মুসনাদ মুনতাকা হক
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:০৩ পিএম
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:০৯ পিএম
অলংকরণটি করেছে ঘুঙুর বন্ধুর আফিয়া আয়মান। সে রাজশাহী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বেশ কয়েক বছর আগের কথা। নক্ষত্রের বয়স তখন মাত্র সাত। একুশে ফেব্রুয়ারির কথা মা-বাবার কাছে শুনেছে। রাতের বেলা গল্প করার সময় মা-বাবা বলতেন। সে বছর একুশে ফেব্রুয়ারির প্রভাতফেরিতে যাওয়ার জন্য নক্ষত্র বায়না ধরে। কিন্তু মা-বাবার কারও হাতে সময় নেই। আগের রাতে ঘুমের ভেতর স্বপ্ন দেখে বলতে থাকে আমি যাব আমি যাব। আমি ফুল দেব। পরদিন সকালে ঘুম ভাঙার পর নক্ষত্র তার মাকে বলে, বাড়ির পাশে মাঠে সে নিজেই শহীদ মিনার বানাবে। মা বলেন, কীভাবে? তখন নক্ষত্র মাকে বলে, তুমি দেখো, আমি কী করে বানাই। এরপর সে বাড়ির আশপাশের বন্ধুদের ডেকে আনে। ইট, কাঠ জোগাড় করে। বন্ধুরা মিলে ইট দিয়ে সাজিয়ে সাজিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে ফেলে। তারপর মা-বাবাকে ডেকে আনে। বন্ধুদের বাবা-মারাও আসেন। তারা সবাই এই শহীদ মিনারে ফুল দেন। সবাই একসঙ্গে গাইতে থাকেন--
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি।
নক্ষত্র খুশি হয়। বাবা-মাও খুব খুশি হন। বন্ধুরাও। সবাই মিলে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে পেরে ভালো লাগছিল। খুশি হয়েছিল সবাই।
পঞ্চম শ্রেণি, পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বগুড়া