শিক্ষার্থীদের লেখা
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৩ ০০:০০ এএম
আপডেট : ০৫ মে ২০২৩ ০০:০৭ এএম
অলংকরণ: বিনিতা পাল, কেজি শ্রেণি, শহীদ বীর উত্তম লে: আনোয়ার গালর্স কলেজ, ঢাকা
গ্রীষ্মকাল
তিশা আফরিন
ষড়ঋতুর এই আমাদের
সোনার বাংলাদেশ,
নয়ন ভরে দেখবে যতই
হয় না দেখা শেষ।
দুটি মাসে একটি ঋতু
আসে গ্রীষ্মকাল,
বৈশাখ আর জ্যৈষ্ঠে পাকে
রসাল আম-কাঁঠাল।
গ্রীষ্ম এলে যায় শুকিয়ে
মাঠ-ঘাট খাল-বিল,
আকাশ-বাতাস তপ্ত রোদে
ঠান্ডা লাগায় খিল।
মাঠের ঐ খাঁখাঁ রোদে
ঝরে কৃষকের ঘাম।
হাসিমাখা মুখের পিছে
পুরতে থাকে চাম।
সপ্তম শ্রেণি, বটমলী হোম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, তেজগাঁও, ঢাকা
রোদের খামে একটা চিঠি
মোমেনা জান্নাত ফ্লোরা
রোদের খামে একটা চিঠি এলো
জ্যৈষ্ঠ বোশেখ সেই চিঠিটির
জানান দিয়ে গেল!
চিঠির ভেতর কালবোশেখি,
ঈশানকোণে মেঘ যে দেখি!
কৃষক, চাষি ঘামছে মাঠে
জলতৃষ্ণায় বুকটা ফাটে।
চিঠি দিল ভরিয়ে মধুমাসে
আম, কাঁঠাল, লিচু, আনারসে
আবার জাম, জামরুল টসটসে।
চিঠির শেষে গ্রীষ্ম বলে অভিমানী স্বরে,
‘মানুষ কেন বোকার মতো বৃক্ষনিধন করে?
এই উত্তাপ সূর্যের ক্রোধ থামাতে যদি চাও
বৃক্ষনিধন বন্ধ করে সবাই গাছ লাগাও।’
চলুন সবাই শপথ করি
আজ এই মধুমাসে,
একটি হলেও গাছ লাগাব
বাড়ির আশেপাশে।
রোদের খামে একটা চিঠি
ষষ্ঠ শ্রেণি, সরকারি প্রমথনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রাজশাহী