জিসান শাহরিয়ার
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৩ ১২:৩১ পিএম
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৩ ১২:৫৮ পিএম
পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় ভ্রমণ গন্তব্য প্রাচীন সভ্যতার দেশ মিসর ছবি : লেখক
উত্তর আফ্রিকার দেশ মিসর পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় ভ্রমণ গন্তব্য। প্রাচীন ইতিহাস ও সভ্যতা, নীল নদ, মরুভূমি প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং পিরামিডের জন্য বিখ্যাত মিসর। প্রাচীন সভ্যতার এই দেশে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল আমার এবং কয়েক দিন অবস্থানও করেছিলাম বিভিন্ন শহরে।
দর্শনীয় স্থান
আগে থেকে ঠিক করে রাখা ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে পিরামিড দেখতে বের হলাম। মিসরীয় পিরামিড জগদ্বিখ্যাত। মিসরীয়রা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করত, মৃত্যুর পরও তাদের আত্মা বেঁচে থাকে। লাশ বা মৃতদেহ টিকে থাকার ওপরই নির্ভর করে আত্মার বেঁচে থাকা বা ফিরে আসা। এ কারণেই মৃতদেহ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে মমি করত তারা। সমাধিত ব্যক্তিটি কত বিপুল পরিমাণ বিত্ত আর ক্ষমতাবান ছিল তা জাহিরের উদ্দেশ্যেও নির্মাণ করা হতো পিরামিড। তাই ফারাওদের মৃতদেহের সঙ্গে কবরস্থ করা হতো বিপুল ধনসম্পদ। পিরামিড দেখে অন্যরকম অনুভূতি কাজ করল। পিরামিড দেখার জন্য টিকিট কেটে ঢুকতে হয়। এরপর কায়রো থেকে যাওয়ার সময় বিখ্যাত মসজিদ ও নীল নদ দেখতে দেখতে গেলাম।
আকসুঙ্কুর মসজিদ, আল রিফায়া মসজিদ, আল আজহার মসজিদ মিসরের প্রাচীন মসজিদ, মেয়েদের ঢুকতে হলে আবায়া পরতে হয়। এখানে ইসলামি বইয়ের সংগ্রহশালা আছে। মিসর সভ্যতার সব নিদর্শন রয়েছে ইজিপশিয়ান মিউজিয়ামে। ঢুকতে টিকিট লাগে। এখানে বিভিন্ন বয়সের মমি রয়েছে। ফেরাউন তুতেনখামেন এবং আরও অনেক সভ্যতার নিদর্শন রয়েছে। ঘুরে ঘুরে দেখলাম সব। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় অপেরা হাউসে। তার পরের গন্তব্য কায়রো টাওয়ার। ১৮৭ মিটার উঁচু। এখান থেকে পুরো শহর ভালো করে দেখা যায়।
আলেকজান্দ্রিয়া
আলেকজান্দ্রিয়া মিসরের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং এ শহরেই মিসরের বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর অবস্থিত। কায়রো থেকে আলেকজান্দ্রিয়া পৌঁছে হোটেলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে সমুদ্র দেখতে বেরিয়ে পড়লাম। ট্যাক্সিক্যাব নিয়ে যাত্রা হলো আলেকজান্দ্রিয়ার লাইব্রেরির উদ্দেশে। এটি প্রাচীন বিশ্বের বৃহত্তম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থাগারগুলোর একটি। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে মিসরের টলেমি রাজবংশের পৃষ্ঠপোষকতায় একটি প্রধান শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে এ গ্রন্থাগারটি গড়ে উঠেছিল। লাইব্রেরিতে প্রবেশ করতে টিকিট কাটতে হয়, শিক্ষার্থী পরিচয়ে টিকিটের প্রয়োজন হয় না। ঐতিহাসিক বিভিন্ন নিদর্শন দেখা শেষে আমরা গেলাম মামুরা সৈকতে।
হট এয়ার বেলুন
এক এজেন্সি থেকে ১ হাজার টাকায় হট এয়ার বেলুন কিনলাম। হট এয়ার বেলুনে দুই ঘণ্টার রাইড অভিজ্ঞতা সব থেকে ভালো ছিল। রাত ৩টায় একটি মাইক্রোয় চরে এক নদীর ধারে গেলাম। তারপর সেখান থেকে ছোট জাহাজে আরেক প্রান্তে। সেখান থেকে মাইক্রোয় পৌঁছালাম হোটেলে।
টিপস
প্রস্তুতি