বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
তানিউল করিম জীম
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৩ ১৫:০৯ পিএম
আনন্দ উচ্ছ্বাসে একটি দিন কাটাল শিক্ষার্থীরা ছবি : লেখক
দীর্ঘ পাঁচ বছরের আড্ডার শেষ হতে চলল। সামনেই অনার্সের ফাইনাল পরীক্ষা। এই হুরাইরা- একটি ক্লাস পার্টির আয়োজন কর না। তুই তো দেখি কোনো কাজেরই না, কিসের সিআর (ক্লাস রিপ্রেজেনটেটিভ) তুই? এমন করেই বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইভা তাদের ক্লাসের সিআর হুরাইরাকে বলল।
তার পর তাদের কথা হয় একই ক্লাসের শরিফ, তাজিন, সাগর এবং ঐশার সঙ্গে। সবাই মিলে ঠিক করল সবার মতো তারাও ক্লাস পার্টি করবে। তারাও ৪ বছরে একসঙ্গে করা ক্লাস-পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্টের সুখ-দুঃখের গল্পের শেষকে একটি উৎসবের মাধ্যমে স্মরণীয় করে রাখতে চায়। তাই তো চাই একটি আয়োজন।
সেদিন ছিল বৃহস্পতিবার, অনার্সের শেষ ক্লাস। সকালে একটি ক্লাস করে বিকালে আয়োজিত হয় ক্লাস পার্টির। ফ্যাকাল্টির শিক্ষকদের দাওয়াত দেয় হুরাইরা ও ইভা। এদিকে লাইট দিয়ে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ওয়ার্কশপের গাছগুলো সাজানো শুরু করে লাইটিংয়ের লোকেরা। এবার ছেলেরা গেল পাঞ্জাবি আর মেয়েরা গেল শাড়িতে সাজতে। বিকালে ১৫ পাউন্ডের কেক তৈরি হয়েছে কি না দেখতে গেল জীম। সব ঠিক দেখে চলে এলো ওয়ার্কশপে। এসে দেখে ইভা, উস্মি, রবিউলরা আগে থেকেই ছিল। একে একে আসতে শুরু করে তাজিন, স্বর্ণা, ঋতু, কফিল, আব্দুল্লাহ, সজীব, মৌ, তানজিয়ান, শরীফ, জাকিয়া, বাদশা, ঐশাসহ সবাই।
এসেই যেন ছবি তোলার হিড়িক তাদের। এবার রবিউল আর ইভা গেল কেক আনতে। কেক আনার পরই বিভিন্ন দিক থেকে কেকের ছবি তুলতে থাকে সৈকত। এদিকে রায়হান, আশিক-ই-রাব্বানী এবং আনিস স্যারও চলে এলেন। নিজের মোবাইলে সাউন্ড বক্সযুক্ত ইচ্ছাগান বাজাচ্ছে, সেই সঙ্গে তাদের নাচ। স্যাররা সবাই মিলে কেক কাটা শুরু করল। এদিকে সিয়াম শুরু করে পার্টি স্প্রে করা। সবার মাথা সাদা হয়ে গেল। দেখে মনে হচ্ছিল যেন তুষারপাত হয়েছে। কেক খাওয়া শেষে শুরু ফুল টোক্কা খেলা।
তারপর হয় ছেলেদের মোরগ লড়াই আর মেয়েদের পিলো পাসিং। এ ছাড়াও হয় স্কুইড গেম। সবশেষে হয় সবাই মিলে র্যাম্প শো। তারপর সবাই মিলে নাচানাচি। দেখতে দেখতে সবার পেটে হাহাকার দেখা দিল। সবাই মিলে শুরু রাতের খাবার খাওয়া। সিয়াম খাবার নিয়েই শুরু করল খাওয়া। এদিকে সবাই গাছের নিচে বসে একসঙ্গে খাবে। এভাবেই কেটে গেল একসঙ্গে একটি বিকাল। রাত হয়েছে, তাই সবাই যেতে শুরু করল নিজ নিজ নীড়ে।