মোমেনা জান্নাত ফ্লোরা
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৩ ০৮:৪৭ এএম
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৩ ১০:৪৭ এএম
অলংকরণ: আফসিন জাহান প্রতিভা, দশম শ্রেণি, আজিমপুর গর্ভনমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
মনে হচ্ছে বৃষ্টি নামবে। হাতে এক কাপ চা নিয়ে দাদুর ঘরে গেলাম ভূতের গল্প শুনতে। বাইরে বৃষ্টি, চা নিয়ে জানালার পাশে বসে ভূতের গল্প শোনা। আহা, কী যে ভালো লাগে! দাদুর ঘরে যেতেই তিনি আমাকে বসতে বললেন। দাদু গল্প শুরু করলেন। তবে আজ ভূতের গল্প নয়। দাদু বলবেন তার ছেলেবেলার গল্প। দাদু বললেন, প্রকৃতিকে শীতল করতেই বর্ষার আগমন। বর্ষাকালে বেশিরভাগ সময় আমরা মাছ ধরতেই মেতে থাকতাম। সকাল সকাল নৌকা নিয়ে শাপলা ফুল তুলতে বের হতাম। বর্ষায় আমাদের চারপাশের নদনদী, খালবিল, হাওর-বাঁওড় পানিতে ফুলে ফেঁপে উঠত। দলবেঁধে গোসল করতাম। আমি কৌতূহলী হয়ে দাদুকে বললাম, তোমরা বৃষ্টিতে ভিজতে না? তিনি হেসে বললেন, যখনই বৃষ্টি হতো আমরা মাঠে খেলতে চলে যেতাম। কত যে মজা হতো। বৃষ্টির পর গাছ থেকে কদম ফুল নামিয়ে খেলতাম। আমাদের ছোটবেলায় বৃষ্টি মানে আনন্দের জোয়ার। আমার শুনে বেশ ভালো লাগল কিন্তু মন খারাপও হলো। জানালার বাইরে তাকিয়ে দেখি বেশ কিছু মানুষ জীবিকার জন্য বাইরে বের হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির জন্য আটকা পড়েছে। আজকের উপার্জন কীভাবে হবে তা-ও তারা জানে না। এখন মানুষ বর্ষা নিয়ে মোবাইল ফোনে শুধু কবিতা, গান, গল্পই লেখে। দুয়েকটি ছবি তোলে। মানুষ এখন
যান্ত্রিক হয়ে গেছে। প্রকৃতিকে উপভোগ করার মতো কেউ নেই, শুধু শহরের দালানকোঠা, কলকারখানার বদ্ধজীবনে আটকে গেছি সবাই। অথচ ঝমঝম বৃষ্টিতে ভিজে প্রিয় বর্ষাকে আপন করে নেওয়াটাই আর হলো না!
ষষ্ঠ শ্রেণি, সরকারি প্রমথনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রাজশাহী