আঁকা ও লেখা : ইসাবা ইলমি প্রিয়তি
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৩ ০৯:৩৮ এএম
আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৩ ০৯:৩৮ এএম
আমার চাচাতো ভাইয়ের নাম আদ্রিত। তাদের বাসায় ছয়টি বিড়াল আছে। চারটি বিড়াল বড়। দুটি ছানা বিড়াল। ছানা দুটির নাম অরিও আর ডরিও। বড় বিড়ালগুলোর নাম মুন, বেলা, আনা ও টুটু। বেলার ছানা অরিও। আর আনার ছানা ডরিও।
আমার চাচাতো বোনের নাম রুপন্তী। আমি আর রুপন্তী একদিন আদ্রিতদের বাসায় গেলাম। আদ্রিতদের বিড়ালগুলো দেখে আমাদের খুব ভালো লাগল। বিশেষ করে অরিও আর ডরিওকে। অরিও আর ডরিওর সঙ্গে আমরা খেললাম। দৌড়াদৌড়ি করলাম। মিউ মিউ করে কথা বললাম। অনেক গল্প করলাম।
খেলতে খেলতে দুপুরে খাওয়ার সময় হয়ে গেল। চাচিমা খাবার দিলেন। খাওয়াদাওয়া শেষ করে চাচিমা কফি দিলেন। আমরা কফি খাওয়ার কিছুক্ষণ পর পার্কে বেড়াতে গেলাম। পার্ক থেকে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরলাম। বাসায় ফিরে দেখি ডরিওর মন খুব খারাপ। আমরা ডরিওকে জিজ্ঞাসা করলাম, তোমার মন খারাপ কেন? ডরিও কেঁদে বলল, ‘অরিওকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কোথায় যে গেল আমার ভাইটা! অনেক খুঁজলাম। কোথাও পেলাম না।’
অরিওর কথা শুনে আদ্রিত কান্না শুরু করল। বলল, ‘তোমরা আমার অরিওকে দাও। যেখান থেকে পারো
আমার অরিওকে এনে দাও।’ আমি বললাম, ‘চল, সবাই মিলে খুঁজি।’ খুঁজতে খুঁজতে অনেক রাত হয়ে গেল। কিন্তু অরিওকে পাওয়া গেল না।
কাঁদতে কাঁদতে আদ্রিত ঘুমিয়ে গেল। রুপন্তীও ঘুমিয়ে গেল। আমি কী করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। বাবা বললেন, ‘প্রিয়তি বাসায় চল। অনেক রাত হয়েছে।’ এ কথা শুনে চাচিমা বললেন, ‘আজ তোমাদের যাওয়ার দরকার নেই। রাতে থেকে যাও। এখন গাড়িঘোড়া কিছুই পাওয়া যাবে না। দেখছো না সবার মন খারাপ। সবাই খুব অস্থির হয়ে আছে অরিওর জন্য। কাল সকালে আবার খোঁজা শুরু করব। কোথায় আর যাবে?’ ‘অরিও বাসার বাইরে চলে যায়নি তো?’ বললাম আমি। চাচিমা বললেন, ‘যেতেও পারে। সকালে দেখব। খাওয়ার সময় আনেক আগেই পেরিয়েছে। খেয়েদেয়ে দ্রুত শুতে যাও।’
সকালে উঠে দেখলাম চাচ্চু অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছেন। খাটের তলায় একটি বড় বক্স আছে।
ওই বক্সে চাচ্চুর দরকারি কাগজপত্র থাকে। প্রয়োজনীয় একটি কাগজ বের করতে গিয়ে চাচ্চু তো অবাক। অরিও বক্সের পেছনে ঘুমুচ্ছে। চাচ্চু সবাইকে ডাকলেন। বললেন, অরিওকে পাওয়া গেছে। শিগগির এসো। তোমরা শিগগির এসো। গিয়ে দেখলাম অরিও চাচ্চুর হাতে। আমি অরিওকে চাচ্চুর হাত থেকে নিয়ে ওর মা বেলার কাছে দিলাম। অরিওকে পেয়ে বেলা খুব খুশি। আমরাও খুশিমনে বাসার পথে রওনা দিলাম।
ষষ্ঠ শ্রেণি, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ
উত্তরা, ঢাকা