অটোমোবাইল
ফয়সাল রহমান সামি
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:০৮ পিএম
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৩৭ পিএম
যানজটের নগরীতে রাস্তায় বসে থাকা যেন নিত্যদিনের ঘটনা। সেই সঙ্গে বাসের জন্য দিতে হয় বাড়তি সময়। অফিসগামী মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়ায় বাসে ওঠা যেন দুষ্কর হয়ে পড়ে। নিজের একটা বাহন থাকলে কতই না সুবিধা হতো। নারীদের কাছে এটি যেন সোনার হরিণ। তাদের কথা মাথায় রেখে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে এসেছে স্কুটি। আর খরচ কমিয়ে আনতে বাজারে রয়েছে ইলেকট্রিক স্কুটি।
বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বাড়ছে। একদিকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, অন্যদিকে পরিবেশ রক্ষায় বৈদ্যুতিক স্কুটার বা বাইকের দিকেই ঝুঁকছে সবাই। সেই সঙ্গে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলোও একের পর এক বৈদ্যুতিক দুই চাকার যান আনছে। এগুলো তুলনামূলক কম ভারী। এখন স্টাইলিশ ও কমদামি বিভিন্ন রঙের স্কুটি পাওয়া যাই। বর্তমান বাজারে জনপ্রিয় স্কুটির মধ্যে রয়েছে অলা এসআই প্রো, টিবিএস স্কুটি পেপ, এক্সপ্লয়িট গল এবং গ্রিন টাইগার জিটি ১০০০ আর। এগুলোর দাম ৯৫ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
বৈদ্যুতিক স্কুটারের ফিচার প্রায় পেট্রোলচালিত স্কুটারের মতোই। স্পিড লকিং সিস্টেম, অ্যাপ কানেক্টিভিটি, সাইড স্ট্যান্ড ইন্ডিকেটর, ই-এবিএস, ডিস্ক ব্রেক, ইউএসবি চার্জিং পোর্ট একই থাকবে। তবে বেশ কিছু ফিচার আলাদা আছে। বৈদ্যুতিক যানবাহন যেটাই কেনেন না কেন ব্যাটারি দেখে নেওয়া সবচেয়ে জরুরি। বিভিন্ন কোম্পানি তাদের সব মডেলে বিভিন্ন ব্যাটারি প্যাক ব্যবহার করে। তবে এদের মধ্যে সেরা লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি। দ্রুত চার্জ হয়, রেঞ্জ ভালো, পাশাপাশি আয়ুও দীর্ঘ হয়। বৈদ্যুতিক স্কুটার কেনার সময় চার্জের সময়টা দেখে নিন। সাধারণত পুরো চার্জ হতে স্কুটারের ৫ ঘণ্টা সময় লাগে। বাজারে দ্রুত চার্জিং স্কুটার পাওয়া যায়। সেগুলো ৩০ মিনিটে ৫০ শতাংশের বেশি চার্জ হয়।
ইলেকট্রিক স্কুটারের ক্ষেত্রে রেঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ। সর্বোচ্চ গতি ২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় হলে অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স, বীমা, হেলমেট ইত্যাদি কাছে রাখতে হবে। স্কুটারগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওয়াটারপ্রুফ হয় না। তাই কেনার সময় দেখে নিন এটি ওয়াটারপ্রুফ কি না। তাহলে ঝড়-বৃষ্টি বা ভেজা রাস্তায় স্বচ্ছন্দে স্কুটার চালাতে পারবেন।