পুষ্টিগুণ
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৩ ১৬:০৮ পিএম
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৩ ১৪:২৯ পিএম
বিট শরীরের জন্য অনেক উপকারী। মূলজাতীয় এই সবজি গাঢ় বেগুনি-লাল বর্ণের হয়ে থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিটের উপকারিতা…
বিটের আছে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ক্লোরিন, আয়রন, সোডিয়ামসহ নানা উপকারী উপাদান।
হাড় মজবুত করে : এটি শরীরে ক্যালসিয়াম ধরে রাখতে পারে বলে হাড়ের সমস্যায় বেশ পরিচিত। এতে আছে হাড় মজবুত রাখার সক্ষমতা।
ক্যানসার প্রতিরোধে : ক্যানসারের ঝুঁকি প্রতিরোধে বিটের জুস অনেক উপকারী। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি কাজ করে ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে।
মানসিক সমস্যায় : এতে থাকা বিটেইন ও ট্রিপটোফোন নামক উপাদানে রয়েছে মন ভালো রাখার সক্ষমতা। ফলে বিট খেলে মানসিক অবসাদ ও ডিপ্রেশনের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
মাসিকের সমস্যা দূর করে : অনিয়মিত মাসিকের সমস্যায় বিট খুবই উপকারী। এতে আছে আয়রন, যা লোহিত কণিকা তৈরিতে সক্ষম। ফলে মাসিকের সময় হওয়া সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি : এতে আছে বিটা ক্যারেটিন ও ভিটামিন এ। প্রতিদিন বিট খেলে রেটিনার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এতে চোখের ছানির মতো রোগও প্রতিহত হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি : বিটে থাকে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট। নিয়মিত বিটের জুস পানে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ে। এতে আছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যা শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে : এতে থাকে নাইট্রেট নামক উপাদান। যা শরীরের রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থা স্বাভাবিক রেখে উচ্চ রক্তচাপ তথা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
ত্বকের জন্য : বিটে আছে অ্যান্টি এজিং উপাদান। যা ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে। এতে ত্বকের ব্রণ, বলিরেখা ও মেছতার সমস্যা দূর হয়।
আরও পড়ুন : ভিনেগারের নানা ব্যবহার
ব্যথা উপশমে : বিভিন্ন গবেষণায় গিঁটে বাত বা আর্থ্রাইটিসের ব্যথা উপশমে বিট জুসের সক্রিয় ভূমিকা দেখা গেছে।
পেটের সমস্যা নিরাময়ে : এক কাপ বিটরুটে আছে প্রায় ৩.৪ গ্রাম আঁশ। তাই বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটের প্রদাহে নিয়মিত বিট খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
বিট খাওয়ার পদ্ধতি : খেতে পারেন জুস করে। বিটের জুসের সঙ্গে মেশাতে পারেন গাজর, টমেটো, আপেল কিংবা ডালিম। সহজে বানিয়ে ফেলা যাবে সালাদ।