× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সেহরি ও ইফতার রোজাকে পরিপূর্ণ করে

শাহীন হাসনাত

প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৩ ১৩:১২ পিএম

ক্যালিগ্রাফি: নাজিব তারেক

ক্যালিগ্রাফি: নাজিব তারেক

রোজা মানুষের আত্মার উন্নতি বিধানের ক্ষেত্রে এক অনন্য ভূমিকা পালন করে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যারা পরিপূর্ণভাবে রোজা পালন করে তারা রমজান শেষে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর মতো পূতঃপবিত্র হয়ে যায়।’ এ জন্য অনাদিকাল থেকে আল্লাহতায়ালার হুকুমে খোদাভীরুরা রোজা পালন করে আসছেন। দয়াপরবশ হয়ে আল্লাহতায়ালাও উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য রমজান মাসে রোজা পালন ফরজ করেছেন, যাতে তারা রহমতের ছায়াতলে থেকে আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের সুযোগ পায়।

প্রতিদিন রোজাদারের রোজা শুরু হয় ভোররাতে সেহরির মাধ্যমে এবং দিনশেষে সূর্যাস্তের পর ইফতারির মাধ্যমে রোজার সমাপ্তি হয়। সেহরি ও ইফতার হচ্ছে রোজা শুরু ও শেষের দুটি প্রান্তসীমা। দুটি প্রান্তসীমাতেই খাওয়ার বিধান ও ফজিলত রয়েছে। রোজায় দীর্ঘসময় খানাপিনা থেকে বিরত থাকতে হয় বলে শুরুতে খেয়ে নেওয়া এবং শেষে আবার খেতে বসার একটি মানবীয় প্রয়োজনীয়তা পূরণেই সেহরি-ইফতারের ফজিলত ও আবেদন সীমাবদ্ধ নয়। সেহরি ও ইফতারি খাওয়া স্বতন্ত্র একটি ইবাদতও বটে। এটা পালন করার মাঝে বহু ফজিলত ও তাৎপর্য রয়েছে। এক ঢোক পানি কিংবা এক লোকমা খাদ্য দিয়ে হলেও সেহরি খেতে উৎসাহিত করা হয়েছে হাদিসে। রোজার নিয়তে সেহরি খাওয়া সুন্নত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সেহরি খাও, তাতে বরকত আছে।’ সেহরি পেট ভরে খাওয়া জরুরি নয়। সামান্য খেলেও সেহরির সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। শেষ সময়ে সেহরি খাওয়া মোস্তাহাব। তবে লক্ষ রাখতে হবে, সময় যেন পার না হয়ে যায়।

সেহরি সুবহে সাদিকের আগেই খেতে হয়। এরপর কিছু খেলে রোজা হবে না। সেহরির সময় সম্পর্কে সহীহ মুসলিম শরিফে হজরত সাহল ইবন সা’দ (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন এ আয়াতÑ ‘তোমরা পানাহার কর যে পর্যন্ত তোমাদের সামনে কালো রেখা থেকে সাদা রেখা সুস্পষ্ট হয়ে না ওঠে’ নাজিল হলো, কেউ কেউ একটি সাদা সুতা সঙ্গে নিয়ে আহার করতে বসত। এরপর ভোর উদ্ভাসিত হওয়া পর্যন্ত আহার করতে থাকত। এরপর মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ ‘মিনাল ফাজরি’ কথাটি নাজিল করেন এবং এতে অস্পষ্টতা ও জটিলতার অবসান হলো। হাদিস-২৪০৭

অন্য এক হাদিসে হজরত যায়িদ ইবন সাবিত (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে সেহরি খেয়ে ফজরের নামাজের উদ্দেশ্যে দাঁড়ালাম। আমি (আনাস) বললাম, সেহরি ও নামাজ এ দুইয়ের মধ্যে ব্যবধান কতটুকু ছিল? তিনি বলেন, ‘৫০ আয়াত তেলাওয়াতের সমপরিমাণ সময়।’ হাদিস-২৪২৫

অন্যদিকে ইফতার রোজাদারদের জন্য একটি আনন্দময় সময়। সূর্যাস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা সুন্নত এবং সূর্যাস্তের আগে ইফতারি সামনে নিয়ে বসে থাকা মোস্তাহাব। হাদিসে ইফতার সম্পর্কে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মানুষ কল্যাণের সঙ্গে থাকবে ততকাল, যতকাল তারা শিগগির ইফতার করবে।’Ñবোখারি শরিফ

সহীহ মুসলিম শরিফে হজরত উমর (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন রাত আসে, দিন শেষ হয়ে যায় এবং সূর্য ডুবে যায়, তখনই রোজাদার ব্যক্তি ইফতার করবে।’ ইবন নুমাইরের বর্ণনায় ‘ফাকাদ’ শব্দটি নেই। হাদিস-২৪৩১

সেহরির সময়ের মতো ইফতারের আগমুহূর্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে দোয়া কবুল হয়। দিনব্যাপী সংযম শেষে নির্দিষ্ট সময়ে ইফতার করার মধ্য দিয়ে আল্লাহতায়ালার দেওয়া রিজিক আস্বাদনের যে বান্দাসুলভ ব্যাকুলতার চিত্র ফুটে ওঠে, আল্লাহতায়ালার কাছে তা অত্যন্ত পছন্দনীয়।

 লেখক : ধর্মীয় গবেষক ও লেখক


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা