ডব্লিউ সেভেন ব্র্যান্ডটি যাত্রা শুরু করে ২০০২ সালে; পশ্চিম লন্ডনের দুই উদ্যোক্তার অনুপ্রেরণায়। ব্র্যান্ডটির রয়েছে নানা ধরনের প্রোডাক্ট। জনপ্রিয় সাত আইটেম নিয়ে থাকছে আজকের আয়োজন।
সুন্দর বেসের জন্য ডব্লিউ সেভেন ফাউন্ডেশন
ডব্লিউ সেভেন এইচডি ফাউন্ডেশনটি হালকা ওজনের আল্ট্রা স্মুদ ফুল কভারেজ ফর্মুলাতে তৈরি। যা ত্বকের সঙ্গে নির্বিঘ্নে মিশে যায়। এর নতুন ফর্মুলা ত্বককে শুষ্ক করে না। ত্বককে দেয় স্মুদ ফিনিশিং। খুব গরমেও এই ফাউন্ডেশনটি কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা স্থায়ী হবে। আর স্বাভাবিক আবহাওয়ায় হবে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত। স্বাভাবিক থেকে তৈলাক্ত সব ধরনের ত্বকে ব্যবহার উপযোগী। যার বাজারমূল্যও হাতের নাগালে। মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ৫ মিনিট পর মুখে প্রাইমার লাগাতে হবে। যাতে ত্বকের সব ছিদ্র ও ফাইন লাইনগুলো ভরাট হয়। তারপর ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করে ব্রাশ দিয়ে মুখে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
দাগ লুকাতে ডব্লিউ সেভেন এইচডি কনসিলার
ডার্ক সার্কেলসহ যেকোনো দাগ লুকানো সম্ভব ডব্লিউ সেভেন কনসিলার ব্যবহারে। কনসিলারটির অনেকগুলো শেড রয়েছে। যা দিয়ে দাগকে খুব সহজেই কভার করা যায়। এইচডি কনসিলারটি একটি সুপার ক্রিমি ফর্মুলায় তৈরি। যা মাঝারি থেকে সম্পূর্ণ কভারেজ দিতে সক্ষম। কনসিলার ফাউন্ডেশনের চেয়ে ঘন হয়। তাই এটি ব্রণ এবং দাগ লুকানোর জন্য স্পট ট্রিটমেন্ট হিসেবে কাজ করে। সামান্য কনসিলার আঙুল বা একটি মেকআপ স্পঞ্জে নিয়ে দাগের ওপর অ্যাপ্লাই করতে হবে। এতে স্কিনের দাগগুলো আর দেখা যাবে না। অবশ্যই কনসিলারের এমন শেড বাছাই করতে হবে, যা আপনার স্কিনটোনের সঙ্গে মেলে বা স্কিন টোনের চাইতে একটু হালকা। কনসিলারটি কিনতে পারেন ৩২০ টাকা থেকে ৩৮০ টাকার মধ্যে।
মেকআপ সেট করতে বানানা ড্রিমস লুজ পাউডার
এটি মাইলড লুজ পাউডার, যা জিরো কেকিং দিয়ে এয়ারব্রাশড ফিনিশ দেয়। হলুদ টোনের এই ফর্মুলা ত্বকে অসমান রঙের উপস্থিতি কমায়। বানানা পাউডারের হলদে আভা আসলে অতি সূক্ষ্ম এবং ন্যাচারাল আন্ডারটোন দিয়ে কাজ করে। যা ব্যবহার করা যাবে যেকোনো স্কিন টোনে। ব্যবহার করার প্রসেসও খুব সহজ। একটি বিউটি স্পঞ্জ ব্যবহার করে ত্বকে পরিমাণমতো লুজ পাউডার মাখতে হবে। প্রায় ৫ মিনিটের জন্য ত্বকে ছেড়ে দিতে হবে। এরপর ব্রাশ ব্যবহার করে বাড়তি পাউডার ঝেড়ে ফেলে সেটিং স্প্রে দিয়ে মেকআপ সেট করে নিতে হবে। এই লুজ পাউডারটি কিনতে পারবেন ৪শ থেকে ৬শ টাকার মধ্যে।
আকর্ষণীয় মেকআপের জন্য ক্যান্ডি ব্লাশ
