্টেশনও যথেষ্ট ভালো। লিকুইড আইলাইনার দিতে গেলে অনেকের হাত কাঁপে, ছড়িয়ে যায় বা দুই চোখে দুই রকম হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও যারা সুন্দর করে আইলাইনার দিতে পারছেন না, তাদের জন্য এটি আদর্শ। এটি এপ্লাই করার পরে খুব দ্রুত শুকিয়ে যায় যে কারণে সহজে ছড়িয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। উইংড আইলাইনার বা ক্যাট লাইনার, চোখের ভেতরের লাইনিং ড্রামাটিকসহ সব করা যায় জেল কাজল দিয়ে। এমনকি স্মাজপ্রুফ কাজল হিসেবে চোখের নিচের পাতায় দিতে পারেন। স্মোকি আই করতে চাইলে আইলিডের বেস হিসেবে আইলাইনার দিয়ে ব্লেন্ড করে নিলেও চমৎকার দেখাবে। প্রথমে এপ্লাই করার পরে দেখে হয়তো একটু অয়েলি মনে হতে পারে, তবে পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে ম্যাট লুক দেয়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জেল কাজল বাজারে মেলে। যার জন্য গুনতে হবে ২৫০ টাকা থেকে ৫শ টাকা।
পেন্সিল কাজল
পেন্সিল কাজল অনেক বেশি জনপ্রিয়। বলা যায় এটি একটি ক্ল্যাসিক কাজল। এটা এপ্লাই করার প্রসেসও সহজ। মসৃণ এবং ক্রিমি টেক্সচারের হওয়ায় ত্বকের ওপর সহজে ব্যবহার করা যায়। সার্পনার দিয়ে পেন্সিল কাজলের মুখ সূক্ষ্ম করা যায়। ফলে চোখের ওপরে ও নিচে সুন্দর করে লাইন টেনে নেওয়া যায়। স্মোকি আই তৈরি করতেও এটি বেশ কার্যকর। প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য সবার পছন্দের তালিকায় থাকে এই কাজল। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক সময়। তবে এখন সব ব্র্যান্ডের ওয়াটার প্রুফ কাজল বাজারে মেলে। যা ব্যবহারের পর দীর্ঘস্হায়ী হয় এবং ছড়িয়ে যায় না। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পেন্সিল কাজলের মূল্যও হাতের নাগালে। তবে ওয়াটার প্রুফ কাজলের জন্য দিতে হবে একটু বেশি মূল্য। বাজারে এক শত টাকা থেকে ৫ শত টাকার মধ্যে ভালো মানের কাজল মেলে।