প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৩ ১২:৪৮ পিএম
ক্যালিগ্রাফি : নাজিব তারেক
পবিত্র কুরআনের বাণী
হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য সিয়ামের বিধান দেওয়া হলো, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেওয়া হয়েছিল, যাতে তোমরা তাকওয়া বা আল্লাহভীরুতা অবলম্বন করতে পারো। (সূরা বাকারাহ-১৮৩)
সিয়াম নির্দিষ্ট কয়েক দিনের। তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে অথবা সফরে থাকলে অন্য সময় এ সংখ্যা পূর্ণ করবে। যাদের জন্য অতিশয় কষ্টদায়ক হয় তাদের কর্তব্য এর পরিবর্তে ফিদইয়া- একজন অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদান করা। যদি কেউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৎ কাজ করে তবে তা তার পক্ষে অধিক কল্যাণকর। আর সিয়াম পালন করাই তোমাদের জন্য অধিকতর কল্যাণকর যদি তোমরা তা জানতে। (সূরা বাকারাহ-১৮৪)
রমজান মাস, এ মাসেই মানুষের জন্য আলোর দিশা এবং সৎ পথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারী রূপে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এ
মাস পাবে তারা যেন এ মাসে সিয়াম পালন করে এবং কেউ অসুস্থ থাকলে কিংবা সফরে থাকলে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ তাই চান এবং যা তোমাদের জন্য কষ্টকর তা চান না এজন্য যে, তোমাদের সংখ্যা পূর্ণ করবে এবং তোমাদের
সৎ পথে পরিচালিত করার কারণে তোমরা আল্লাহর মাহিমা ঘোষণা করবে এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারো।
(সূরা বাকারাহ-১৮৫)
পবিত্র হাদিসের বাণী
হজরত ইব্ন উমর (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। নবী করীম (স.) রমজান মাস প্রসঙ্গে আলোচনা করে তিনি বলেন, তোমরা চাঁদ না দেখে রোজা শুরু করবে না এবং চাঁদ না দেখে (শাওয়াল মাসের চাঁদ) ইফতারও করো না আর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে ৩০ দিন পূর্ণ করো। হাদিস-২৩৭২
হযরত ইব্ন উমর (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন, সাধারণত মাস ২৯ দিনেও হয়ে থাকে। তাই (রমজানের) চাঁদ না দেখ রোজা রেখো না এবং ইফতারও করো না। আর আকাশ মেঘে ঢাকা থাকলে মাসের ৩০ দিন পূর্ণ করো। হাদিস-২৩৭৬
হজরত আবূ হুরায়রা (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন, তোমরা রমজান মাস আরম্ভ হওয়ার এক দিন বা দুই দিন পূর্ব থেকে রোজা রেখো না। কিন্তু যে ব্যক্তি নির্দিষ্ট এক দিনে সর্বদাই রোজা রেখে থাকে, আর ওই নির্দিষ্ট দিনটি যদি চাঁদ ওঠার দিন (বা তার আগের দিন) হয়, তবে সে ওই দিন রোজা রাখতে পারে। হাদিস-২৪৮৯
হজরত যায়িদ ইবন সাবিত (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (স.)-এর সঙ্গে সেহরি খেয়ে ফজরের নামাজের উদ্দেশ্যে দাঁড়ালাম। আমি (আনাস) বললাম, সেহরি ও নামাজ এ দুয়ের মধ্যে ব্যবধান কতটুকু ছিল? তিনি বলেন, ‘৫০ আয়াত তেলাওয়াতের সমপরিমাণ সময়।’ হাদিস-২৪২৫
সহিহ মুসলিম শরিফ থেকে