ব্র্যান্ডটির ক্যান্ডি ব্লাশটি একটি ডোম পাউডার ব্লাশার। যার রয়েছে অত্যন্ত পিগমেন্টেড এবং দীর্ঘস্থায়ী সূত্র। ত্বকের ধরন অনুযায়ী আছে ৪টি শেড। ব্লাশ ব্যবহারে চেহারায় দারুণ এক আভা দেখা দেয়। মেকআপের পরেও ন্যাচারাল লুক ফুটিয়ে তুলতে একটুখানি ব্লাশ অ্যাপ্লাই করতে হয়। স্কিনটোন, অকেশন, আউটফিট, বয়স সবকিছু মাথায় রেখেই মেকওভার করা উচিত। ব্লাশটি ওয়ার্ম, কুল-টোনড বা ফর্সা স্কিন টোনে ব্যবহার করতে পারবেন। সব ধরনের ত্বকে এটি লং লাস্টিং হবে। ব্লাশটি কিনতে পারবেন ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকার মধ্যে।
মেকআপের স্থায়িত্ব বাড়াতে ডব্লিউ সেভেন সেটিং স্প্রে
ব্র্যান্ডটির দ্য ম্যাট ফিক্সার সেটিং স্প্রে মেকআপের ফেটে যাওয়া, কুঁচকে যাওয়া প্রতিরোধ করে। এটি অ্যাপ্লাই করলে মেকআপ সেট থাকে এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। এর নন-স্টিকি এবং দ্রুত শুকানোর সূত্রটি মেকআপের বিবর্ণতা কমাতে ত্বকে একটি হালকা বাধা যোগ করে। মেকআপের কিছু সময় পর দেখা যায় মেকআপ গলতে শুরু করে, স্মাজ করে, পরিপাটি ভাবটা আর থাকে না। এক্ষেত্রে সেটিং স্প্রে হচ্ছে লাইফ সেইভার। গলে যাওয়ার ভয় থাকে না। চেহারা থেকে কেকি অথবা পাউডারি ভাবটা দূর হয়। সঙ্গে দেয় ফ্রেশ ও প্রাণবন্ত লুক। এই সেটিং স্প্রেটি কিনতে পারবেন ৪শ থেকে ৬শ টাকার মধ্যে।
চোখ দুটিকে টানা টানা আর আকর্ষণীয় করে তুলতে আইলাইনারের জুড়ি নেই। ব্র্যান্ডটির লিকুইড আইলাইনারটি পাওয়া যায় ফ্লুইডের একটি ছোট পাত্রে। সঙ্গে থাকে ব্রাশ; যার মাধ্যমে সহজে চোখে অ্যাপ্লাই করা যায়। এটি ওয়াটার প্রুফ। তাই লং-লাস্টিং হয় এবং ছড়িয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। প্রথমে চোখে ব্যবহার করতে হবে আই প্রাইমার বা কনসিলার। তারপর নিখুঁত আইলাইনার প্রয়োগের জন্য ব্রাশটিকে ফ্ল্যাট ধরে যতটা সম্ভব ল্যাশ লাইনের কাছাকাছি ধরে লাইন টানতে হবে। আইলাইনারটি এখন বেশ জনপ্রিয়।
ঠোঁটের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ডব্লিউ সেভেন লিপস্টিক
এই ব্র্যান্ডের লিপস্টিক মানসম্পন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি। যা দেয় অত্যন্ত পিগমেন্টযুক্ত এবং একটি সম্পূর্ণ কভারেজ ফিনিশিং। যা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠোঁটে স্থায়ী হয়। অন্যদিকে, তাদের গ্লসগুলোতে আঠালো ভাব একেবারেই নেই। ব্র্যান্ডটির লিপস্টিকের মধ্যে অন্যতম হলো মেগা ম্যাট লিপস। এর ফর্মুলা হালকা ওজনের এবং পরতে আরামদায়ক। যা সারাদিন ক্যারি করার জন্য দারুণ। এ ছাড়া আরও আছে লিপ বম গ্লস। যা ঠোঁটে যোগ করে প্লাম্পিং প্রভাব। পাওয়া যায় বিভিন্ন শেডে। ন্যুড কালার থেকে গাঢ় লাল মেলে সব। এ ছাড়া এতে আছে ময়েশ্চারাইজিং উপাদান, যা ঠোঁটকে রাখে কোমল।